ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

গ্রীসের মর্গে পরিচয়হীন লাশের পরিচয়পত্রের বাংলাদেশী জীবিত বাংলাদেশে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৫১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
  • / 1109
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গ্রীসে গত তিন দিন থেকে গ্রীসের মর্গে পড়ে থাকা এক পরিচয়হীন বাংলাদেশীর লাশের পরিবার পরিজনদের খোঁজ করতে নিয়মিত পোস্ট করে যাচ্ছে গ্রীসের বাংলাদেশী কমিউনিটি। কিন্তু আজ (১১ মার্চ) উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ও রহস্যময় তথ্য।

পুলিশ লাশের পকেট থেকে ২০০১ সালের মোহাম্মদ নাজিমউদ্দীন নামে একজনের আইডি কার্ড ও ২০১০ সালের একটি ভেভেয়সী ও মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্টান ‘ভয়েজ বাংলার’ একটি কার্ড উদ্ধার করে দূতাবাস ও বাংলাদেশ কমিউনিটির কাছে হস্তান্তর করে।

পরবর্তীতে বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করার পর মোহাম্মদ নাজিমউদ্দীন ওরফে মিলন নামের এক ভদ্রলোক কমিউনিটি প্রেসিডেন্ট জনাব আব্দুল কুদ্দুস সাহেবকে বাংলাদেশ থেকে ফোন করে বলেন, আমি জিবীত আছি, লাশের সাথে বা পকেটে পাওয়া কার্ড আমার। ২০১৭ সালে আমার ঘরে চুরি হয়েছিল ও এসব কাগজপত্র চোর নিয়ে গিয়েছিল। এ সব কাগজ তার কাছে গেল কি করে আমি জানি না।

একই সাথে, উক্ত ব্যক্তির রুমমেট জনাব জুবায়ের আহমেদ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তাহলে লাশটি কার, তার পরিচয় কি? এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে জানতে চাইলে তারা বলেন, লাশটির পরিচয় শনাক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তারপরও যদি পরিচয় সংগ্রহে অসম্ভব হয়ে যায় তবে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে গ্রীস সরকার লাশটিকে সরকারী উদ্যোগে শেষকৃত্য করবে। সেই সাথে তারা সবাইকে প্রবাসে সবার সাথে যোগাযোগ রেখে চলার আহ্বান জানান। যেন ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গ্রীসের মর্গে পরিচয়হীন লাশের পরিচয়পত্রের বাংলাদেশী জীবিত বাংলাদেশে

আপডেট সময় : ০৩:৫১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

গ্রীসে গত তিন দিন থেকে গ্রীসের মর্গে পড়ে থাকা এক পরিচয়হীন বাংলাদেশীর লাশের পরিবার পরিজনদের খোঁজ করতে নিয়মিত পোস্ট করে যাচ্ছে গ্রীসের বাংলাদেশী কমিউনিটি। কিন্তু আজ (১১ মার্চ) উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ও রহস্যময় তথ্য।

পুলিশ লাশের পকেট থেকে ২০০১ সালের মোহাম্মদ নাজিমউদ্দীন নামে একজনের আইডি কার্ড ও ২০১০ সালের একটি ভেভেয়সী ও মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্টান ‘ভয়েজ বাংলার’ একটি কার্ড উদ্ধার করে দূতাবাস ও বাংলাদেশ কমিউনিটির কাছে হস্তান্তর করে।

পরবর্তীতে বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করার পর মোহাম্মদ নাজিমউদ্দীন ওরফে মিলন নামের এক ভদ্রলোক কমিউনিটি প্রেসিডেন্ট জনাব আব্দুল কুদ্দুস সাহেবকে বাংলাদেশ থেকে ফোন করে বলেন, আমি জিবীত আছি, লাশের সাথে বা পকেটে পাওয়া কার্ড আমার। ২০১৭ সালে আমার ঘরে চুরি হয়েছিল ও এসব কাগজপত্র চোর নিয়ে গিয়েছিল। এ সব কাগজ তার কাছে গেল কি করে আমি জানি না।

একই সাথে, উক্ত ব্যক্তির রুমমেট জনাব জুবায়ের আহমেদ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তাহলে লাশটি কার, তার পরিচয় কি? এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে জানতে চাইলে তারা বলেন, লাশটির পরিচয় শনাক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তারপরও যদি পরিচয় সংগ্রহে অসম্ভব হয়ে যায় তবে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে গ্রীস সরকার লাশটিকে সরকারী উদ্যোগে শেষকৃত্য করবে। সেই সাথে তারা সবাইকে প্রবাসে সবার সাথে যোগাযোগ রেখে চলার আহ্বান জানান। যেন ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়।