ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না

‘কঠোর আইনের’ বিরুদ্ধে সচিবালয় উত্তাল, এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 280
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। সোমবার (২৬ মে) বেলা আড়াইটার দিকে আজকের কর্মসূচি শেষের ঘোষণা দেন তাঁরা। তবে আন্দোলন এখানেই থামছে না—আগামীকাল মঙ্গলবার আবারও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা এসেছে। একই সঙ্গে সচিবালয়ের বাইরেও দেশের সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এই কর্মসূচি এখন থেকে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ ব্যানারে চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কর্মচারীরা।

এদিকে, সরকারি কর্মকাণ্ডে কর্মচারীরা বাধা সৃষ্টি করলে জনগণই তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, সংস্কারে বাধা দিয়ে সরকারকে জিম্মি করলে তার পরিণতি ভালো হবে না। সচিবালয়ে চলমান আন্দোলন এবং এনবিআরের বিভক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা।

সচিবালয়ে কর্মীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আগামীকালের কর্মসূচির ঘোষণা দেন ঐক্য ফোরামের নেতারা। ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, ‘এই কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সচিবালয়ের বাদামতলায় মিছিলসহ সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, আজ অধ্যাপক আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তবে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় তা স্থগিত হয়েছে। বৈঠকের সময় নির্ধারিত হলে তা সাংবাদিকদের জানানো হবে। ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও পরিষদের অন্য অংশের সভাপতি মুহা. নূরুল ইসলাম জানান, সারা দেশের কর্মচারীরা আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।

অধ্যাদেশ নিয়ে ক্ষোভ

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। গতকাল রোববার এই অধ্যাদেশ জারি হয়। কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, এতে সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু দমনমূলক ধারা যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এই আইনকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে তাঁরা এর প্রত্যাহার দাবি করছেন।

রোববার সন্ধ্যায় অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর কর্মচারীদের ক্ষোভ আরও বাড়ে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে কর্মচারীরা সচিবালয়ের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। বাদামতলায় জমায়েত হয়ে তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভবনের সামনে সমাবেশ করেন। একপর্যায়ে সচিবালয়ের মূল ফটকে গেলে কিছু সময়ের জন্য ফটকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন নেতারা।

অধ্যাদেশে যেসব দণ্ডের কথা বলা হয়েছে

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজ করেন যা অনানুগত্যের শামিল, শৃঙ্খলা বিঘ্ন করে বা অন্য কর্মচারীর কর্ম থেকে বিরত থাকতে উসকানি দেন, তাহলে তাঁকে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে দণ্ড দেওয়া হবে। এসব অপরাধের জন্য চাকরি থেকে অব্যাহতি, নিম্নপদে নামিয়ে দেওয়া অথবা বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।

অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে। অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হলে তাকে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ থাকলেও রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না—তবে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।

বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, আইন অনুযায়ী সবাই ‘কর্মচারী’ হিসেবে বিবেচিত।

কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা

সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে এনসিপির উত্তর চট্টগ্রাম সফরের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “সচিবালয়ে এবং এনবিআর সংস্কারেও আন্দোলন চলছে। অথচ গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আপনারা কোনো প্রশ্ন তোলেননি, বরং কালো ব্যাজ ধারণ করে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেছিলেন। তখন কেউ পদত্যাগ করেনি।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা যদি আজ সংস্কার কার্যক্রমে বাধা দিয়ে সরকারকে হুমকি দেন, তাহলে জনগণ বিকল্প খুঁজে নেবে। ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কেউ গুলি চালানো বা নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেনি।”

সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের যদি আপত্তি থাকে, আলোচনার মাধ্যমে তা তুলে ধরুন। কিন্তু সরকারকে জিম্মি করলে তা দেশের জন্য ভালো হবে না।”

চট্টগ্রামের পথসভায় হাসনাত দাবি করেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের মানুষ নতুন নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক কাঠামোর অপেক্ষায় আছে। মানুষ আমাদের কথা শুনতে চায়, মতামত দিতে চায়। বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হওয়ায় মানুষ নতুন বিকল্পের দিকে তাকিয়ে আছে।”

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম মিতু ও মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আরমান হোসেন প্রমুখ।

সোমবার এনসিপি নেতারা উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় পথসভা করার কথা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘কঠোর আইনের’ বিরুদ্ধে সচিবালয় উত্তাল, এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। সোমবার (২৬ মে) বেলা আড়াইটার দিকে আজকের কর্মসূচি শেষের ঘোষণা দেন তাঁরা। তবে আন্দোলন এখানেই থামছে না—আগামীকাল মঙ্গলবার আবারও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা এসেছে। একই সঙ্গে সচিবালয়ের বাইরেও দেশের সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এই কর্মসূচি এখন থেকে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ ব্যানারে চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কর্মচারীরা।

এদিকে, সরকারি কর্মকাণ্ডে কর্মচারীরা বাধা সৃষ্টি করলে জনগণই তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, সংস্কারে বাধা দিয়ে সরকারকে জিম্মি করলে তার পরিণতি ভালো হবে না। সচিবালয়ে চলমান আন্দোলন এবং এনবিআরের বিভক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা।

সচিবালয়ে কর্মীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আগামীকালের কর্মসূচির ঘোষণা দেন ঐক্য ফোরামের নেতারা। ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, ‘এই কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সচিবালয়ের বাদামতলায় মিছিলসহ সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, আজ অধ্যাপক আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তবে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় তা স্থগিত হয়েছে। বৈঠকের সময় নির্ধারিত হলে তা সাংবাদিকদের জানানো হবে। ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও পরিষদের অন্য অংশের সভাপতি মুহা. নূরুল ইসলাম জানান, সারা দেশের কর্মচারীরা আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।

অধ্যাদেশ নিয়ে ক্ষোভ

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। গতকাল রোববার এই অধ্যাদেশ জারি হয়। কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, এতে সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু দমনমূলক ধারা যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এই আইনকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে তাঁরা এর প্রত্যাহার দাবি করছেন।

রোববার সন্ধ্যায় অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর কর্মচারীদের ক্ষোভ আরও বাড়ে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে কর্মচারীরা সচিবালয়ের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। বাদামতলায় জমায়েত হয়ে তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভবনের সামনে সমাবেশ করেন। একপর্যায়ে সচিবালয়ের মূল ফটকে গেলে কিছু সময়ের জন্য ফটকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন নেতারা।

অধ্যাদেশে যেসব দণ্ডের কথা বলা হয়েছে

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজ করেন যা অনানুগত্যের শামিল, শৃঙ্খলা বিঘ্ন করে বা অন্য কর্মচারীর কর্ম থেকে বিরত থাকতে উসকানি দেন, তাহলে তাঁকে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে দণ্ড দেওয়া হবে। এসব অপরাধের জন্য চাকরি থেকে অব্যাহতি, নিম্নপদে নামিয়ে দেওয়া অথবা বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।

অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে। অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হলে তাকে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ থাকলেও রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না—তবে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।

বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, আইন অনুযায়ী সবাই ‘কর্মচারী’ হিসেবে বিবেচিত।

কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা

সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে এনসিপির উত্তর চট্টগ্রাম সফরের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “সচিবালয়ে এবং এনবিআর সংস্কারেও আন্দোলন চলছে। অথচ গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আপনারা কোনো প্রশ্ন তোলেননি, বরং কালো ব্যাজ ধারণ করে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেছিলেন। তখন কেউ পদত্যাগ করেনি।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা যদি আজ সংস্কার কার্যক্রমে বাধা দিয়ে সরকারকে হুমকি দেন, তাহলে জনগণ বিকল্প খুঁজে নেবে। ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কেউ গুলি চালানো বা নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেনি।”

সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের যদি আপত্তি থাকে, আলোচনার মাধ্যমে তা তুলে ধরুন। কিন্তু সরকারকে জিম্মি করলে তা দেশের জন্য ভালো হবে না।”

চট্টগ্রামের পথসভায় হাসনাত দাবি করেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের মানুষ নতুন নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক কাঠামোর অপেক্ষায় আছে। মানুষ আমাদের কথা শুনতে চায়, মতামত দিতে চায়। বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হওয়ায় মানুষ নতুন বিকল্পের দিকে তাকিয়ে আছে।”

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম মিতু ও মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আরমান হোসেন প্রমুখ।

সোমবার এনসিপি নেতারা উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় পথসভা করার কথা রয়েছে।