ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

বাংলাদেশিসহ ইউরোপগামী ৫০০ জন লিবিয়ায় আটক

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • / 954
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আটককৃত অভিবাসনপ্রত্যাশী
সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার পথে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড বাহিনী। রবিবার (৩ অক্টোবর) অবৈধ পথে ইউরোপে যাওয়ার পথে তারা আটক হন। আটককৃত এসব লোকের মধ্যে বাংলাদেশ, সুদান, সোমালিয়া ও সিরিয়ার নাগরিক রয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

সংস্থাটি বলেছে, অভিবাসনপ্রত্যশীদের বহনকারী নৌকাটি রবিবার ধরা পড়ে এবং এর যাত্রীদের লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জাভিয়ার একটি তেল পরিশোধনাগার পয়েন্টে নামানো হয়। তবে আটক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন দেশের কতজন নাগরিক রয়েছেন, সেটি জানানো হয়নি।

এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষ লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ধরা পড়ার সবশেষ ঘটনা এটি। গত শনিবার ৯০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইউরোপ যাওয়ার পথে আটক করে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে আট জন নারী ও তিন জন শিশুও ছিল। পরবর্তীতে তাদের ত্রিপোলিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, ওই নৌকা থেকে দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সমুদ্রে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন।

এ ঘটনার আগের দিন শুক্রবার গারগারেশ শহর থেকে নারী-শিশুসহ প্রায় চার হাজার অভিবাসী বা ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে লিবিয়া সরকার। অবৈধ অভিবাসন ও মাদকপাচার রোধে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কোনো পাচারকারী বা মাদক কারবারিকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

লিবিয়ার সমুদ্রে ধরা পড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেক সময় বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

দরিদ্র আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু মানুষের অবৈধপথে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে অন্তত ৪৪ হাজার মানুষ।

যাওয়ার পথে আরও ২৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটকেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড। একই সময়ে সমুদ্রে নৌকাডুবিতে ১১ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশিসহ ইউরোপগামী ৫০০ জন লিবিয়ায় আটক

আপডেট সময় : ০৫:৫০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

আটককৃত অভিবাসনপ্রত্যাশী
সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার পথে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড বাহিনী। রবিবার (৩ অক্টোবর) অবৈধ পথে ইউরোপে যাওয়ার পথে তারা আটক হন। আটককৃত এসব লোকের মধ্যে বাংলাদেশ, সুদান, সোমালিয়া ও সিরিয়ার নাগরিক রয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

সংস্থাটি বলেছে, অভিবাসনপ্রত্যশীদের বহনকারী নৌকাটি রবিবার ধরা পড়ে এবং এর যাত্রীদের লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জাভিয়ার একটি তেল পরিশোধনাগার পয়েন্টে নামানো হয়। তবে আটক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন দেশের কতজন নাগরিক রয়েছেন, সেটি জানানো হয়নি।

এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষ লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ধরা পড়ার সবশেষ ঘটনা এটি। গত শনিবার ৯০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইউরোপ যাওয়ার পথে আটক করে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে আট জন নারী ও তিন জন শিশুও ছিল। পরবর্তীতে তাদের ত্রিপোলিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, ওই নৌকা থেকে দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সমুদ্রে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন।

এ ঘটনার আগের দিন শুক্রবার গারগারেশ শহর থেকে নারী-শিশুসহ প্রায় চার হাজার অভিবাসী বা ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে লিবিয়া সরকার। অবৈধ অভিবাসন ও মাদকপাচার রোধে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কোনো পাচারকারী বা মাদক কারবারিকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

লিবিয়ার সমুদ্রে ধরা পড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেক সময় বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

দরিদ্র আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু মানুষের অবৈধপথে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে অন্তত ৪৪ হাজার মানুষ।

যাওয়ার পথে আরও ২৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটকেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড। একই সময়ে সমুদ্রে নৌকাডুবিতে ১১ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।