ইয়র্কশায়ারে দেওয়া এক বক্তৃতায় স্যার কেয়ার স্টারমার বলেন- “আমরা রাষ্ট্রীয় স্তরে আমলাতান্ত্রিক ব্যয় কমাবো, সরকারকে সাধারণ জনগণের প্রয়োজনের দিকে আরও মনোযোগী করবো এবং বাজেটের বড় অংশ সরাসরি স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করবো। এনএইচএস পরিচালনার দায়িত্ব পুনরায় গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা এটি বিলুপ্ত করছি।”
প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার তার বক্তব্যে জোর দিয়ে আরও বলেন, “এতে এনএইচএস আবার সরকারের নিয়ন্ত্রণে ফিরে আসবে, রোগীদের সেবা দেওয়াই হবে মূল লক্ষ্য। কমবে আমলাতান্ত্রিক ব্যয়, নার্সদের জন্য থাকবে বেশি অর্থ এবং হাসপাতালের রোগীদের প্রতীক্ষার সময় কমানো হবে।”
সরকারের মতে, এই উদ্যোগের ফলে ৯,০০০-এর বেশি কর্মসংস্থান বিলুপ্ত হবে, তবে এতে বছরে শত শত মিলিয়ন পাউন্ড সঞ্চয় হবে, যা রোগীদের জন্য প্রতীক্ষার সময় কমাতে ব্যয় করা হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাহী সংস্থা হিসেবে সুপরিচিত এনএইচ এস (National Health Service) কে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সামাজিক কল্যাণ দফতরের (Department of Health and Social Care) অধীনে আনা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানালেও কনজারভেটিভ দলের নেতা আলেক্স বার্গহার্ট বলেছেন, “আমরা এনএইচএস ব্যবস্থাপনায় সরলীকরণ আনতে চাই। তবে এখন এনএইচএসের কার্যকারিতা নিয়ে লেবার সরকারের আর কাউকে দোষারোপ করার সুযোগ থাকবে না।”
এনএইচএস ইংল্যান্ডের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী স্যার জেমস ম্যাকি জানান, যদিও এই ঘোষণা কর্মীদের জন্য উদ্বেগজনক, তবে এটি প্রয়োজনীয় পরিবর্তন।
বর্তমানে ১৫,৩০০ কর্মী এনএইচএস ইংল্যান্ডে এবং ৩,৩০০ জন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। এই বিলুপ্তির কাজ অবিলম্বে শুরু হবে, তবে পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় দুই বছর সময় নিতে পারে।
এই সিদ্ধান্তের আগে এনএইচএস ইংল্যান্ডের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তাই পদত্যাগ করেছেন, যার মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) এবং জাতীয় মেডিক্যাল পরিচালকও রয়েছেন।
সূত্রঃ বিবিসি ও দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট