ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে

প্রশাসনের উচিত মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • / 1316
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের এক শ্রেণীর নেতা কর্মীর আচরণ দেখে মনে হয়- তারা এই দেশের রাজা আর বাদবাকি সব প্রজা। বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, এই শ্রেণীর অত্যাচারে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। ইতিহাস বলে , কথিত এই শ্রেণীর কারণে বিভিন্ন সময় সরকারের পতন ঘটেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা থেকে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা ক্ষতাসীনদের আক্রোশের শিকার হয়ে অপদস্ত বা অপমানিত হতে হয়। এ ক্ষেত্রে দলের প্রধান সহ যারা স্বচ্ছ রাজনীতি করেন তারাও বাদ পড়েন না। এত অপদস্ত ও অপমানের পরও অনেক সময় আমার দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বোধদয় হয় না।

তাদের এই পরিণতির কী কারণ ? বাংলাদেশের মোটামোটি সচেতন সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে খুব বেশী কিছু প্রত্যাশা করেনা। সাধারণ মানুষ নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে ব্যস্ত। তারা চায় তাদের স্বাভাবিক চলার গতিতে কেউ যেন প্রতিবন্ধক না হয়। দেশে হরতাল, চুরি-ডাকাতি,রক্তারক্তি না ঘটুক। নিজের দূ:খ,কষ্ট নিজের কাধে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন চলাচল করার আশা নিয়েই প্রতিদিন তারা পার করতে চায়।বাস্তবতা বলে এটাই সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। সেই সহযোগিতাটুকু তারা সরকারের কাছে আশা করে।

রাস্ট্রের কাছে জনগণের নূন্যতম এই মৌলিক অধিকারের আশা সত্যিকার অর্থে সবচেয়ে ক্ষীন্ন একটি আশা। এই অধিকার কী তারা পায় ? প্রশ্নটির জবাব বোধকরি জানার অপেক্ষা কারোই করতে হবে না। কারণ আমরা জানি- সর্বজনভাবে ঠোঁটস্থ বা পঠিত বাক্য হলো – ‘তারা এই সুবিধাটি পায় না।’

সরকার আন্তরিক হলেও তা হয়ে উঠে না বিশেষ শ্রেণীর নেতা-কর্মীর কারণে। এই শ্রেণীর মানুষেরা নেতা কর্মীর সংজ্ঞায় পড়ে না। এরা রাজনৈতিক আবরণে স্হানীয় চুর-ডাকাত,বাটপার,চাকুটার। এরা অনেকেই শিক্ষিত, তাই রাতের বেলা চুরি না করে বুদ্ধি খাটিয়ে দিনের বেলাই চুরি-ডাকাতি করে। দেখা যায়, এরা অনেক জায়গায় রাজনৈতিক পদ-পদবি নিয়ে বসে আছে। এই পদ-পদবির আড়ালে তাঁরা নেতা সেজে তাদের কর্মীদের সমন্ধয়ে থানা বলেন আর অফিস আদালত বলেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে সর্বক্ষেত্রে ‘পারসেন্টেজ বাণিজ্য’ সহ অন্যান্য অনিয়ম করে যাচ্ছে। অফিস আদালতে মানুষের স্বাভাবিক কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। নিজের স্বার্থে যত্রতত্র রাজনৈতিক প্রভাব খাটাচ্ছে।

ইতিহাস বলছে, এই শ্রেণীর নেতা কর্মী কোনোকালে, কোনো সময় কোনো দলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি বরং দলকে চরম ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। কথিত এইসব নেতা-কর্মীর পরিবারের অতীত খুঁজলে দেখা যায়- এরা কোনো রাজনৈতিক পরিবার অথবা ভদ্র পরিবার থেকে উঠে আসেনি। যেহেতু তাদের আগমন অন্যায়, অসৎ কার্যকলাপ মদদপুষ্ট অথবা এই জাতীয় কার্যকলাপ থেকে সুবিধা নেয়া পরিবার থেকে, সেহেতু তাদের প্রতি সকল দলের সতর্ক দৃষ্টি থাকা উচিত এবং পর্যায়ক্রমে তাদের সরিয়ে ভদ্র ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আনা উচিত। যদি তাই হয় তাহলে রাজনীতি, দল,নেতৃত্ব,জনগণ সকল ক্ষেত্রে সবাই পাবে সঠিক মূল্যায়ন। দেশ অন্তত সাধারণ মানুষ ও মানুষের কল্যাণে কল্যাণমুখী চিন্তা ও কাজে হাটতে শিখবে।

অতি সম্প্রতি , বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও ইউএনও এর মধ্যে সৃষ্ট সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক নেতা নামধারীরা যে জটিলতা সৃষ্টি করে বিষয়টিকে ‘টপ অব দ্যা কান্ট্রি ‘ বানিয়েছেন এবং একই সাথে আওয়ামী পরিবারের সবাইকে বিব্রত ও লজ্জিত করার পাশাপাশি দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ করেছেন।

জানাযায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন তাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে স্থানীয় ইউএনও এর বাসার পাশে রাত দশটায় ব্যানার অপসারণ করতে গেলে ইউএনও এটা সংরক্ষিত এলাকা বলে এতো রাতে কাজ না করার অনুরোধ করেন। সিটি করপোরেশনকে এই বারণ করা কী অন্যায় ছিল। সহজ কথায় এটা কী আইন ভাঙ্গার মতো অপরাধ ?
আর এর পর যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটি সিটি করপোরেশন ও ইউএনও বসে সমাধান করবেন-এটাই আইন ও নিয়মবদ্ধ শিষ্টাচার। এখানে আওয়ামী লীগ আর ছাত্রলীগ জড়াবে কেন ? এবং ইউএনও’কে হুমকি আর অপদস্ত করবে কেন ? দেশ-বিদেশে বসবাসরত সাধারণ বাংলাদেশীরা জানেন যে, এই সবই ছিল অতি প্রেমের বহি:প্রকাশ। এই অতি প্রেমিরা কখনো কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। এরা সুস্পষ্টভাবে চাটুকার শ্রেণীর লোক। এদের কারণে বহু যুগে, বহু রাজা- বাদশাকে তাঁর সিংহাসন হারাতে হয়েছে। বহু রাস্ট্র নায়ক ক্ষমতা চুত্য হয়েছেন। বহুজনকে প্রাণ দিতে হয়েছে- এটাই ইতিহাস।
তাই এদের থেকে সকলকে সতর্ক থাকা উচিত। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন যে এ্যাকশন নিয়েছে তার জন্য তারা প্রসংশার দাবি রাখে। আমি মনে করি সরকারকে মানুষের আস্থায় থাকতে হলে উচিত প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া এই সমস্ত তথাকথিত রাজনৈতিক কর্মী নামধারী চাটুকারদের প্রশাসনের আশপাশে যেখানে দেখবে সেখানে ঠিক বরিশালের মতো উত্তম মধ্যম থিওরী ব্যবহার করে, হাতকড়া লাগিয়ে, মিডিয়া ট্রালায় দিয়ে বিচারের আওতায় আনা। অন্তত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার বেড়াজালের আগে স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারবে কিছু অমানুষ , দেশদ্রোহী, দলকানা, চাটুকার,পারসেন্টেজধারী কর্মীদের অতি নগন্য কয়েকজনকে প্রশাসন দেশ ও জনগণের সেবার নিমিত্তে বিচারের আওতায় এনেছেন।

স্যোশাল মিডিয়ার কল্যাণে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ঘটনা মোটামোটি সচেতনমাত্ররাই জানেন। মাঘে- মহিষে একঘাটে পানি খাওয়ার ঘটনা আঙ্গল দিয়েও দেখিয়ে দিচ্ছে প্রশাসনের উচিত এখন থেকে এদেরকে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা। মিডিয়ায় এগুলো ভাইরাল হওয়া সময়ের দাবী।

লন্ডন । ২৩.০৮.২০২১

ছরওয়ার আহমদ

সাবেক ভিপি ১৯৯৫-৯৬ সাল , বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ, সিলেট । হেড অব পাবলিক  অ্যাফেয়ার্স ;৫২বাংলা ,সংগঠক, স্যোসাল একটিভিস্ট।

আরও পড়ুন:

https://52banglatv.com/2021/04/27829/

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রশাসনের উচিত মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা

আপডেট সময় : ০৬:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

বাংলাদেশে যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের এক শ্রেণীর নেতা কর্মীর আচরণ দেখে মনে হয়- তারা এই দেশের রাজা আর বাদবাকি সব প্রজা। বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, এই শ্রেণীর অত্যাচারে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। ইতিহাস বলে , কথিত এই শ্রেণীর কারণে বিভিন্ন সময় সরকারের পতন ঘটেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা থেকে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা ক্ষতাসীনদের আক্রোশের শিকার হয়ে অপদস্ত বা অপমানিত হতে হয়। এ ক্ষেত্রে দলের প্রধান সহ যারা স্বচ্ছ রাজনীতি করেন তারাও বাদ পড়েন না। এত অপদস্ত ও অপমানের পরও অনেক সময় আমার দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বোধদয় হয় না।

তাদের এই পরিণতির কী কারণ ? বাংলাদেশের মোটামোটি সচেতন সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে খুব বেশী কিছু প্রত্যাশা করেনা। সাধারণ মানুষ নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে ব্যস্ত। তারা চায় তাদের স্বাভাবিক চলার গতিতে কেউ যেন প্রতিবন্ধক না হয়। দেশে হরতাল, চুরি-ডাকাতি,রক্তারক্তি না ঘটুক। নিজের দূ:খ,কষ্ট নিজের কাধে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন চলাচল করার আশা নিয়েই প্রতিদিন তারা পার করতে চায়।বাস্তবতা বলে এটাই সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। সেই সহযোগিতাটুকু তারা সরকারের কাছে আশা করে।

রাস্ট্রের কাছে জনগণের নূন্যতম এই মৌলিক অধিকারের আশা সত্যিকার অর্থে সবচেয়ে ক্ষীন্ন একটি আশা। এই অধিকার কী তারা পায় ? প্রশ্নটির জবাব বোধকরি জানার অপেক্ষা কারোই করতে হবে না। কারণ আমরা জানি- সর্বজনভাবে ঠোঁটস্থ বা পঠিত বাক্য হলো – ‘তারা এই সুবিধাটি পায় না।’

সরকার আন্তরিক হলেও তা হয়ে উঠে না বিশেষ শ্রেণীর নেতা-কর্মীর কারণে। এই শ্রেণীর মানুষেরা নেতা কর্মীর সংজ্ঞায় পড়ে না। এরা রাজনৈতিক আবরণে স্হানীয় চুর-ডাকাত,বাটপার,চাকুটার। এরা অনেকেই শিক্ষিত, তাই রাতের বেলা চুরি না করে বুদ্ধি খাটিয়ে দিনের বেলাই চুরি-ডাকাতি করে। দেখা যায়, এরা অনেক জায়গায় রাজনৈতিক পদ-পদবি নিয়ে বসে আছে। এই পদ-পদবির আড়ালে তাঁরা নেতা সেজে তাদের কর্মীদের সমন্ধয়ে থানা বলেন আর অফিস আদালত বলেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে সর্বক্ষেত্রে ‘পারসেন্টেজ বাণিজ্য’ সহ অন্যান্য অনিয়ম করে যাচ্ছে। অফিস আদালতে মানুষের স্বাভাবিক কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। নিজের স্বার্থে যত্রতত্র রাজনৈতিক প্রভাব খাটাচ্ছে।

ইতিহাস বলছে, এই শ্রেণীর নেতা কর্মী কোনোকালে, কোনো সময় কোনো দলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি বরং দলকে চরম ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। কথিত এইসব নেতা-কর্মীর পরিবারের অতীত খুঁজলে দেখা যায়- এরা কোনো রাজনৈতিক পরিবার অথবা ভদ্র পরিবার থেকে উঠে আসেনি। যেহেতু তাদের আগমন অন্যায়, অসৎ কার্যকলাপ মদদপুষ্ট অথবা এই জাতীয় কার্যকলাপ থেকে সুবিধা নেয়া পরিবার থেকে, সেহেতু তাদের প্রতি সকল দলের সতর্ক দৃষ্টি থাকা উচিত এবং পর্যায়ক্রমে তাদের সরিয়ে ভদ্র ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আনা উচিত। যদি তাই হয় তাহলে রাজনীতি, দল,নেতৃত্ব,জনগণ সকল ক্ষেত্রে সবাই পাবে সঠিক মূল্যায়ন। দেশ অন্তত সাধারণ মানুষ ও মানুষের কল্যাণে কল্যাণমুখী চিন্তা ও কাজে হাটতে শিখবে।

অতি সম্প্রতি , বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও ইউএনও এর মধ্যে সৃষ্ট সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক নেতা নামধারীরা যে জটিলতা সৃষ্টি করে বিষয়টিকে ‘টপ অব দ্যা কান্ট্রি ‘ বানিয়েছেন এবং একই সাথে আওয়ামী পরিবারের সবাইকে বিব্রত ও লজ্জিত করার পাশাপাশি দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ করেছেন।

জানাযায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন তাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে স্থানীয় ইউএনও এর বাসার পাশে রাত দশটায় ব্যানার অপসারণ করতে গেলে ইউএনও এটা সংরক্ষিত এলাকা বলে এতো রাতে কাজ না করার অনুরোধ করেন। সিটি করপোরেশনকে এই বারণ করা কী অন্যায় ছিল। সহজ কথায় এটা কী আইন ভাঙ্গার মতো অপরাধ ?
আর এর পর যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটি সিটি করপোরেশন ও ইউএনও বসে সমাধান করবেন-এটাই আইন ও নিয়মবদ্ধ শিষ্টাচার। এখানে আওয়ামী লীগ আর ছাত্রলীগ জড়াবে কেন ? এবং ইউএনও’কে হুমকি আর অপদস্ত করবে কেন ? দেশ-বিদেশে বসবাসরত সাধারণ বাংলাদেশীরা জানেন যে, এই সবই ছিল অতি প্রেমের বহি:প্রকাশ। এই অতি প্রেমিরা কখনো কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। এরা সুস্পষ্টভাবে চাটুকার শ্রেণীর লোক। এদের কারণে বহু যুগে, বহু রাজা- বাদশাকে তাঁর সিংহাসন হারাতে হয়েছে। বহু রাস্ট্র নায়ক ক্ষমতা চুত্য হয়েছেন। বহুজনকে প্রাণ দিতে হয়েছে- এটাই ইতিহাস।
তাই এদের থেকে সকলকে সতর্ক থাকা উচিত। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন যে এ্যাকশন নিয়েছে তার জন্য তারা প্রসংশার দাবি রাখে। আমি মনে করি সরকারকে মানুষের আস্থায় থাকতে হলে উচিত প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া এই সমস্ত তথাকথিত রাজনৈতিক কর্মী নামধারী চাটুকারদের প্রশাসনের আশপাশে যেখানে দেখবে সেখানে ঠিক বরিশালের মতো উত্তম মধ্যম থিওরী ব্যবহার করে, হাতকড়া লাগিয়ে, মিডিয়া ট্রালায় দিয়ে বিচারের আওতায় আনা। অন্তত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার বেড়াজালের আগে স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারবে কিছু অমানুষ , দেশদ্রোহী, দলকানা, চাটুকার,পারসেন্টেজধারী কর্মীদের অতি নগন্য কয়েকজনকে প্রশাসন দেশ ও জনগণের সেবার নিমিত্তে বিচারের আওতায় এনেছেন।

স্যোশাল মিডিয়ার কল্যাণে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ঘটনা মোটামোটি সচেতনমাত্ররাই জানেন। মাঘে- মহিষে একঘাটে পানি খাওয়ার ঘটনা আঙ্গল দিয়েও দেখিয়ে দিচ্ছে প্রশাসনের উচিত এখন থেকে এদেরকে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা। মিডিয়ায় এগুলো ভাইরাল হওয়া সময়ের দাবী।

লন্ডন । ২৩.০৮.২০২১

ছরওয়ার আহমদ

সাবেক ভিপি ১৯৯৫-৯৬ সাল , বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ, সিলেট । হেড অব পাবলিক  অ্যাফেয়ার্স ;৫২বাংলা ,সংগঠক, স্যোসাল একটিভিস্ট।

আরও পড়ুন:

https://52banglatv.com/2021/04/27829/