বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গম্ভীর্যের সাথে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে পালন করেছে মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১। দিনের কর্মসূচিতে ছিল শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী ইত্যাদি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং তাদের সফর সঙ্গীগণ বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানমালায় যোগদান করেন।
দূতাবাসের প্রথম সচিব লুৎফুন নাহার নাজিম-এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশী সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবিগণ উপস্থিত ছিলেন।
যাদের জীবন ও অসীম ত্যাগের বিনিময়ে মাতৃভাষা বাংলা রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে তাদের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সভাপতি রাষ্ট্রদূত বলেন, মাতৃভাষা মানুষের জন্মগত অধিকার, সে অধিকার হরণ করে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠি বাঙালীর জন্মাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ভাষার প্রশ্নে জাতির জনকের যৌক্তিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আন্দোলন পরবর্তীতে স্বাধীকার আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল।
তিনি মাতৃভাষার প্রতি যত্নশীল ও সংবেদনশীল হয়ে বিভিন্ন ভাষার জ্ঞান আহরণ করে টেকসই ও সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠার আহবান জানান। দেশের গতিশীল উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের ভূয়শী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা এবং ”সুন্দর হাতের লেখা” প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত ও আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।