ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

আলুর কেজি ১১ টাকা!

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 262
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত কয়েক বছর আলুর দাম বেশ চড়া থাকার পর এবছর দাম কমে এসেছে। আলু উৎপাদনে অন্যতম জেলা মুন্সীগঞ্জে এখন আলুর কেজি ১১টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গত মৌসুমে সেখানে প্রতি কেজির দাম উঠেছিল ৭০ টাকা পর্যন্ত।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের টারকী এলাকার ডালিম শেখ জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর আলুর দাম চড়া থাকার কারণে বেশ লাভবান হয়েছেন। বেশি লাভের আশায় এবার বেশি জমিতে আবাদ করেছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে যেখানে আলুর কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করেছেন, তা এখন ১১ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে লাভের আশা তো দূরের কথা, উল্টো লোকসানে পড়ার দুশ্চিন্তায় আছেন। শুধু ডালিম শেখ নন, জেলার হাজারো কৃষক এখন লোকসানের শঙ্কায় আছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে মুন্সীগঞ্জে ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। এ বছর সাড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুন্সীগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলেও বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি ও জমি চাষের খরচ বাড়ায় গতবারের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এরই মধ্যে হিমাগারের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জমি থেকে আলু সংরক্ষণ পর্যন্ত প্রতি কেজির দাম পড়বে ৩২-৩৩ টাকা। এখন আড়তে ১১ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এই দামে বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। কারণ উৎপাদন খরচ পড়েছে ২০ টাকার বেশি।

রাজধানীর দোকানগুলোতে আলুর কেজি ২৫-৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭-১৮ টাকা।

‘মাঠ পর্যায়ে ১১টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে, কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে’ এ কথা বলে রাজধানীর কাওরানবাজারের কিচেন মার্কেটে একজন ক্রেতা আব্দুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বছরের শুরুতে নতুন আলু যে ১০০টাকা দামে কৃষক বিক্রি করেছেন, তখন যে বেশি লাভ করেছেন এ কথাও বলতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আলুর কেজি ১১ টাকা!

আপডেট সময় : ১১:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গত কয়েক বছর আলুর দাম বেশ চড়া থাকার পর এবছর দাম কমে এসেছে। আলু উৎপাদনে অন্যতম জেলা মুন্সীগঞ্জে এখন আলুর কেজি ১১টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গত মৌসুমে সেখানে প্রতি কেজির দাম উঠেছিল ৭০ টাকা পর্যন্ত।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের টারকী এলাকার ডালিম শেখ জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর আলুর দাম চড়া থাকার কারণে বেশ লাভবান হয়েছেন। বেশি লাভের আশায় এবার বেশি জমিতে আবাদ করেছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে যেখানে আলুর কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করেছেন, তা এখন ১১ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে লাভের আশা তো দূরের কথা, উল্টো লোকসানে পড়ার দুশ্চিন্তায় আছেন। শুধু ডালিম শেখ নন, জেলার হাজারো কৃষক এখন লোকসানের শঙ্কায় আছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে মুন্সীগঞ্জে ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। এ বছর সাড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুন্সীগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলেও বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি ও জমি চাষের খরচ বাড়ায় গতবারের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এরই মধ্যে হিমাগারের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জমি থেকে আলু সংরক্ষণ পর্যন্ত প্রতি কেজির দাম পড়বে ৩২-৩৩ টাকা। এখন আড়তে ১১ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এই দামে বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। কারণ উৎপাদন খরচ পড়েছে ২০ টাকার বেশি।

রাজধানীর দোকানগুলোতে আলুর কেজি ২৫-৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭-১৮ টাকা।

‘মাঠ পর্যায়ে ১১টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে, কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে’ এ কথা বলে রাজধানীর কাওরানবাজারের কিচেন মার্কেটে একজন ক্রেতা আব্দুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বছরের শুরুতে নতুন আলু যে ১০০টাকা দামে কৃষক বিক্রি করেছেন, তখন যে বেশি লাভ করেছেন এ কথাও বলতে হবে।