ইরানের রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠল ইসরায়েল
- আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / 242

তামরার এক ভবনে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের পর উদ্ধার অভিযানে ব্যস্ত নিরাপত্তা কর্মীরা।
ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। একের পর এক ব্যালিস্টিক মিসাইলের আঘাতে তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। সবচেয়ে বড় ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে উপকূলীয় শহর হাইফায়।
এই হামলায় হাইফার একটি জ্বালানি স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, ইরানের এ হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু আবাসিক এলাকা।
রাতভর একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় বিমানবন্দর, সামরিক ঘাঁটি ও জ্বালানিকেন্দ্র লক্ষ্য করে।
বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত মানুষজন ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ইরান আগেই বড় ধরনের সামরিক অভিযানের হুমকি দিলেও তা রুখে দিতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’।
ইরান জানিয়েছে, এই হামলা ছিল ইসরায়েলের পূর্ববর্তী একটি অভিযানের প্রতিশোধ। কিছুদিন আগেই ইসরায়েল দক্ষিণ ইরানের বন্দর শহর বন্দর আব্বাস ও শাহরান তেল মজুদ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, তেল সরবরাহ লাইনে আগুন ধরে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি স্থাপনাও।
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি এই হামলার জেরে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। দুই দেশের সরাসরি সংঘর্ষ মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকেরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “তেহরান পর্যন্ত পৌঁছানোর পথ আমরা পেয়ে গেছি। আয়াতুল্লাহ প্রশাসনের প্রতিটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা আমরা গুঁড়িয়ে দেব।”
তিনি আরও বলেন, “ইরান অন্তত ২০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। তারা পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা তাদের সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে দেব না।”
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে রাতভর বিস্ফোরণ ও ধোঁয়ার দৃশ্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে—এই সংঘাত থামার মতো পরিস্থিতিতে নেই।























