ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

৯ মাসে হবিগঞ্জে আত্মহত্যা করেছেন ১২২ জন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
  • / 1097
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জে বেড়েছে অপমৃত্যুর ঘটনা। পারিবারিক কলহসহ ব্যক্তিগত নানা সমস্যার কারণে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে। চলতি বছরের ৯ মাসে হবিগঞ্জে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন ১২২ জন। এর মধ্যে বিষপানে ৫৬ এবং গলায় ফাঁস নিয়ে ৬৬ জন। আত্মহত্যার প্রবণতা নারীদের মধ্যে বেশি থাকলেও বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে বেড়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই তরুণ বলে জানায় পুলিশের একাধিক সূত্র।পুলিশের তদন্তে আত্মহত্যার অনেক কারণ বেরিয়ে এসেছে।

এরমধ্যে পারিবারিক, ঋণগ্রস্ত, অসুস্থতা, প্রেম, অতিরিক্ত অভিমান, বিবাহ বিচ্ছেদ ও পরকীয়াসহ বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।তবে সমাজবিজ্ঞানী ও মনরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পারিবারিক সহযোগীতার পাশাপাশি সামাজিক সহযোগীতা পেলে মানুষের আত্মহনন কমে আসবে।

জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখা থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে অপমৃত্যু হয়েছে ১১১টি। এর মধ্যে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় ৩৪ জনের ও বিষপানে মৃত্যু হয় ৪৭ জনের। ২০১৯ সালে ১৩২টি, এর মধ্যে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় ৭৪ জনের ও বিষপানে ৫৮ জন। ২০২০ সালে ১৩৬টি, এরমধ্যে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় ৯০ জনের ও বিষপানে ৪৬ মৃত্যু হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় অপমৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের। এরমধ্যে বিষপানে ৫৬ এবং ঝুলন্ত অবস্থায় ৬৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানুয়ারিতে জেলায় ৯ জনের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও মে এবং জুনে মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণে। মে মাসে ১৭ জন এবং জুনে ১৮ জন আত্মহননের পথ বেছে নেন।জেলায় আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বানিয়াচং উপজেলায়। এখানে গত ৮ মাসে আত্মহত্যা করেছেন ৩১ জন। আর সবচেয়ে কম লাখাইয়ে। এখানে ৮ মাসে আত্মাহুতি দিয়েছেন মাত্র একজন।এ ছাড়া চলতি বছর হবিগঞ্জ সদরে ১৩, বানিয়াচং ৩১, আজমিরীগঞ্জ ৭, নবীগঞ্জ ১৭, বাহুবল ৯, চুনারুঘাট ১৯, লাখাই ১, মাধবপুর ১৭ এবং শায়েস্তাগঞ্জ পাঁচজন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।বেশ কিছু ঘটনার তদন্তের পর ‘আত্মহত্যার’ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। পারিবারিক বিভিন্ন কলহ, মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় এবং প্রেমসংক্রান্ত বিষয়কে এর কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে পারিবারিক কলহের জেরে নারীরা এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার কারণে পুরুষেরা এ পথ বেছে নিচ্ছে। আর তরুণদের একটি বিরাট অংশের ‘আত্মহত্যা’র কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে প্রেমঘটিত ঘটনা। এর মধ্যে প্রেমে বিচ্ছেদ এবং প্রিয় মানুষের সঙ্গে বিয়ে না হওয়া।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, ‘আত্মহত্যার প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। আমি সম্প্রতি যতগুলো আত্মহত্যার তদন্ত করেছি, তার মধ্যে বেশি পেয়েছি পারিবারিক কলহ এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়া। এ ছাড়া তরুণ-তরুণী বা কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যার বেশি কারণ প্রেম সংক্রান্ত বিষয়।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৯ মাসে হবিগঞ্জে আত্মহত্যা করেছেন ১২২ জন

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

হবিগঞ্জে বেড়েছে অপমৃত্যুর ঘটনা। পারিবারিক কলহসহ ব্যক্তিগত নানা সমস্যার কারণে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে। চলতি বছরের ৯ মাসে হবিগঞ্জে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন ১২২ জন। এর মধ্যে বিষপানে ৫৬ এবং গলায় ফাঁস নিয়ে ৬৬ জন। আত্মহত্যার প্রবণতা নারীদের মধ্যে বেশি থাকলেও বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে বেড়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই তরুণ বলে জানায় পুলিশের একাধিক সূত্র।পুলিশের তদন্তে আত্মহত্যার অনেক কারণ বেরিয়ে এসেছে।

এরমধ্যে পারিবারিক, ঋণগ্রস্ত, অসুস্থতা, প্রেম, অতিরিক্ত অভিমান, বিবাহ বিচ্ছেদ ও পরকীয়াসহ বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।তবে সমাজবিজ্ঞানী ও মনরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পারিবারিক সহযোগীতার পাশাপাশি সামাজিক সহযোগীতা পেলে মানুষের আত্মহনন কমে আসবে।

জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখা থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে অপমৃত্যু হয়েছে ১১১টি। এর মধ্যে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় ৩৪ জনের ও বিষপানে মৃত্যু হয় ৪৭ জনের। ২০১৯ সালে ১৩২টি, এর মধ্যে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় ৭৪ জনের ও বিষপানে ৫৮ জন। ২০২০ সালে ১৩৬টি, এরমধ্যে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় ৯০ জনের ও বিষপানে ৪৬ মৃত্যু হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় অপমৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের। এরমধ্যে বিষপানে ৫৬ এবং ঝুলন্ত অবস্থায় ৬৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানুয়ারিতে জেলায় ৯ জনের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও মে এবং জুনে মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণে। মে মাসে ১৭ জন এবং জুনে ১৮ জন আত্মহননের পথ বেছে নেন।জেলায় আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বানিয়াচং উপজেলায়। এখানে গত ৮ মাসে আত্মহত্যা করেছেন ৩১ জন। আর সবচেয়ে কম লাখাইয়ে। এখানে ৮ মাসে আত্মাহুতি দিয়েছেন মাত্র একজন।এ ছাড়া চলতি বছর হবিগঞ্জ সদরে ১৩, বানিয়াচং ৩১, আজমিরীগঞ্জ ৭, নবীগঞ্জ ১৭, বাহুবল ৯, চুনারুঘাট ১৯, লাখাই ১, মাধবপুর ১৭ এবং শায়েস্তাগঞ্জ পাঁচজন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।বেশ কিছু ঘটনার তদন্তের পর ‘আত্মহত্যার’ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। পারিবারিক বিভিন্ন কলহ, মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় এবং প্রেমসংক্রান্ত বিষয়কে এর কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে পারিবারিক কলহের জেরে নারীরা এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার কারণে পুরুষেরা এ পথ বেছে নিচ্ছে। আর তরুণদের একটি বিরাট অংশের ‘আত্মহত্যা’র কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে প্রেমঘটিত ঘটনা। এর মধ্যে প্রেমে বিচ্ছেদ এবং প্রিয় মানুষের সঙ্গে বিয়ে না হওয়া।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, ‘আত্মহত্যার প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। আমি সম্প্রতি যতগুলো আত্মহত্যার তদন্ত করেছি, তার মধ্যে বেশি পেয়েছি পারিবারিক কলহ এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়া। এ ছাড়া তরুণ-তরুণী বা কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যার বেশি কারণ প্রেম সংক্রান্ত বিষয়।’