ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 591
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই তাঁর আসামান্য নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙ্গালির দীর্ঘ ২৩ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পরিপূর্ণতা লাভ করে এবং সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ বিশ্বে একটি সার্বভৌম, ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।”

হাই কমিশনার বলেন, “পাকিস্তানের কারাগারে নয় মাসের বন্দিজীবন ও অবর্ণনীয় নির্যাতন থেকে ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে মুক্তিলাভের পর লন্ডন হয়ে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বগৌরবে প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও অবিস্মরণীয় ঘটনা।”

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথে লন্ডনে দুই দিনের সফরের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ ও লেবার পার্টি নেতা স্যার হ্যারল্ড উইলসন-এর সাথে বঙ্গবন্ধুর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে হাই কমিশনার বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু তখনই বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূদৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন।”

এপ্রসঙ্গে হাইকমিশনার মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ও পরবর্তীতে বাংলাদেশের পুনর্গঠনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের অসামান্য ভূমিকা ও অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তাঁরই সার্থক উত্তরসূরী ও সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার জন্য বিশেষ করে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জালাল উদ্দিন ও সৈয়দ মোজাম্মেল আলী বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সংবাদ সম্মেলন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য-প্রবাসি বাঙালিদের রিকগনাইজ বাংলাদেশ, স্টপ জেনোসাইড এবং রিলিজ বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন আন্দোলনের কথা স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-এর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়

আপডেট সময় : ০২:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই তাঁর আসামান্য নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙ্গালির দীর্ঘ ২৩ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পরিপূর্ণতা লাভ করে এবং সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ বিশ্বে একটি সার্বভৌম, ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।”

হাই কমিশনার বলেন, “পাকিস্তানের কারাগারে নয় মাসের বন্দিজীবন ও অবর্ণনীয় নির্যাতন থেকে ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে মুক্তিলাভের পর লন্ডন হয়ে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বগৌরবে প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও অবিস্মরণীয় ঘটনা।”

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথে লন্ডনে দুই দিনের সফরের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ ও লেবার পার্টি নেতা স্যার হ্যারল্ড উইলসন-এর সাথে বঙ্গবন্ধুর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে হাই কমিশনার বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু তখনই বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূদৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন।”

এপ্রসঙ্গে হাইকমিশনার মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ও পরবর্তীতে বাংলাদেশের পুনর্গঠনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের অসামান্য ভূমিকা ও অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তাঁরই সার্থক উত্তরসূরী ও সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার জন্য বিশেষ করে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জালাল উদ্দিন ও সৈয়দ মোজাম্মেল আলী বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সংবাদ সম্মেলন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য-প্রবাসি বাঙালিদের রিকগনাইজ বাংলাদেশ, স্টপ জেনোসাইড এবং রিলিজ বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন আন্দোলনের কথা স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-এর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।