বাংলাদেশের প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেট কোচ জালাল চৌধুরি পরলোকে
- আপডেট সময় : ০১:২১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / 924
করিমগঞ্জ জেলার ভূমিপুত্র ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্বনামধন্য প্রাক্তন কোচ, ক্রীড়া সাংবাদিক জালাল চৌধুরি আর নেই। আজ সকাল ১১.২৫ মিনিটের সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
তিনি বার কয়েক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের প্রধান কোচ ছিলেন। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি বদরপুরের মালুয়া গ্রামে। তিনি ১৯৪৭ সালে অবিভক্ত ভারতবর্ষে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইজাজুর রহমান চৌধুরি ছিলেন পাকিস্তান সরকারের অ্যাকাউন্টস অফিসার। মা রাজিয়া রহমান চৌধুরি ছিলেন একজন বিদুষী মহিলা। জালাল চৌধুরির প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে। স্নাতক ডিগ্রি নেন ঢাকা কলেজ থেকে। শৈশব থেকে ক্রিকেটের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল আকর্ষণ। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম ব্যাচ হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের মেইন ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সরকারি চাকরি করেননি।
একজন ওপেনার ব্যাটসম্যান তথা উইকেটকিপার হিসেবে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করে ঢাকার প্রায় সবগুলো ক্রিকেট ক্লাবের খেলোয়াড় তথা কোচ হয়েছিলেন বিভিন্ন সময়। ভারতের পাতিয়ালা থেকে ১৯৭৯ সালে ক্রিকেট কোচিংয়ের উপর এক বছরের ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৭ সালে তাঁর-ই সুযোগ্য কোচিংয়ে বাংলাদেশ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন হয়! প্রায় পাঁচ দশকের অধিক তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে “কয়েক ছত্র ক্রিকেট” নামে তাঁর একটি সংকলনও প্রকাশিত হয়। ২০১১ সালে তিনি বিপত্নীক হয়ে অনেকটা একাকিত্বের জ্বালায় ভুগতে থাকেন। তাঁর স্ত্রী কফতিয়া চৌধুরির মৃত্যুর পর তিনি একা জীবনযাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর একমাত্র ছেলে নাজিম জালাল চৌধুরি ও একমাত্র মেয়ে রাবাব মারিয়াম চৌধুরি দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী। জালাল চৌধুরি ক্রিকেটারের পাশাপাশি একজন লিটল ম্যাগ সম্পাদকও ছিলেন। ১৯৭৩ সালে “কিংশুক” নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন তিনি সম্পাদনা করছেন।
আজিমপুর গোরস্থানে আজ আসরের নামাজ শেষে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ও সেখানেই তাঁকে কবরস্ত করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন তাঁর গুণমুগ্ধরা।


























