­
­
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
বিশ্বসেরা ৫৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বুয়েট-ঢাবি-নর্থ সাউথ  » «   ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব  » «   নৌকা হবে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত!  » «   মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে বাঁচানো গেল না, ধর্ষকের বাড়িতে আগুন, প্রতিবাদ  » «   এবার বিদায়ের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ  » «   ১৫ বছরের নিচে কেউ হজে যেতে পারবে না  » «   ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় আসলে কী ঘটেছিল?  » «   কাঠগড়ায় হাতকড়া পরা ইনু-জর্জ,  কুষ্টিয়ার আদালতে উত্তপ্ত এজলাস  » «   ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে করাসহ ৬ দাবি শিক্ষার্থীদের  » «   স্বাধীনতা পুরস্কার তালিকা থেকে ওসমানী বাদ, জিয়ার পুরস্কার পুনর্বহাল  » «   এবার জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০ টাকা  » «   প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর পদ ছাড়লেন অধ্যাপক আমিনুল  » «   লালমাটিয়ায় তরুণীকে লাঞ্ছনাকারী রিংকু গ্রেফতার  » «   এমপির বাড়ি দখল করা নারী সমন্বয়ক গ্রেফতার  » «   মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে আদালতে তোলা হলো ৪ আসামিকে, রিমান্ড মঞ্জুর  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

গত বছর রেকর্ড ৪৮১৩ প্রবাসী কর্মীর মরদেহ দেশে এসেছে



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

গত বছর রেকর্ড ৪ হাজার ৮১৩ প্রবাসী কর্মীর মরদেহ দেশে। এর আগে, ২০২৩ সালে দেশে এসেছিল ৪ হাজার ৫৫২ প্রবাসকর্মীর মরদেহ।
ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে পরিসংখ্যানে কোন দেশ থেকে কতজনের মরদেহ এসেছে তা আলাদা করা হয়নি।
২০২১ সালে ৩ হাজার ৮১৮ এবং ২০২২ সালে ৩ হাজার ৯০৪ বাংলাদেশি অভিবাসীর মরদেহ দেশে এসেছিল। ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের ওয়েবসাইটে গত ১৪ জানুয়ারী এই পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়।
প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি উন্নত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে যান। তাদের অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে মারা যান। তবে, তাদের সবার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো হয়নি পরিসংখ্যানে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ৫৬ হাজার ৭৬৯ প্রবাসীকর্মীর মরদেহ দেশে এসেছে।
বাংলাদেশী অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক জাছিয়া খাতুন বলেন, ‘বিদেশে অনেক বাংলাদেশি কর্মী অল্প বয়সে কাজ করতে গিয়ে মারা যান। তাদের মৃত্যুর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আছে, কারণ শ্রমিকদের আবাসন হয় নিম্নমানের। তাছাড়া, বিদেশে যাওয়ার খরচ উঠাতে তারা ব্যাপক চাপ নেন, অতিরিক্ত কাজ করেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খান না।
জাছিয়া খাতুন আরও বলেন, ‘মৃত্যু সনদে সাধারণত “হার্ট অ্যাটাক” উল্লেখ থাকে। তবে মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানার জন্য আরও পরীক্ষা করা উচিত।’

তিনি জানান, ‘ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড প্রবাসীকর্মীদের মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখে এবং কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে দাফন ও পরিবহন খরচ হিসেবে প্রতি মরদেহের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দেয়। এছাড়া, ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিটি মৃত্যুর জন্য ৩ লাখ টাকা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়েজ আর্নার্স বোর্ডের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত দেশে মোট ১৭ হাজার ৮৭১ মরদেহ এসেছে যার ৬৭ দশমিক ৪ শতাংশ এসেছে উপসাগরীয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন থেকে।
এর মধ্যে সৌদি থেকে ৫ হাজার ৬৬৬ জন, আমিরাত থেকে ১ হাজার ৯১৩ জন ও ওমান থেকে ১ হাজার ৮৯৩ মরদেহ এসেছে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিদেশ গেছেন মোট ১ কোটি ৬০ লাখ কর্মী, যাদের ৭৬ দশমিক ৩ শতাংশই গেছেন উপসাগরীয় ৬ দেশে।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন