স্পেনের বার্সেলোনা প্রবাসী মিনহাজুল ইসলাম তার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের জননী মুনিরা খানম মুন্নীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
১৮ই অক্টোবর সোমবার বার্সেলোনায় স্থানীয় একটি হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন স্বামী মিনহাজ।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেশ করেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, তিনি গত ১০ জুন ২০২১ এ ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে স্ত্রী মুন্নী এবং ২ বছরের শিশু সন্তান আয়ান কে স্পেনের বার্সেলোনায় নিজের কাছে নিয়ে আসেন।
তার স্ত্রী বার্সেলোনায় আসার রাতেই দু’গ্লাস শরবত বানিয়ে একটিতে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে দেন। চেতনানাশক মেশানো শরবত মিনহাজকে দিয়ে নিজে ভালো শরবত পান করে। স্বামী অভিযোগ করেন, ঐ শরবত খেয়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার স্ত্রী একমাত্র ছেলে এবং দেশ থেকে নিয়ে আসা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি মুনিরা খানম মুন্নীকে ভয়ংকর প্রতারক হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, এ সমস্যা পারিবারিক নিস্পত্তির জন্য তিনি তাঁর শ্বশুর বিয়ানীবাজারের খাশা শহীদ টিলার ইকবাল খানের দ্বারস্থ হওয়ার পরও তিনি কোন সুষ্ঠ সমাধান পাননি। আর এ জন্যে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদের মাধ্যমে এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের শরণাপন্ন হয়ে এই প্রতারক মহিলাকে প্রবাসে সামাজিক ভাবে বয়কটের অনুরোধ জানান প্রবাসীদের প্রতি।
মিনহাজ বিয়ে থেকে শুরু করে, বিগত দিনের যাবতীয় ভরণ-পোষণ, ভিসা প্রোসেসিং থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ইউরো যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে ভুক্তভোগী মিনহাজ বলেন, তিনি ধারণা করেছেন মুন্নী তার সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যে ছেলের সাথে পলায়ন করেছে সে ফ্রান্স প্রবাসী বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা।
তিনি এ ধরণের লজ্জা ও প্রতারণার ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর কারও সাথে না ঘটে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকার অনুরোধ করেন। এ ছাড়া তাঁর ২ বছরের ছেলে সন্তান আয়ানকে তার কাছে ফিরিয়ে আনতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, মিনহাজের পারিবারিক সদস্য ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।