ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

ইউরোপে জ্বালানি সংকট চরমে, বিকল্প ভাবতে হচ্ছে ইউরোপকে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
  • / 975
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ছবি : বিবিসি

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাত জ্বালানি যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ভয়াবহভাবে অবনতি হয়েছে। এরই মধ্যে ইউরোপের বেশ কিছু দেশে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। তাছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন চলতি বছরের মধ্যেই রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায়। এতে পুরো ইউরোপ অঞ্চলেই জ্বালানি সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে আসন্ন শীতে ইউরোপের কী হবে, আগুন বা বাতি কি জ্বলবে?

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে, যা আরও অবনতির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, গ্যাসের মূল্য বা প্রভাব নিয়ন্ত্রণে তারা বিদ্যুতের বাজারে পরিবর্তন আনবে। এদিকে ফ্রান্স ভোক্তাদের জ্বালানির ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এক মাস আগেও মানে করা হচ্ছিল সংকট এড়ানো সম্ভব। কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রাকৃতিক গ্যাসের রপ্তানি বাড়িয়েছে। দেশটি থেকে ইউরোপের গ্যাস আমদানি সেপ্টেম্বরে ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে মে মাসে ১৫ শতাংশ হয়েছে।

এদিকে রাশিয়া থেকে অঞ্চলটিতে জ্বালানি ৪০ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। জানা গেছে, রাশিয়া এরই মধ্যে বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ তারা রুবলে পরিশোধ করতে রাজি হয়নি।

তবে এরমধ্যে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঘটে গেছে। ৮ জুন একটি অগ্নিকাণ্ডে টেক্সাসের ফ্রিপোর্ট গ্যাস-তরলীকরণ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়, ধারণা করা হচ্ছে এই সমস্যা ৯০ দিন স্থায়ী হবে। এতে ইউরোপ দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ গ্যাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর এক সপ্তাহ পরেই রাশিয়ার কোম্পানি ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমানোর কথা জানায়। ফলে আরও সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ গ্যাস হারায় অঞ্চলটি।

এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপে শীতের মৌসুমে কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ পরিবেশ উষ্ণ রাখতে এসময় অঞ্চলটিতে বাড়তি গ্যাসের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ইউরোপে বিদ্যুতের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। অন্যদিকে বেশ কিছু কারণে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসও কমে গেছে। ফ্রান্সের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কমেছে উৎপাদন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো চলতি বছরের গ্রীষ্মের শুরুতে ইউরোপজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। এতে জ্বালানির চাহিদা বেড়ে গেছে।

এখন ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো জ্বালানি ইস্যুতে বাণিজ্য ঠিক রাখা। অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানি করতো ফ্রান্স। এখন তারা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আমদানি করছে। সরবরাহ কমায় ঝুঁকিতে রয়েছে জার্মানিসহ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো। ব্রেক্সিট নিয়েও সমস্যা রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো জ্বালানির বিকল্প উৎস খুঁজতে শুরু করেছে। চলতি বছর জার্মানি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে নজর দিয়েছে। অস্ট্রিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ড জানিয়েছে তারা কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করবে। অঞ্চলটিতে কিছু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও চালু হতে পারে। তবে এত কিছুর পরেও ইউরোপে বিদ্যুতের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। তাই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যে জ্বালানি যুদ্ধ শুরু হয়েছে তাতে সংকট মোকাবিলায় বিকল্প ভাবতে হচ্ছে ইউরোপকে।

সৌজন্যে : জাগো নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইউরোপে জ্বালানি সংকট চরমে, বিকল্প ভাবতে হচ্ছে ইউরোপকে

আপডেট সময় : ০৫:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২

 

ছবি : বিবিসি

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাত জ্বালানি যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ভয়াবহভাবে অবনতি হয়েছে। এরই মধ্যে ইউরোপের বেশ কিছু দেশে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। তাছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন চলতি বছরের মধ্যেই রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায়। এতে পুরো ইউরোপ অঞ্চলেই জ্বালানি সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে আসন্ন শীতে ইউরোপের কী হবে, আগুন বা বাতি কি জ্বলবে?

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে, যা আরও অবনতির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, গ্যাসের মূল্য বা প্রভাব নিয়ন্ত্রণে তারা বিদ্যুতের বাজারে পরিবর্তন আনবে। এদিকে ফ্রান্স ভোক্তাদের জ্বালানির ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এক মাস আগেও মানে করা হচ্ছিল সংকট এড়ানো সম্ভব। কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রাকৃতিক গ্যাসের রপ্তানি বাড়িয়েছে। দেশটি থেকে ইউরোপের গ্যাস আমদানি সেপ্টেম্বরে ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে মে মাসে ১৫ শতাংশ হয়েছে।

এদিকে রাশিয়া থেকে অঞ্চলটিতে জ্বালানি ৪০ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। জানা গেছে, রাশিয়া এরই মধ্যে বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ তারা রুবলে পরিশোধ করতে রাজি হয়নি।

তবে এরমধ্যে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঘটে গেছে। ৮ জুন একটি অগ্নিকাণ্ডে টেক্সাসের ফ্রিপোর্ট গ্যাস-তরলীকরণ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়, ধারণা করা হচ্ছে এই সমস্যা ৯০ দিন স্থায়ী হবে। এতে ইউরোপ দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ গ্যাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর এক সপ্তাহ পরেই রাশিয়ার কোম্পানি ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমানোর কথা জানায়। ফলে আরও সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ গ্যাস হারায় অঞ্চলটি।

এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপে শীতের মৌসুমে কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ পরিবেশ উষ্ণ রাখতে এসময় অঞ্চলটিতে বাড়তি গ্যাসের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ইউরোপে বিদ্যুতের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। অন্যদিকে বেশ কিছু কারণে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসও কমে গেছে। ফ্রান্সের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কমেছে উৎপাদন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো চলতি বছরের গ্রীষ্মের শুরুতে ইউরোপজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। এতে জ্বালানির চাহিদা বেড়ে গেছে।

এখন ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো জ্বালানি ইস্যুতে বাণিজ্য ঠিক রাখা। অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানি করতো ফ্রান্স। এখন তারা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আমদানি করছে। সরবরাহ কমায় ঝুঁকিতে রয়েছে জার্মানিসহ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো। ব্রেক্সিট নিয়েও সমস্যা রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো জ্বালানির বিকল্প উৎস খুঁজতে শুরু করেছে। চলতি বছর জার্মানি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে নজর দিয়েছে। অস্ট্রিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ড জানিয়েছে তারা কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করবে। অঞ্চলটিতে কিছু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও চালু হতে পারে। তবে এত কিছুর পরেও ইউরোপে বিদ্যুতের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। তাই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যে জ্বালানি যুদ্ধ শুরু হয়েছে তাতে সংকট মোকাবিলায় বিকল্প ভাবতে হচ্ছে ইউরোপকে।

সৌজন্যে : জাগো নিউজ