এক দিনের জন্য সচিবালয়ের আন্দোলন স্থগিত
- আপডেট সময় : ১০:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / 239

আন্দোলনকারী সচিবালয় কর্মচারীদের দাবি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তুলে ধরা হবে, এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই আলোচনাকে সুচারুরূপে এগিয়ে নিতে বুধবার (২৮ মে ২০২৫) সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলন সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ের আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, “আমরা কয়েকজন সচিব মিলে আন্দোলনরত কর্মচারীদের কথা শুনেছি। আমরা সবাই সরকারের কর্মচারী। সরকার একটি আইন করেছে, আর তারা তাতে সংক্ষুব্ধ হয়ে এর বাতিল দাবি করছে। আমরা তাদের বক্তব্য সংক্ষেপে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে আগামীকাল উপস্থাপন করবো। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।”
তিনি আরও জানান, “আলোচনার স্বার্থে আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন।” এর আগে মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৩টায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভূমি সচিব নিজে। সভায় আরও পাঁচজন সচিব এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসেন কয়েকজন সচিব। সেখানে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই বৈঠক থেকেই ভূমি সচিবকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমে আসেন।
এই আন্দোলনের মধ্যেই গত রবিবার সন্ধ্যায় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাদেশটি জারি করে। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত টানা চার দিন সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন বিভাগের বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বিক্ষোভ ঘিরে মঙ্গলবার সচিবালয়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রধান ফটকে মোতায়েন করা হয় সোয়াট টিম, পাশাপাশি উপস্থিত ছিল বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এতো কড়াকড়ির মধ্যেও কর্মচারীরা সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। তবে বেলা একটা পর্যন্ত সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, কর্মসূচি শেষ হলে তাদের দুপুর একটার পর সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।




















