­
­
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সৌদির সমাজে বড় পরিবর্তন, কীভাবে সম্ভব হলো?  » «   আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এখন আমরা কী নির্মাণ করছি?  » «   ডলার খোলাবাজারে : দাম অস্বাভাবিক বাড়লে কী হবে?  » «   নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ কেন?  » «   আওয়ামী লীগ নিয়ে খবর প্রকাশ বা সোশাল মিডিয়ায় লেখাও কি নিষেধ?  » «   জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর  » «   ভুয়া ‘জুলাই যোদ্ধা’র হাতে সরকারি অনুদানের চেক  » «   কে জিতল—ভারত, না পাকিস্তান?  » «   আওয়ামী লীগের ‘কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা’র মানে কী?  » «   বাংলাদেশে মার্কিন পণ্যের আমদানি বাড়বে, কমবে শুল্ক  » «   আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞার ফল কী? জামায়াতের বিচার নিয়ে প্রশ্ন  » «   পা দিয়ে লিখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় মানিক  » «   এখন লড়াই ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে: ফরহাদ মজহার  » «   ইতালিতে ‘জিহাদি উসকানি’র অভিযোগে দুই বাংলাদেশি যুবক আটক  » «   ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামলো কীভাবে, টিকবে কতদিন  » «  

  শিশুর সাথে যে কথা বলা উচিত অথবা উচিত না   



 

মানবিক ও আদর্শ  পরিবার ও সমাজ বিনির্মাণে শিশুদের  পজিটিভ চিন্তা ও চেতনায় তৈরী করা জরুরী বলে জ্ঞানীরা সব সময় বলে থাকেন। বলা হয়ে থাকে  একটি আলোকিত সমাজের আয়না হলো কোমলমতি শিশুরা। পরিবার ও সমাজ  নিস্পাপ কোমলমতি শিশুদের চোখে সুন্দর আগামী দেখে।

আপনার শিশুকে বলবেন না:

দেয়ালে দৃশ্য বা ছবি এঁকো না।

বরং তাকে বলুন:

তুমি তোমার খাতায় দৃশ্য বা ছবি আঁকো, আঁকা শেষ হলে দৃশ্য বা ছবিটা দেয়ালে বা ফ্রিজের ওপর বা বোর্ডে ঝুলিয়ে দিবে।

আপনার সন্তানকে বলবেন না:

উঠো! নামাজ পড়ে নাও, না হলে জাহান্নামে যাবে।

বরং তাকে বলুন:

চলো! একসাথে নামাজ টা আদায় করে নি, তাহলে জান্নাতেও একসাথে থাকতে পারবো।

আপনার সন্তানকে বলবেন না:

এই তোমার রোম টা পরিষ্কার করে নাও । ইশ ! খোয়াড় বানিয়ে রেখেছে রোম টাকে।

বরং তাকে বলুন:

তোমার রোম টা কি তুমি একাই গোছাতে পারবে? নাকি আমি সাহায্য করবো? তুমি তো সব সময় একাই সবকিছু গুছিয়ে রাখো।

সন্তানকে বলবেন না:

হয়েছে খেলাধূলা ছেড়ে এবার পড়তে বসো। খেলার চেয়ে পড়ালেখা গুরুত্বপূর্ণ।

বরং তাকে বলুন:

তুমি তাড়াতাড়ি আজকের পড়াটা শেষ করে ফেলো, তাহলে পরে খেলার জন্য অনেক সময় পাবে।

 আপনার সন্তানকে বলবেন না:

এই! দাঁত ব্রাশ করো, আমি না বললে দেখি তুমি দাঁতে হাতই দাও না।

বরং বলুন:

তুমি তো দেখি আমি বলার আগেই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো!

আপনার সন্তানকে বলবেন না:

বাম কাত হয়ে শুয়ো না।

বরং তাকে বলুন:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ডান কাত হয়ে শুতে শিখিয়েছেন।

 আপনার সন্তানকে বলবেন না:

একদম চকলেট খাবে না। সারাদিন শুধু চকলেট আর চকলেট। দাঁতগুলো তো সব এভাবেই যাবে।

বরং তাকে বলুন:

তোমাকে দিনে একবার চকলেট খাওয়ার অনুমিত দেয়া যাবে, কারণ তুমি নিজ দায়িত্বেই প্রতিদিন দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো।

কথা ও আচরণে জীবন ব্যক্তিত্বময় হয়ে ওঠে। মানুষ মানুষের চোখে হয় অনন্য । পজিটিভ চিন্তা ও চর্চা- আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে আলোকিত ওঠে গড়ে তুলার কাজটি সহজ করে দিবে পারে  । জীবনের জয় হোক।

সামাজিক যোগাযোগ থেকে নেয়া:

( নামহীন ) লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা

সম্পাদনা : আনোয়ারুল ইসলাম অভি । কণ্ঠ : রেজওয়ানা আহমেদ

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন