ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

প্রতীকি ‘মধ্যবিত্ত পরিবার’ হিসাবে  রমজানের পুরো মাসের খাবার উপহার
আয়োজক: সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশনের ‘হাসি মুখে ইফতার’ প্রজেক্ট

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • / 903
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পবিত্র রমজান মাসে  হাসি মুখে ইফতার(Ifthar with Happiness)- শিরোনামে সমছুল করিমা ফাউন্ডেশন এর ধারাবাহিক প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীরা  সিলেটের কয়েকটি উপজেলায়  নিডি মানুষের ঘরে নিরবে পৌছে দিয়েছে  রমজানের খাদ্য সামগ্রী।

সমছুল- করিমা ইসলাম ফাউন্ডেশন  হাসি মুখে ইফতার প্রজেক্টে  – প্রতিটি পরিবারকে প্রতিকী ‘মধ্যবিত্ত পরিবার’ হিসাবে বিবেচনায় রেখে,  একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের যেভাবে  রমজান মাসের  ইফতার ও সেহরী খাওয়া হয়, সেভাবেই  প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনে দেয়া হয়। যাতে করে  পবিত্র রমজানে একজন স্বচ্ছল পরিবারের মতো  এইসব নিডি মানুষ  দুশ্চিন্তাহীনভাবে  রমজানে   আনন্দ নিয়ে  প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে রোজা রাখতে পারেন।

নিডি মানুষদের তালিকায় ছিল প্রতিবন্ধি , বিধবা, এতিম, নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার। সিলেটের বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, বড়লেখা ও জকিগঞ্জে  ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবিদের তত্বাবধানে অর্ধশতাধিক  পরিবার নির্বাচন করে নিরবে তাদের ঘরে পুরো রমজানের খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বড়লেখা উপজেলার একটি এতিম খানা ও হাফিজিয়া  মাদ্রাসার অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের  রমজানের ইফতার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।

এবারে খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে  উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ভোজ্য তেল, চাল,ডাল, ছোলাবুট, পিয়াজ, রসুন, আলু, ময়দা,চিনি, চা পাতা ,গুড় দুধ, খেজুর, বিস্কুট,  ইত্যাদি।

সমছুল- করিমা ইসলাম ফাউন্ডেশনের হাসি মুখে ইফতার প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক ইবাদুর রহমান জাকির জানান, স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতিটি পরিবারের সদস্য অনুপাতে তাদের খাবার বরাদ্ধ করে এবং নিজ দায়িত্বে, নিভৃত্তে অত্যন্ত সম্মানের সাথে খাবারগুলো ‘উপহার’ হিসাবে বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়েছে। যাতে  নিডি পরিবারগুলো  রমজানের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় না থাকেন।

যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত -হাসি মুখে ইফতার-২০২৩ প্রজেক্টটি  সফলভাবে সম্পন্ন করায় ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহি  কবি, সাংবাদিক  আনোয়ারুল ইসলাম অভি কার্যক্রমের সাথে যুক্ত সকল দাতা ও  স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

প্রসঙ্গত  অন্ধকারে আলো- শ্লোগাণ নিয়ে  ২০০৪ সাল থেকে  সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশন বিভিন্ন  মানবিক , শিক্ষা- শিক্ষক সম্পর্কিত এবং  সমাজসেবামূলক  ধারাবাহিক  নিজস্ব প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছে। ফাউন্ডেশনের  প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের বই প্রকাশ, ‘সবুজে হাসি  সবুজে বাঁচি’- প্রকল্পের মাধ্যমে  অস্বচ্ছল পরিবার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষ রোপন,  সৃজনশীল প্রকল্প- ’সৃষ্টি ঘর’ এর আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, প্রবীন অসহায়দের জন্য –’প্রশান্তির হাসি,’ ‘মানবিক স্বজন’ এর   আওতায়  নিভৃতে  বঞ্চিত ও দুস্থ মানুষের  ঘরে খাবার সামগ্রী বিতরণ  এবং  পবিত্র রমজান মাসে সুবিধা বঞ্চিত ও নিন্মবিত্ত  পরিবারের জন্য ‘হাসি মুখে ইফতার’ এবং  কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ‘আমার স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূলে  কাজ করছে। মূলত সবগুলো কাজে সাধ্যমতো ফাউন্ডেশন এর একটা সমাজবান্ধব আদর্শিক চিন্তা- চেতনা ও অনুপ্রেরণার স্ফোরণের প্রত্যয় থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রতীকি ‘মধ্যবিত্ত পরিবার’ হিসাবে  রমজানের পুরো মাসের খাবার উপহার
আয়োজক: সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশনের ‘হাসি মুখে ইফতার’ প্রজেক্ট

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

পবিত্র রমজান মাসে  হাসি মুখে ইফতার(Ifthar with Happiness)- শিরোনামে সমছুল করিমা ফাউন্ডেশন এর ধারাবাহিক প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীরা  সিলেটের কয়েকটি উপজেলায়  নিডি মানুষের ঘরে নিরবে পৌছে দিয়েছে  রমজানের খাদ্য সামগ্রী।

সমছুল- করিমা ইসলাম ফাউন্ডেশন  হাসি মুখে ইফতার প্রজেক্টে  – প্রতিটি পরিবারকে প্রতিকী ‘মধ্যবিত্ত পরিবার’ হিসাবে বিবেচনায় রেখে,  একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের যেভাবে  রমজান মাসের  ইফতার ও সেহরী খাওয়া হয়, সেভাবেই  প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনে দেয়া হয়। যাতে করে  পবিত্র রমজানে একজন স্বচ্ছল পরিবারের মতো  এইসব নিডি মানুষ  দুশ্চিন্তাহীনভাবে  রমজানে   আনন্দ নিয়ে  প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে রোজা রাখতে পারেন।

নিডি মানুষদের তালিকায় ছিল প্রতিবন্ধি , বিধবা, এতিম, নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার। সিলেটের বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, বড়লেখা ও জকিগঞ্জে  ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবিদের তত্বাবধানে অর্ধশতাধিক  পরিবার নির্বাচন করে নিরবে তাদের ঘরে পুরো রমজানের খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বড়লেখা উপজেলার একটি এতিম খানা ও হাফিজিয়া  মাদ্রাসার অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের  রমজানের ইফতার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।

এবারে খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে  উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ভোজ্য তেল, চাল,ডাল, ছোলাবুট, পিয়াজ, রসুন, আলু, ময়দা,চিনি, চা পাতা ,গুড় দুধ, খেজুর, বিস্কুট,  ইত্যাদি।

সমছুল- করিমা ইসলাম ফাউন্ডেশনের হাসি মুখে ইফতার প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক ইবাদুর রহমান জাকির জানান, স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতিটি পরিবারের সদস্য অনুপাতে তাদের খাবার বরাদ্ধ করে এবং নিজ দায়িত্বে, নিভৃত্তে অত্যন্ত সম্মানের সাথে খাবারগুলো ‘উপহার’ হিসাবে বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়েছে। যাতে  নিডি পরিবারগুলো  রমজানের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় না থাকেন।

যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত -হাসি মুখে ইফতার-২০২৩ প্রজেক্টটি  সফলভাবে সম্পন্ন করায় ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহি  কবি, সাংবাদিক  আনোয়ারুল ইসলাম অভি কার্যক্রমের সাথে যুক্ত সকল দাতা ও  স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

প্রসঙ্গত  অন্ধকারে আলো- শ্লোগাণ নিয়ে  ২০০৪ সাল থেকে  সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশন বিভিন্ন  মানবিক , শিক্ষা- শিক্ষক সম্পর্কিত এবং  সমাজসেবামূলক  ধারাবাহিক  নিজস্ব প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছে। ফাউন্ডেশনের  প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের বই প্রকাশ, ‘সবুজে হাসি  সবুজে বাঁচি’- প্রকল্পের মাধ্যমে  অস্বচ্ছল পরিবার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষ রোপন,  সৃজনশীল প্রকল্প- ’সৃষ্টি ঘর’ এর আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, প্রবীন অসহায়দের জন্য –’প্রশান্তির হাসি,’ ‘মানবিক স্বজন’ এর   আওতায়  নিভৃতে  বঞ্চিত ও দুস্থ মানুষের  ঘরে খাবার সামগ্রী বিতরণ  এবং  পবিত্র রমজান মাসে সুবিধা বঞ্চিত ও নিন্মবিত্ত  পরিবারের জন্য ‘হাসি মুখে ইফতার’ এবং  কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ‘আমার স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূলে  কাজ করছে। মূলত সবগুলো কাজে সাধ্যমতো ফাউন্ডেশন এর একটা সমাজবান্ধব আদর্শিক চিন্তা- চেতনা ও অনুপ্রেরণার স্ফোরণের প্রত্যয় থাকে।