ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলা: নিহত ৬ বাংলাদেশি বিএনপি থেকে তিন দফা বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামানকে দলে নিল জামায়াত তিন দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক: ‘ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশিক্ষিত শুটার নামিয়েছে মাঠে’ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িতে চুরির ঘটনা হাদিকে গুলি: প্রধান সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ, ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার রিকশায় থাকা হাদিকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি হাদির মাথা ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে গেছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে এভারকেয়ারে স্থানান্তর তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন, জানালেন মির্জা ফখরুল ধানমন্ডি এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীকে প্রকাশ্যে গুলি, নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের ‘নীলনকশা’ বলছে বিএনপি

অসমে বিধানসভা নির্বাচন : সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে এককাট্টা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
  • / 995
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
 ১২৬ আসনবিশিষ্ট বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে অসম রাজ্য প্রধানত দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি ও তার দোসরদের সম্মিলিত শক্তি মিত্র জোটকে পরাস্ত করতে মহাজোট গঠন করেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ছয়টি রাজনৈতিক সংগঠন।
সিপিএম, সিপিআই,সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও এআইইউডিএফসহ ছয়টি ধর্মনিরপেক্ষ দল নির্বাচনকে সামনে রেখে মহাজোট গঠন করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মিত্র জোটের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এজিপি-বিজেপি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রথম বারের মতো অসমে ক্ষমতা দখল করেছিল।২০০১ থেকে লাগাতার তিন বার কংগ্রেস শাসনের পর রাজ্যবাসী রুচি পরিবর্তন করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বিজেপি-এজিপি জোটকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। কিন্তু বিজেপি যে-সকল প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করেছিল, তার ছিটিফোঁটাও পাননি জনগণ!
এদিকে, এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ CAA , ডি-ভোটার, ডিটেনশন ক্যাম্প ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যায় রাজ্যবাসীকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে বর্তমান বিজেপি সরকার। জনগণকে অপদস্থ করার লক্ষ্যে নিত্য-নতুন ফরমান জারি করছে সরকার! রুটি-রোজির চিন্তা বাদ দিয়ে রাজ্যের জনগণকে নথিপত্র জোগাড়সহ নানাবিধ আইনি জটিলতায় সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। কর্মসংস্থান সংকোচিত হচ্ছে। ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য জ্যামিতিক হারে বাড়ছে! পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্য নিত্যদিন বৃদ্ধি পেয়ে এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এমতাবস্থায়, জনগণ পুনরায় পরিবর্তন চাইছেন।
ইতিমধ্যে উজান অসমে ৪৭ টি আসনে ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে গত শনিবার।
১এপ্রিল বরাক উপত্যকায় ভোট গ্রহণ করা হবে। ৬ এপ্রিল তৃতীয় তথা শেষ দফা ভোটগ্রহণ করা হবে। মিত্র জোট ও মহাজোট উভয় শিবির আশাবাদী, তারা সরকার গঠন করবেন বলে।
বিজেপির একটিই কর্মসূচি! আর তা হল, ইসলাম-বিদ্বেষ! গত পাঁচ বছরের উন্নয়নের কোনও খতিয়ান জনসমক্ষে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। তাই, মুসলিম-বিদ্বেষ-ই তাদের নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে একমাত্র অস্ত্র! পাশাপাশি, তথাকথিত বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশ নিয়েই তাদের নির্বাচনি প্রচার চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অসমে বিধানসভা নির্বাচন : সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে এককাট্টা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি

আপডেট সময় : ০৬:৩০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
 ১২৬ আসনবিশিষ্ট বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে অসম রাজ্য প্রধানত দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি ও তার দোসরদের সম্মিলিত শক্তি মিত্র জোটকে পরাস্ত করতে মহাজোট গঠন করেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ছয়টি রাজনৈতিক সংগঠন।
সিপিএম, সিপিআই,সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও এআইইউডিএফসহ ছয়টি ধর্মনিরপেক্ষ দল নির্বাচনকে সামনে রেখে মহাজোট গঠন করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মিত্র জোটের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এজিপি-বিজেপি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রথম বারের মতো অসমে ক্ষমতা দখল করেছিল।২০০১ থেকে লাগাতার তিন বার কংগ্রেস শাসনের পর রাজ্যবাসী রুচি পরিবর্তন করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বিজেপি-এজিপি জোটকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। কিন্তু বিজেপি যে-সকল প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করেছিল, তার ছিটিফোঁটাও পাননি জনগণ!
এদিকে, এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ CAA , ডি-ভোটার, ডিটেনশন ক্যাম্প ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যায় রাজ্যবাসীকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে বর্তমান বিজেপি সরকার। জনগণকে অপদস্থ করার লক্ষ্যে নিত্য-নতুন ফরমান জারি করছে সরকার! রুটি-রোজির চিন্তা বাদ দিয়ে রাজ্যের জনগণকে নথিপত্র জোগাড়সহ নানাবিধ আইনি জটিলতায় সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। কর্মসংস্থান সংকোচিত হচ্ছে। ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য জ্যামিতিক হারে বাড়ছে! পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্য নিত্যদিন বৃদ্ধি পেয়ে এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এমতাবস্থায়, জনগণ পুনরায় পরিবর্তন চাইছেন।
ইতিমধ্যে উজান অসমে ৪৭ টি আসনে ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে গত শনিবার।
১এপ্রিল বরাক উপত্যকায় ভোট গ্রহণ করা হবে। ৬ এপ্রিল তৃতীয় তথা শেষ দফা ভোটগ্রহণ করা হবে। মিত্র জোট ও মহাজোট উভয় শিবির আশাবাদী, তারা সরকার গঠন করবেন বলে।
বিজেপির একটিই কর্মসূচি! আর তা হল, ইসলাম-বিদ্বেষ! গত পাঁচ বছরের উন্নয়নের কোনও খতিয়ান জনসমক্ষে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। তাই, মুসলিম-বিদ্বেষ-ই তাদের নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে একমাত্র অস্ত্র! পাশাপাশি, তথাকথিত বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশ নিয়েই তাদের নির্বাচনি প্রচার চলছে।