ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

গোসলের ভিডিও ধারণ নিয়ে কথা কাটাকাটি: ভাতিজার হাতে প্রাণ গেল চাচীর

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
  • / 1201
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় ভাতিজার আঘাতে আহত চাচী পঞ্চাশোর্ধ রহিমা আক্তার মারা গেছেন। ওই ঘটনায় নিহতের স্বামী, ছেলে,মেয়েসহ তিনজন কলমাকান্দা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় নিহতের স্বামী বজলুর ইসলাম, ছেলে আবুল কাশেম, মেয়ে নার্সিছ আক্তার ও সেলিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের বিশাউতি গ্রামে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের স্বামী বজলুর ইসলাম ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (১৮ এপ্রিল) রবিবার দুপুরে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের বিশাউতি গ্রামের মো. বজলুর ইসলামের মেয়ে নার্গিছ (২০) গোসল করতে যান। এ সময় বাথরুমের টিনের ছিদ্র দিয়ে বজলুর ইসলামের আপন ভাতিজা রুবেল মিয়া মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রাত ৭টার দিকে বজলুর ইসলামের ছেলে আবুল কাশেম রুবেলকে ভিডিও ধারণের বিষয়টি জিজ্ঞেস করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় তাজুল ইসলামের স্ত্রী শাহারা খাতুন ও তিন ছেলে বাবুল মিয়া, রুবেল মিয়া ও সোহেল মিয়া লাঠিসোটা নিয়ে বজলুর ইসলাম, তার স্ত্রী রহিমা আক্তার, ছেলে আবুল কাশেম, মেয়ে নার্গিস আক্তার ও সেলিনার উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রহিমা আক্তারসহ তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান রহিমা আক্তারের অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সোমবার বিকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের স্বামী, ছেলে,মেয়েসহ তিনজন কলমাকান্দা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

কলমাকান্দার বিশরপাশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর মো. মোক্তার হোসেন ৫২ বাংলাটিভি কে বলেন, এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। নিহতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে কলমাকান্দার বিশাউতি গ্রামে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোসলের ভিডিও ধারণ নিয়ে কথা কাটাকাটি: ভাতিজার হাতে প্রাণ গেল চাচীর

আপডেট সময় : ০২:২৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় ভাতিজার আঘাতে আহত চাচী পঞ্চাশোর্ধ রহিমা আক্তার মারা গেছেন। ওই ঘটনায় নিহতের স্বামী, ছেলে,মেয়েসহ তিনজন কলমাকান্দা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় নিহতের স্বামী বজলুর ইসলাম, ছেলে আবুল কাশেম, মেয়ে নার্সিছ আক্তার ও সেলিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের বিশাউতি গ্রামে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের স্বামী বজলুর ইসলাম ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (১৮ এপ্রিল) রবিবার দুপুরে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের বিশাউতি গ্রামের মো. বজলুর ইসলামের মেয়ে নার্গিছ (২০) গোসল করতে যান। এ সময় বাথরুমের টিনের ছিদ্র দিয়ে বজলুর ইসলামের আপন ভাতিজা রুবেল মিয়া মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রাত ৭টার দিকে বজলুর ইসলামের ছেলে আবুল কাশেম রুবেলকে ভিডিও ধারণের বিষয়টি জিজ্ঞেস করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় তাজুল ইসলামের স্ত্রী শাহারা খাতুন ও তিন ছেলে বাবুল মিয়া, রুবেল মিয়া ও সোহেল মিয়া লাঠিসোটা নিয়ে বজলুর ইসলাম, তার স্ত্রী রহিমা আক্তার, ছেলে আবুল কাশেম, মেয়ে নার্গিস আক্তার ও সেলিনার উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রহিমা আক্তারসহ তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান রহিমা আক্তারের অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সোমবার বিকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের স্বামী, ছেলে,মেয়েসহ তিনজন কলমাকান্দা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

কলমাকান্দার বিশরপাশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর মো. মোক্তার হোসেন ৫২ বাংলাটিভি কে বলেন, এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। নিহতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে কলমাকান্দার বিশাউতি গ্রামে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।