ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

ধ্বংস হয়নি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা : পেন্টাগনের বিশ্লেষণ, মানছেন না ট্রাম্প

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 250
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ‘ধ্বংস করতে পারেনি’, ওই কর্মসূচিকে কেবল কয়েক মাসের জন্য ‘পিছিয়ে দিতে পেরেছে’ বলে পর্যবেক্ষণ এসেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে। এমন এক সময়ে এই প্রতিবেদনের তথ্য সামনে এল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

ইরান ও ইসরায়েল—দুই পক্ষই মঙ্গলবার ইঙ্গিত দেয়, তাদের মধ্যে চলমান আকাশ যুদ্ধ অন্তত আপাতত থেমেছে। তার কিছুক্ষণ আগে ট্রাম্প তার ঘোষিত যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের জন্য দুই দেশকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেন।

এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি যুক্ত হয়েছিল ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে।

ট্রাম্প গত শনিবার বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে দিয়েছে। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন সামনে আসছে, যা তার ওই দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনজন ব্যক্তির বরাতে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।

তাদের একজন বলেছেন, ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুত সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি বড়জোর এক বা দুই মাসের জন্য পিছিয়ে গেছে।

ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক গবেষণা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, কেবলই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। তাদের সমৃদ্ধ ইউরোনিয়ামের মজুদের একটি বড় অংশ পাহাড়ের নিচে ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় সংরক্ষিত ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় দুটি স্থাপনার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু ভূগর্ভস্থ স্থাপনা ধসিয়ে দেওয়া যায়নি।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, হামলার পরও কিছু সেন্ট্রিফিউজ অক্ষত ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জানায়, তাদের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘দুর্বল হয়েছে’, যা ট্রাম্পের ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হওয়ার বক্তব্য থেকে অনেকটাই দূরে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার বলেন, ইরানে ওই হামলার ফলে ‘পারমাণবিক’ হুমকি দূর হয়েছে এবং তেহরান যাতে আবারও সেই কর্মসূচি শুরু করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সূত্র: রয়টার্স


কী পাওয়া গেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে?
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে পেন্টাগনের গোয়েন্দা বিভাগ ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (ডিআইএ) প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বলে আসছে, গত শনিবারের ওই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে। তবে ডিআইএ-এর প্রতিবেদন বলছে অন্য কথা।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা হামলা চালায়, যা ১৮ মিটার পুরু কংক্রিটের স্তর বা ৬১ মিটার মাটির স্তরের নিচেও বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ইরানের সেন্ট্রিফিউজগুলো বেশিরভাগই ‘অক্ষত’ রয়ে গেছে। আঘাত মূলত ভূপৃষ্ঠের উপরে সীমাবদ্ধ ছিল।

বোমার বিস্ফোরণে ইরানের দুটি পারমাণবিক স্থাপনার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ভূগর্ভের স্থাপনা অক্ষত রয়েছে বলে উঠে এসেছে ডিআইএ-এর প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা মনে করছেন, ওই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘বড় জোর কয়েক মাসের জন্য’ পিছিয়ে দিতে পেরেছে। দেশটি তাদের কর্মসূচি আবার শুরু করবে কিনা, তা নির্ভর করবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা মেরামত করতে কত সময় লাগে তার ওপর। হামলার আগে ইরান তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের কিছু মজুদ সরিয়ে ফেলেছিল—এমন তথ্যও রয়েছে ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ ট্রাম্পের
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনের খবরের প্রতিক্রিয়ায় মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, “ভুয়া সংবাদ প্রচারকারী সিএনএন এবং ধুঁকতে থাকা নিউ ইয়র্ক টাইমস মিলে ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক অভিযানের গুরুত্ব খাটো করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে! টাইমস ও সিএনএন– দুই প্রতিষ্ঠানকেই জনগণ ধিক্কার জানাচ্ছে!”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি।

হোয়াইট হাউস ওই গোয়েন্দা মূল্যায়নকে ‘সম্পূর্ণ ভুল’ আখ্যায়িত করেছে। সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ধ্বংস হয়নি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা : পেন্টাগনের বিশ্লেষণ, মানছেন না ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১০:৪৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ‘ধ্বংস করতে পারেনি’, ওই কর্মসূচিকে কেবল কয়েক মাসের জন্য ‘পিছিয়ে দিতে পেরেছে’ বলে পর্যবেক্ষণ এসেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে। এমন এক সময়ে এই প্রতিবেদনের তথ্য সামনে এল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

ইরান ও ইসরায়েল—দুই পক্ষই মঙ্গলবার ইঙ্গিত দেয়, তাদের মধ্যে চলমান আকাশ যুদ্ধ অন্তত আপাতত থেমেছে। তার কিছুক্ষণ আগে ট্রাম্প তার ঘোষিত যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের জন্য দুই দেশকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেন।

এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি যুক্ত হয়েছিল ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে।

ট্রাম্প গত শনিবার বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে দিয়েছে। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন সামনে আসছে, যা তার ওই দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনজন ব্যক্তির বরাতে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।

তাদের একজন বলেছেন, ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুত সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি বড়জোর এক বা দুই মাসের জন্য পিছিয়ে গেছে।

ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক গবেষণা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, কেবলই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। তাদের সমৃদ্ধ ইউরোনিয়ামের মজুদের একটি বড় অংশ পাহাড়ের নিচে ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় সংরক্ষিত ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় দুটি স্থাপনার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু ভূগর্ভস্থ স্থাপনা ধসিয়ে দেওয়া যায়নি।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, হামলার পরও কিছু সেন্ট্রিফিউজ অক্ষত ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জানায়, তাদের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘দুর্বল হয়েছে’, যা ট্রাম্পের ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হওয়ার বক্তব্য থেকে অনেকটাই দূরে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার বলেন, ইরানে ওই হামলার ফলে ‘পারমাণবিক’ হুমকি দূর হয়েছে এবং তেহরান যাতে আবারও সেই কর্মসূচি শুরু করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সূত্র: রয়টার্স


কী পাওয়া গেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে?
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে পেন্টাগনের গোয়েন্দা বিভাগ ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (ডিআইএ) প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বলে আসছে, গত শনিবারের ওই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে। তবে ডিআইএ-এর প্রতিবেদন বলছে অন্য কথা।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা হামলা চালায়, যা ১৮ মিটার পুরু কংক্রিটের স্তর বা ৬১ মিটার মাটির স্তরের নিচেও বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ইরানের সেন্ট্রিফিউজগুলো বেশিরভাগই ‘অক্ষত’ রয়ে গেছে। আঘাত মূলত ভূপৃষ্ঠের উপরে সীমাবদ্ধ ছিল।

বোমার বিস্ফোরণে ইরানের দুটি পারমাণবিক স্থাপনার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ভূগর্ভের স্থাপনা অক্ষত রয়েছে বলে উঠে এসেছে ডিআইএ-এর প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা মনে করছেন, ওই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘বড় জোর কয়েক মাসের জন্য’ পিছিয়ে দিতে পেরেছে। দেশটি তাদের কর্মসূচি আবার শুরু করবে কিনা, তা নির্ভর করবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা মেরামত করতে কত সময় লাগে তার ওপর। হামলার আগে ইরান তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের কিছু মজুদ সরিয়ে ফেলেছিল—এমন তথ্যও রয়েছে ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ ট্রাম্পের
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনের খবরের প্রতিক্রিয়ায় মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, “ভুয়া সংবাদ প্রচারকারী সিএনএন এবং ধুঁকতে থাকা নিউ ইয়র্ক টাইমস মিলে ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক অভিযানের গুরুত্ব খাটো করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে! টাইমস ও সিএনএন– দুই প্রতিষ্ঠানকেই জনগণ ধিক্কার জানাচ্ছে!”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি।

হোয়াইট হাউস ওই গোয়েন্দা মূল্যায়নকে ‘সম্পূর্ণ ভুল’ আখ্যায়িত করেছে। সূত্র: বিবিসি