ফোরদো আর নেই বলেছেন ট্রাম্প, ইরাক কী বলছে?
- আপডেট সময় : ১১:৪১:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
- / 262

ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে হামলা প্রসঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “বছরের পর বছর সবাই এই নামগুলো শুনেছে, তারা এই ভয়ানক ধ্বংসাত্মক প্রকল্প গড়ে তুলছিল। আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছি এবং সব বিমান নিরাপদে ফিরিয়েছে। আজ রাতে আমি বিশ্বের কাছে জানাতে পারি, এই হামলাগুলো ছিল একটি অসাধারণ সামরিক সাফল্য। ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।”
ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, “প্রধান টার্গেট ফোরদোতে পূর্ণমাত্রার বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। ফোরদো আর নেই।”
ইরানের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা তাসনিমও বলেছে, ‘শত্রুপক্ষের বিমান হামলায়’ ফোরদোর একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিবিএস নিউজ জানায়, হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে ইরানকে জানিয়ে দিয়েছে, এই হামলাগুলোই তাদের চূড়ান্ত পদক্ষেপ, তেহরানে সরকার পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
ক্ষতি হয়নি, উপকরণ আগেই সরানো হয়েছে
পারমাণবিক স্থাপনাগুলো এরই মধ্যে খালি করার কথা জানিয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকের ডেপুটি পলিটিক্যাল ডিরেক্টর হাসান আবেদিনিরাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি উপস্থিত হয়ে বলেছেন, ” ইরান ‘কিছুক্ষণ আগে’ এই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা খালি করেছে।” তিনি আরও বলেছেন, ” বড় কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি, কারণ পারমাণবিক কেন্দ্রের উপকরণগুলো ইতোমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।”
হামলার কথাও নিশ্চিত করলেন ইরানি কর্মকর্তা
এর আগে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম স্বীকার করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এবার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ইরনা নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে হামলার খবর নিশ্চিত করেছে।
ইস্পাহানের গভর্নরের উপদেষ্টা আকবর সালেহিকে উদ্ধৃত করে ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আমরা ইস্পাহান ও নাতাঞ্জের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর আশপাশে হামলার দৃশ্য দেখেছি।” সালেহি বলেন, ইস্পাহান ও নাতাঞ্জে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
তেজস্ক্রিয় দূষণ ঘটেনি, বলছে ইরানের পরমাণু সংস্থা
মার্কিন হামলার পর ইরানের ফোরদো, ইস্পাহান ও নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনার আশপাশে বিকিরণ পর্যবেক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ের জরিপে কোনো তেজস্ক্রিয় দূষণ বা বাসিন্দাদের জন্য ঝুঁকির প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে দেশটির পারমাণবিক শক্তি সংস্থা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, “ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে অবৈধ মার্কিন হামলার পর মাঠ পর্যায়ের জরিপ ও বিকিরণ পর্যবেক্ষণ উপাত্তে কোনো ধরনের দূষণের রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এসব স্থাপনার আশপাশের বাসিন্দাদের জন্য কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।”
সৌদি আরবের পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশনও বলেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার পর প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলোতে কোনো তেজস্ক্রিয়া শনাক্ত হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা
























