­
­
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানিতে চমক: চীনের ঘাটতি পূরণ করছে বাংলাদেশ  » «   কানাডায় লিবারেলদের জয়, কী কারণ  » «   রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে?  » «   ইউরোপ ৪ দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন!  » «   ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি  » «   বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার  » «   নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ  » «   ৬০ টন পণ্য নিয়ে সিলেট থেকে উড়ল প্রথম কার্গো ফ্লাইট  » «   রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার  » «   শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি  » «   ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার কবি দাউদ হায়দার আর নেই  » «   গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি আটক  » «   ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কোন দিকে মোড় নিতে পারে?  » «   পাকিস্তানের আছে ১৫০টি পরমাণু বোমা, ভারতের কত?  » «   কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী?  » «  

  শিশুর সাথে যে কথা বলা উচিত অথবা উচিত না   



 

মানবিক ও আদর্শ  পরিবার ও সমাজ বিনির্মাণে শিশুদের  পজিটিভ চিন্তা ও চেতনায় তৈরী করা জরুরী বলে জ্ঞানীরা সব সময় বলে থাকেন। বলা হয়ে থাকে  একটি আলোকিত সমাজের আয়না হলো কোমলমতি শিশুরা। পরিবার ও সমাজ  নিস্পাপ কোমলমতি শিশুদের চোখে সুন্দর আগামী দেখে।

আপনার শিশুকে বলবেন না:

দেয়ালে দৃশ্য বা ছবি এঁকো না।

বরং তাকে বলুন:

তুমি তোমার খাতায় দৃশ্য বা ছবি আঁকো, আঁকা শেষ হলে দৃশ্য বা ছবিটা দেয়ালে বা ফ্রিজের ওপর বা বোর্ডে ঝুলিয়ে দিবে।

আপনার সন্তানকে বলবেন না:

উঠো! নামাজ পড়ে নাও, না হলে জাহান্নামে যাবে।

বরং তাকে বলুন:

চলো! একসাথে নামাজ টা আদায় করে নি, তাহলে জান্নাতেও একসাথে থাকতে পারবো।

আপনার সন্তানকে বলবেন না:

এই তোমার রোম টা পরিষ্কার করে নাও । ইশ ! খোয়াড় বানিয়ে রেখেছে রোম টাকে।

বরং তাকে বলুন:

তোমার রোম টা কি তুমি একাই গোছাতে পারবে? নাকি আমি সাহায্য করবো? তুমি তো সব সময় একাই সবকিছু গুছিয়ে রাখো।

সন্তানকে বলবেন না:

হয়েছে খেলাধূলা ছেড়ে এবার পড়তে বসো। খেলার চেয়ে পড়ালেখা গুরুত্বপূর্ণ।

বরং তাকে বলুন:

তুমি তাড়াতাড়ি আজকের পড়াটা শেষ করে ফেলো, তাহলে পরে খেলার জন্য অনেক সময় পাবে।

 আপনার সন্তানকে বলবেন না:

এই! দাঁত ব্রাশ করো, আমি না বললে দেখি তুমি দাঁতে হাতই দাও না।

বরং বলুন:

তুমি তো দেখি আমি বলার আগেই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো!

আপনার সন্তানকে বলবেন না:

বাম কাত হয়ে শুয়ো না।

বরং তাকে বলুন:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ডান কাত হয়ে শুতে শিখিয়েছেন।

 আপনার সন্তানকে বলবেন না:

একদম চকলেট খাবে না। সারাদিন শুধু চকলেট আর চকলেট। দাঁতগুলো তো সব এভাবেই যাবে।

বরং তাকে বলুন:

তোমাকে দিনে একবার চকলেট খাওয়ার অনুমিত দেয়া যাবে, কারণ তুমি নিজ দায়িত্বেই প্রতিদিন দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো।

কথা ও আচরণে জীবন ব্যক্তিত্বময় হয়ে ওঠে। মানুষ মানুষের চোখে হয় অনন্য । পজিটিভ চিন্তা ও চর্চা- আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে আলোকিত ওঠে গড়ে তুলার কাজটি সহজ করে দিবে পারে  । জীবনের জয় হোক।

সামাজিক যোগাযোগ থেকে নেয়া:

( নামহীন ) লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা

সম্পাদনা : আনোয়ারুল ইসলাম অভি । কণ্ঠ : রেজওয়ানা আহমেদ

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন