ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কর্তা যুক্তরাষ্ট্রের, পার্বত্য অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 344
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে ভ্রমণে নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য তৃতীয় ধাপের সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সতর্কতার অর্থ— মার্কিন নাগরিকরা যেন বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ভ্রমণ ভ্রমণ নিষিদ্ধ (ভ্রমণ সতর্কতার চতুর্থ ধাপ) ঘোষণা করেছে দেশটি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভ্রমণ নির্দেশিকা হালনাগাদ করে এ সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটি।

তৃতীয় ধাপের সতর্কতায় ভ্রমণ পুনর্বিবেচনা করার মাধ্যমে মূলত ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ভ্রমণ নির্দেশিকায় মার্কিন নাগরিকদের বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে হুটহাট বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। এ কারণে যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠতে পারে। তাই যেকোনো জমায়েত বা সমাবেশ এড়িয়ে চলতে হবে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। বলা হয়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমারের মতো অপরাধের কথা। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরও ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ভ্রমণ নির্দেশিকায়। তবে এতে বলা হয়েছে, এসব অপরাধ কেবল বিদেশিদের লক্ষ্য করে ঘটে না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকার দূতাবাসে কর্মরত মার্কিন কর্মীদের রাজধানীর বাইরে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে নিষেধ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

পার্বত্য অঞ্চলে ভ্রমণ করতে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে মাঝেমধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ এবং অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। ওই অঞ্চলে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে অপহরণ যেমন ঘটেছে, তেমনি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করেও অপহরণ করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এবং রাজনৈতিক সহিংসতাও এই অঞ্চলে ভ্রমণকারীদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কর্তা যুক্তরাষ্ট্রের, পার্বত্য অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৫:৫০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে ভ্রমণে নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য তৃতীয় ধাপের সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সতর্কতার অর্থ— মার্কিন নাগরিকরা যেন বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ভ্রমণ ভ্রমণ নিষিদ্ধ (ভ্রমণ সতর্কতার চতুর্থ ধাপ) ঘোষণা করেছে দেশটি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভ্রমণ নির্দেশিকা হালনাগাদ করে এ সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটি।

তৃতীয় ধাপের সতর্কতায় ভ্রমণ পুনর্বিবেচনা করার মাধ্যমে মূলত ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ভ্রমণ নির্দেশিকায় মার্কিন নাগরিকদের বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে হুটহাট বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। এ কারণে যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠতে পারে। তাই যেকোনো জমায়েত বা সমাবেশ এড়িয়ে চলতে হবে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। বলা হয়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমারের মতো অপরাধের কথা। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরও ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ভ্রমণ নির্দেশিকায়। তবে এতে বলা হয়েছে, এসব অপরাধ কেবল বিদেশিদের লক্ষ্য করে ঘটে না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকার দূতাবাসে কর্মরত মার্কিন কর্মীদের রাজধানীর বাইরে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে নিষেধ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

পার্বত্য অঞ্চলে ভ্রমণ করতে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে মাঝেমধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ এবং অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। ওই অঞ্চলে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে অপহরণ যেমন ঘটেছে, তেমনি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করেও অপহরণ করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এবং রাজনৈতিক সহিংসতাও এই অঞ্চলে ভ্রমণকারীদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে।