বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন বিসিএর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আগামী ৫ মার্চ ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাজ্যে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহি এই সংগঠনের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। গত ২১ নভেম্বর সোমবার পূর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন হলে সাফরণ প্যালেন এর আনুষ্ঠানিক পরিচিতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শতাধিক ক্যাটারার্সদের উপস্থিতিতে সাফরন প্যানেল তাদের প্রধান চারটি পদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। তারা হলেন- প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী-বিসিএর সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল অলি খান এমবিই, সেক্রেটারী জেনারেল পদে- বিসিএর বর্তমান সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী, চীফ ট্রেজারার পদে- বিসিএ’র ইস্ট মিডল্যান্ড রিজওনের প্রেসিডেন্ট টিপু রহমান এবং অর্গানাইজিং সেক্রেটারী পদে বিসিএর বর্তমান প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু।
ক্যাম্পেইন ম্যানেজার এ এস এম বাবলা, বিসিএর চীফ ট্রেজারার কাউন্সিলার মুজিবুর রহমান ঝুনু ও ইসতিয়াক হোসেন দুদুর পরিচালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও সাফরণ প্যালেন ইশতেহার পাঠ করেন- প্যানেলের সিনিয়র উপদেষ্টা, বিসিএ’র সাবেক প্রেসিডেন্ট কামাল ইয়াকুব। তিনি ‘এক্সেল এন্ড সাকসিড‘- শ্লোগাণে অলি-মিঠু-টিপু প্যানেল এর চব্বিশ দফা অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
প্যানেলের সিনিয়র উপদেষ্টা কামাল ইয়াকুব পরে সাফরণ প্যানেল এর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী অলি খান এমবিই,সেক্রেটারী পদপ্রার্থী মিঠু চৌধুরী, চিফ ট্রেজারার পদপ্রার্থী টিপু রহমান, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী পদপ্রার্থী ফরহাদ হোসেন টিপু, ক্যাম্পেইন ম্যানেজার এ এস এম বাবলাকে নিয়ে প্রকাশিত ইশতেশার ও ওয়েভ সাইট ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ।
এসময় অলি-মিঠু-টিপু প্যানেলকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- বিসিএ’র সাবেক অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মোহাম্মদ ফজল উদ্দিন, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও বিসিএর উপদেষ্টা ড. হাসনাত হোসেইন এমবিই,সিনিয়র সাংবাদিক ও কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরী, ব্রিটিশ বাংলাদেশী চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহগীর বখত ফারুক, বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের সিইও সাব উদ্দিন, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবুল লেইছ, বিসিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মসউদ আহমদ ও মেহেরুল ইসলাম, বিসিএ মিডল্যান্ড শাখার প্রেসিডেন্ট শেলু মিয়া, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান মুহিব, রাজনগর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট মাসুদ তাপাদার।
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন বিসিএ’র সারি রিজওনের সেক্রেটারী সৈয়দ হাসান, ইস্ট অফ ইংল্যান্ড রিজওনের প্রেসিডেন্ট জিয়া আলী, বিসিএর জয়েন্ট চীফ ট্রেজারার আবজল হোসেন,মেম্বারশীপ সেক্রেটারী ইয়ামিন দিদার,সিনিয়র ক্যাটারার জিলানী চৌধুরী, এসিসটেন্ট মার্কেটিং সেক্রেটারী শহিদুল হক চৌধুরী লিটন, সিনিয়র ক্যাটারার ও উদ্যোক্তা হোসেন আহমদ, কাউন্সিলার শহিদুল্লাহ, ব্রিটিশ বাংলাদেশী বিজনেস ফোরাম এর ফাউন্ডার সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম খান,বিসিএর মার্কেটিং সেক্রেটারী নাজ ইসলাম, কেন্ট রিজওনের কনভেনার জাকির চৌধুরী, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্ট ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান,আরথা এওয়ার্ড ও শেফ অনলাইনের ফাউন্ডার এম এ মুনিম সালিক, বিবিবিএফ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মালিক, ব্রেন্ট কাউন্সিলের সাবেক মেয়র কাউন্সিলার পারভেজ আহমদ, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাস পাশা,এটিএন বাংলার সিইও হাফিজ বখস,লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী তাইছির মাহমুদ, কাউন্সিলার এনাম হক, সাবেক এনইসি মেম্বার তৌরিছ আলী, কাউন্সিলার রিটা বেগম, কাউন্সিলার আয়শা চৌধুরী ,মাস্টার শেফ এর ফাউন্ডার কাউন্সিলার রইছ আলী,মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক কাউন্সিল ইউকের ট্রেজারার সৈয়দ শামীম ইসলাম, বিসিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল করিম নাজিম,ওয়ারথিং কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার ফেরদৌসী হেনা চৌধুরী, গিলফোর্ড কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার মাসুক মিয়া,সিনিয়র ক্যাটারার ইমরান চৌধুরী, সংগঠক শাহ মাহমুদ, ইস্ট সাসেক্স বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট এম এ মুকিত।
অনুষ্ঠানে ভোট অফ থ্যাংকস প্রদান করেন বিসিএ’র প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু।
বক্তারা আগামী ৫ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বিসিএর নির্বাচনে অলি-মিঠু-টিপু প্যানেল এর জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রার্থীদের বিসিএ এর জন্য তাদের অতীতের কর্মকান্ডের ভূয়সি প্রশংশা করেন। এবং আগামীদিনে মেধা ও শ্রমে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ব্রিটেনে বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাস্ট্রিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে লীডারশীপ ভূমিকা রাখতে নির্বাচনে তাদের প্রতি আস্থা রাখা যায় বলে মত প্রকাশ করেন।
সাফরণ প্যানেল এর ইশতেহার ও ২৪ দফার বিস্তারিত:
আমাদের লক্ষ্য ও ভবিষ্যত সাফল্যের পরিকল্পনা
আমরা বিসিএ‘র কর্মীবান্ধব মৌলিক চিন্তার তিন সদস্য – অলি খান এমবিই, মিঠু চৌধুরী এবং টিপু রহমান আসন্ন বিসিএ ‘র নির্বাচনে যথাক্রমে প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারী জেনারেল এবং চীফ ট্রেজারার পদে দাড়িয়েছি।
অলি খান বিসিএ‘র একজন সফল সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল এবং মিঠু চৌধুরী বর্তমান কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল। সাংগঠনিক ও চ্যালেঞ্জিং কাজে আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। চীফ ট্রেজারার পদপ্রার্থী টিপু রহমান একজন দক্ষ ও সৃষ্টিশীল চিন্তা-চেতনার পরিশ্রমী সংগঠক।
সর্বোপরি, আমরা তিনজনই সফল ব্যবসায়ী। সফল উদ্যোক্তা হিসাবে আমাদের ইতিবাচক পরিচয় আছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাস্তবতার আলোকে ব্যবসায়ে উদ্ভাবনী চিন্তা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে কারী ইন্ড্রাস্ট্রির চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলায় বিসিএ‘র লীডারশীপ দায়িত্ব পালনে আমরা সক্ষম হবো।
অলি-মিঠু-টিপু প্যানেল এর একটি সুনিদৃষ্ট, কারী ইন্ড্রাস্ট্রির কল্যাণ বান্ধব লক্ষ্য আছে । একই সাথে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কারী ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য নেতৃত্বশীল কাজ করার প্রত্যয় রাখছে। এই চিন্তাকে মাথায় রেখে আমাদের শ্লোগাণ হলো- ‘এ ভিশন টু এক্সেল এন্ড সাকসিড(A Vision to Excel & Succeed)।
কারী ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন কারী শিল্পের সমস্যা , উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সম্পর্কে অবগত। এগুলো কাটিয়ে উঠতে চাই উচ্চকণ্ঠের কর্মউদ্দীপক নেতৃত্ব।
আমাদের লক্ষ্য কারী ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য একটি শক্তিশালী ভয়েস তুলে ধরা:
অলি খান এমবিই,এফআরএসএ,পিএইএফ, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী
নেতৃত্বে তাঁর রয়েছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি বিসিএ’র সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল ও বিসিএর বর্তমান সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ।
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী অলি খান একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সেলিব্রেটি শেফ। কারী শিল্পের একজন উদ্যোক্তা।মানবিক ও সেবামূলক কাজের জন্য তিনি ব্রিটিশ-এশীয় কমিউনিটিতে একজন প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব।
করোনা মহামারী সময়ে এনএইচএস স্টাফ, কেয়ার হোম এবং নিডি মানুষদের মধ্যে খাদ্য সহ অন্যান্য জরুরি সহায়তা দিয়ে পাশে থেকেছেন। অলি খান এনএইচ স্টাফ সহ ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার, জিপি ও অন্যান্য নিডি প্রতিষ্ঠানে ১৫হাজারেরও বেশী গরম খাবার বিতরণ করে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত রাখেন।
অলি খান ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনিয়ন ভাজি তৈরী করে গিনিজ বুক অব দ্যা ওয়াল্ড রেকর্ড অর্জন করেন এবং এটি লন্ডনের ৫শত গৃহহীন মানুষকে বিতরণ করেন।
অলি খান কোভিড-১৯ মহামারী সময়ে বিশেষ করে হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্ট্রি ও মানবিক কাজের জন্য ব্রিটেনের রাণী কর্তৃক ‘মেম্বার অফ দ্যা অর্ডার অফ দ্যা ব্রিটিশ এম্পায়ার'( এমবিই) স্বীকৃতি লাভ করেন।
২০২০ সালে হার্টফোর্ডশায়ারের এইচএম লর্ড লেফটেনেন্ট অলি খানকে ‘হিরো অফ হার্টফোর্ডশায়ার‘ খেতাবে ভূষিত করেন। এছাড়াও একই সালে তিনি মর্যাদাকর ‘প্রাইড অফ স্টিভেনেজ‘ পুরস্কার লাভ করেন।
কারী শিল্পের সমস্যা ও এথেকে উত্তোরণের দিকগুলো নিয়ে তিনি ব্রিটিশ মূলধারার মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় তার গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেন।
অলি-মিঠু-টিপু প্যানেলের লক্ষ্য হলো- বিসিএ এবং কারি শিল্পের মধ্যে গুণগত ও বাস্তবভিত্তিক পরিবর্তন নিয়ে আসা।
আমাদের কর্মদক্ষতা ও দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে আমরা অনুকরণীয় কিছু করতে চাই।‘ঐক্যবদ্ধভাবে অনেক কিছু করা সম্ভব‘- এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে আমাদের ক্রিয়েটিভ ও মেধাবি টিম বিসিএ’র মেম্বার ও নেতৃবৃন্দের পরামর্শ নিয়ে বিসিএকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় রাখছে।
মিঠু চৌধুরী,সেক্রেটারী জেনারেল পদপ্রার্থী
মিঠু চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের সিলেটে। স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পাশ করার পর এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পাশ করেন।
এর পরেই তিনি যুক্তরাজ্যের কেন্টের মেইডস্টোন শহরে ভাইদের সাথে যোগ দেন।
মেইডস্টোনের মিড কেন্ট কলেজে বিটিইসি বিজনেস এবং ফাইন্যান্স বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। এবং একই সময়ে পারিবারিক রেস্টুরেন্টে একটি খণ্ডকালীন চাকরিতে যোগ দেন। এর ৩বছর পর, মিঠু চৌধুরী হ্যারিয়েটশামে প্রথম রেষ্টুরেন্ট খোলেন। ১৯৯৩ সালে শুরু করেন মেইডস্টোন-এ দি মুঘল ডায়নাসটি । একই সময়ে তিনি কেন্টের ক্যান্টারবারির ক্রাইস্ট চার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিতে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও ১৯৯৩ সালে তিনি প্রোপ্রার্টি বিজনেসে যোগ দেন।
ঐতিহ্যবাহী দি মুঘল ডায়নাসটি রেষ্টুরেন্ট মিঠু চৌধুরী আজ অবধি অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালনা করছেন।
ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে তার আগ্রহ- মূলত ক্যান্টের মেইডস্টোনের কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগদানে উদ্ধুদ্ধ করে। তিনি তার স্থানীয় এমপি হেলেন গ্রান্টের পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা করেন।
সাংগঠনিক কাজে অভিজ্ঞ মিঠু চৌধুরী যুক্তরাজ্যে প্রথম রেস্টুরেন্ট খোলার পরই যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাস্ট্রির প্রাচীনতম সংগঠন বিসিএ-এর সদস্য হোন। প্রথমে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট, পরে জয়েন্ট চীফ ট্রেজারার এবং তিনি বর্তমানে বিসিএ-এর একজন সফল সেক্রেটারী জেনারেল এর দায়িত্ব পালন সহ কারি শিল্পের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
কারী ইন্ড্রাস্ট্রির বর্তমান সমস্যা এনার্জি ক্যাপ, ভিএটি রিডাকশন,বিজনেস রেইট ফ্রিজ সহ নানাবিদ সমস্যা নিয়ে সকল সময় সোচ্চারভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই মেধাবী ও উদ্যোমী সংগঠক।
টিপু রহমান,চীফ ট্রেজারার পদপ্রার্থী
টিপু রহমান যুক্তরাজ্যে আসেন ৩০ বছর আগে। যুক্তরাজ্যের লেস্টারে তার ভাইয়ের রেষ্টুরেন্টে কাজে যোগ দেন। একসময় সেখানে একজন শেফ হিসাবে কাজের মাধ্যমে খুঁজে পান দক্ষিণ এশীয় খাবারের মৌলিক ও গুণগত দিকগুলো।যা তাকে কারী ইন্ড্রাস্ট্রিতে বেশী করে মনোনিবেশ করতে অনুপ্রাণিত করে।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশী ও নেপালি রেস্তোরাঁ ‘টামারিন্ড’ প্রতিষ্ঠা করেন। রেষ্টুরেন্টটি নর্দাম্পটনে একটি ব্যবসা সফল রেস্টুরেন্ট হিসাবে সুনাম এবং অনেকগুলো সম্মাননা এওয়ার্ড লাভ করে।
তার কাজের স্বীকৃতি হিসাবে ‘ইন্টারন্যাশনাল শেফ অফ দ্যা ইয়ার 2009-10’ লাভ করেন। এছাড়াও বেস্ট ভেজিটেরিয়ান ডিস এর জন্য পেয়েছেন ‘লেডি ফ্রেজার এওয়ার্ড“।
২০১২ সালে ‘দ্যা টলেস্ট স্টাক অফ পাপাডাম’-তৈরী করে গিনেজ বুক অফ দ্যা ওয়াল্ড রেকর্ড এর সম্মান অর্জন করেন। এছাড়াও ২০১২ সালে বিসিএ ন্যাশনাল শেফ অফ দ্যা ইয়ার লাভ করেন।
টিপু রহমান অফিসিয়াল স্কাউট জাম্বুরির জন্য তার স্বাক্ষরযুক্ত খাবার প্রস্তুত করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে- কান্ট্রি কালিনারী এম্বাসেডর হিসাবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যিক ও মৌলিক খাবার রান্না করে পরিবেশন করেন।
তিনি বর্তমানে বিসিএ’র ইস্ট মিডল্যান্ড রিজওনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সফলভাবে বিসিএর ২০১৫ ও ২০১৬ সালের এওয়ার্ড এর শেফ অব দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন। নর্দাম্পটন কলেজে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাটি জাতীয় গণমাধ্যম বিবিসি ও আইটিভি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে।
টিপু রহমান আন্তর্জাতিক ভ্যাঞ্চার হিসাবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অভিজাত শুলশান -২ এলাকায় একটি ফ্ল্যাগশীপ ফাইন ডাইনিং – ‘টি আর লাউঞ্জ‘ প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
টিপু রহমানের মূল লক্ষ্য- রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ের ষ্টাফদের পেশাগত দক্ষতা লাভের জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং যেমন- হেলথ এন্ড সেফটি,কুকিং, হেলথি ফুড, ভেগান ফুড, নিউ রেসিপিস ইত্যাদি পরিচালনা করবেন। এছাড়াও বিসিএ মেম্বারদের নিয়ে নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের মাধ্যমে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সাফল্য অর্জনের উপায় বের সহ সর্বাত্ন সহযোগিতা করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
আমাদের প্যানেলের সিনিয়র উপদেষ্টা হলেন বিসিএর সাবেক প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল ইয়াকুব,ক্যাম্পেইন ম্যানেজার বিসিএ‘র সিনিয়র নেতা ও এনইসি মেম্বার এ এস এম বাবলা, জয়েন্ট ক্যাম্পেইন ম্যানেজার যথাক্রমে বিসিএ’র সিনিয়র সহ সভাপতি ফায়জুল হক ও গোলাম রব্বানী, বিসি ‘র প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু ও মার্কেটিং সেক্রেটারী নাজ ইসলাম।
‘এক্সেল এন্ড সাকসিড‘- শ্লোগাণে আমাদের চব্বিশ দফা অঙ্গীকার:
অলি-মিঠু-টিপু পরিষদের চব্বিশ দফা ইশতেহার কর্মসূচির মাধ্যমে বিসিএকে আরও সফল ও শক্তিশালি করার প্রয়াস রয়েছে। আমরা কঠোর পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা ও মেধার সমন্বয়ে বিসিএর সকল সদস্যদের স্বার্থকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিয়ে রাখতে চাই। গোটা হসপিটালিটি সেক্টর ও যুক্তরাজ্যের সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে বিসিএ একটি শক্তিশালী ভয়েস হয়ে কাজ করার লক্ষ্যে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট সময়ে , বিসিএ স্টেকহোল্ডারদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। বিসিএর প্রেসিডেন্ট,সেক্রেটারী জেনারেল এবং চিফ ট্রেজারার এর নেতৃত্বে সাফরন প্যানেল-এর ২৪টি অঙ্গীকার আমরা বিসিএ মেম্বারদের কাছে তুলে ধরছি-
লবিং:
- যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রবৃত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ে ব্যবসাকে একটি কারী ট্রেড হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে লবিং এবং কার্যকরী তদবির করবে- যাতে যে কোন সংকটে বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাস্ট্রি একটি শক্ত অবস্থানে থাকে।
ভ্যাট:
- আমরা নিশ্চিত করতে চাই-আগামী সংকট সময়েও যেন ভ্যাট কমানো ও ফ্রিজ রাখা হয়। হসপিটালিটি খাতে অতীতে ৫% ভ্যাট হ্রাস করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তা পূণরায় ২০% করা হয়েছে। আমরা ভ্যাট কমানো সহ অন্যান্য সহায়তা পাওয়ার জন্য সর্বাত্ন লবিং করবো। এবং HMRC- এর উপর চাপ সৃষ্টি করে- ফ্লাট রেইট থ্রেশহোল্ড এক লাখ পঞ্চাশ হাজার থেকে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার করতে জোর লবিং করবো। যা বাস্তবায়িত হলে কারী ইন্ড্রাস্ট্রি উপকৃত হবে।
বিজনেস রিলিফ :
- কারী শিল্পের জন্য জরুরী ভিত্তিতে সরকারের বিশেষ সহায়তা প্রকল্প সময়ের দাবী । নানাবিদ সমস্যায় নিমজ্জিত কারী ব্যবসাকে বাঁচাতে দরকার সকল সুযোগ -সুবিধা সহজ করা ও দ্রব্যমূল্য কমিয়ে রাখা। সর্বোপরি সকল সমস্যা উত্তোরণের সকল প্রক্রিয়াকে দ্রুত কার্যকর করা।
দক্ষ স্টাফ আনতে প্রচেষ্টা:
- সহজ ও সাশ্রয়ী শর্তে দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়া থেকে রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ের জন্য দক্ষ স্টাফ আনার জন্য APPG এবং স্থানীয় এমপি এবং লবিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সহজ এবং সাশ্রয়ী শর্তে দক্ষ কর্মী আনার জন্য APPG এবং স্থানীয় এমপিদের সাথে লবিং করা হবে।
কাউন্সিল ট্যাক্স কমানো এবং বিজনেস রেইট রিলিফ :
লোকাল কাউন্সিলের অব্যাহত ট্যাক্স বৃদ্ধি সহ অন্যান্য ব্যবসাবান্ধব সুবিধা দিন দিন সংকোচিত হচ্ছে। এসব সমস্যা নিরসনে আমরা সব সময় সোচ্চার থাকবো।
জীবনযাত্রা ও জ্বালানি ব্যয়:
সরকার থেকে জ্বালানি ও অন্যান্য ব্যয় মোকাবেলায় সহযোগিতা না পেলে ইতিহাসের সবচেয়ে সংকট অবস্থায় পড়বে কারী ইন্ড্রাস্ট্রি ।ইতিমধ্যে অব্যাহতভাবে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এই শিল্পে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা মানুষ বাইরের খাবার খাওয়া বহুলাংশে কমিয়ে দিয়েছে। কস্ট অফ লিভিং ক্রাইসিস বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন ও লবিং করা হবে। যাতে কারী শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।
বিসিএ সদস্যদের অংশগ্রহন এবং সহযোগিতা :
স্টাফ সংকট :
- স্টাফদের প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে না থাকার প্রধান কারণ হচ্ছে কারী ইন্ড্রাস্ট্রিতে প্রকট স্টাফ সংকট। যা রেস্টুরেন্ট ব্যবসার অন্যতম একটি সমস্যা বলে ধরে নেয়া হয়।যদিও সরকার হসপিটালিটি খাতে ইমিগ্রেশন নীতি সহজীকরণের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক রেষ্টুরেন্ট অব্যাহত ষ্টাফ সংকটের কারণে তাদের ব্যবসার সময় কমাতে বাধ্য হচ্ছে। বিসিএ সবসময় স্টাফদের স্থায়ী করণে বিশ্বাসী। স্টাফ সংকট মোকাবেলায় বিসিএ সদস্যদের অংশগ্রহন এবং সহযোগিতা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।
ক্রিয়েটিভ প্রযুক্তি :
- করোনা মহামারী সময়ে হসপিটালিটি খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। এসেছে অনেক পজিটিভ পরিবর্তন।মূলত প্রযুক্তিগুলো ব্যবসাকে পরিবর্তনশীল চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং কাস্টমারদের পরিসেবা দিতে সাহায্য করেছে। কাস্টমার এই দীর্ঘ সময়ে প্রযুক্তিগত স্মার্ট সেবা পেয়ে তাদের মধ্যে একরকম উচ্চতর প্রত্যাশা বেড়েছে।স্বাভাবিকভাবে গতানুগতিকভাবে পরিচালিত ব্যবসায়ীরা কাস্টমারদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দিন দিন ব্যবসা বন্ধের ঝুকিতে পড়ছেন।এইসব প্রযুক্তিগত ব্যবসায়িক সুবিধা থেকে যারা এখনও নানাকারণে পিছিয়ে আছেন তাদেরকে দক্ষ করে তুরতে বিসিএ কাজ করবে।
- সাধারণ সদস্যরা বিসিএ কর্তৃক মূলায়িত হবেন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে আরও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রতিটি সদস্য তাদের রেষ্টুরেন্টের জন্য মেম্বারশিপ ওয়েলকাম প্যাক সহ একটি মেম্বারশিপ কার্ড এবং উইন্ডো স্টিকার পাবেন।
- আমরা একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবো- যেখানে বিসিএ মহিলারাও কারি শিল্পের অংশ হবেন এবং তাদের স্বামী/সঙ্গীকে ব্যবসায় সহায়তা করবেন।
- বিসিএ সদস্যদের জন্য ব্যবসার সামগ্রিক ব্যয় কমাতে কারী ইন্ড্রাস্ট্রির কাঁচামাল ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
- দীর্ঘমেয়াদী রেস্টুরেন্ট স্টাফ সংকট কাটিয়ে উঠতে দক্ষ কর্মী তৈরিতে যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষণ স্কিম চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। এবং এই প্রশিক্ষণ স্কিমের জন্য সরকারী তহবিলের আবেদন করা হবে।
- নিয়মিত কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে আঞ্চলিক কার্যক্রম বাড়ানো হবে এবং কারী শিল্পকেন্দ্রিক চলমান সমস্যা উত্তোরণে অভিজ্ঞদের আমন্ত্রণ ও পরামর্শ নেয়ার সুযোগ তৈরী করা হবে। এবং বিসিএর সাধারণ সদস্যদের আজীবন সদস্য হতে উৎসাহিত করা হবে।
- তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসায় আকৃষ্ট করার পাশাপাশি তাদের ব্যবসায় সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করা হবে। এবং বিসিএর বিভিন্ন রিজওনের নেতৃবৃন্দের ক্ষমতায়ন এবং তাদের স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বশীল অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ব্যবস্থা গুরুত্ব সহকারে করা হবে।
প্রশিক্ষণের উদ্যোগ
- নতুন করে শুরু করা ছোট ও মাঝারি রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ে ব্যবসায়িদের প্রয়োজনে বিসিএ ব্যবসায়িক পরামর্শ ও সহায়তা করবে।এছাড়াও ফুড হাইজিন, ভেগান ফুড ও এলার্জি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ফ্রি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
- কারী শিল্প যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই শিল্পের প্রসারে আমাদের সকল ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সরকারের সকল ধরণের সহযোহিতা ও সাহায়্যের জন্য আমরা কাজ করবো।
- জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রভাব নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা সবখানে চলছে। আমাদের ব্যবসা শুধু মাত্র অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার জন্য নয়। পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তায় আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকা জরুরী। বিসিএ বিশ্বের অন্যতম বড় সংকট ক্লাইমেট চেঞ্জ মোকাবেলায় বাস্তবধর্মী উদ্যোগ নিবে।
বিসিএ মিডিয়া কভারেজ
- কারি শিল্পের নানা বিষয়ে খবর, সাফল্য ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে ত্রৈমাসিক নিউজ লেটার প্রকাশ করবে। নিউজ লেটারটি যুক্তরাজ্যের প্রত্যেক বিসিএ সদস্যের কাছে পৌঁছানো হবে।
- বিসিএ সদস্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ও ভেগান খাবারের উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ক্যাটারার্সদের অনুপ্রাণিত করতে কাজ করবে।
বিসিএ ভবন
- আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য হলো- বিসিএর জন্য একটি নিজস্ব ভবন ক্রয় করা। যাতে নিকট ভবিষ্যতে আমাদের তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া না দিয়ে সংগঠনের অর্থ সাশ্রয় করতে পারি।
বিসিএর আগামীর মৌলিক চিন্তা :
- তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যত। বিসিএ তরুণ শেফ এবং রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ে ব্যবসায়িদের প্রশিক্ষণ, সঠিক পথে বিনিয়োগে এবংস্টাফদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
- নতুন প্রজন্মের ক্যাটারার্সদের অন্তর্ভুক্ত করতে অনুপ্রাণিত করবে। আমাদের বিশ্বাস নতুন প্রজন্মরা ব্যবসায় নতুন উদ্ভাবনী পদ্ধতির পাশাপাশি ক্রিয়েটিভ ও পজিটিভ কাজের মাধ্যমে কারী শিল্পে আলোকিত প্রভাব রাখতে পারবে।
বিসিএ ভেটেরান সম্মাননা:
- ক্যাটারার্সদের কারী ইন্ড্রাস্ট্রি সহ কমিউনিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কাজের স্বীকৃতি ও সম্মান প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও কর্মীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা জোগায়। যারা দীর্ঘদিন কাজ করে অবসরে আছেন,অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরকে সম্মান জানানোর উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিসিএ চ্যারিটি উইং :
- বিসিএ ফাউন্ডেশন নামে নিজস্ব চ্যারিটি ফান্ডে প্রত্যেক সদস্যের ফি থেকে ৫ পাউন্ড করে ফাউন্ডেশনে দান করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিসিএ-তে যোগ দিন এবং কারি শিল্পের ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিন :
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশীদের পরিচালিত কারি ইন্ড্রাস্ট্রিতে বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ কাজ করেন। যাদের বেশীরভাগই বাংলাদেশী । ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাস্ট্রির অবদান বছরে ৪.৫ বিলিয়ন পাউন্ড । ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিসিএ যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর ব্রিটেনের মূলধারার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী,পেশাজীবী ও সেলিব্রেটিদের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কারী এওয়ার্ডস প্রদান করে থাকে। (বিজ্ঞপ্তি)