­
­
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে?  » «   ইউরোপ ৪ দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন!  » «   ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি  » «   বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার  » «   নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ  » «   ৬০ টন পণ্য নিয়ে সিলেট থেকে উড়ল প্রথম কার্গো ফ্লাইট  » «   রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার  » «   শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি  » «   ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার কবি দাউদ হায়দার আর নেই  » «   গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি আটক  » «   ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কোন দিকে মোড় নিতে পারে?  » «   পাকিস্তানের আছে ১৫০টি পরমাণু বোমা, ভারতের কত?  » «   কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী?  » «   আট মাসে দেশে ২৬টি রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফর্ম, উদ্দেশ্য কী?  » «   ঢাকায় হামজার অভিষেকে ছাড়া হবে ১৮ হাজার টিকিট  » «  

বড়লেখায় ৫০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ির চাবি পেলো



মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ৫০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিলসহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ির চাবি হস্তাস্তর করা হয়েছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও ইউএনও শামীম আল ইমরান তাদের হাতে দলিলসহ বাড়ির চাবি তুলে দেন। এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ভূমিহীন-গৃহহীনদের দুই ঘর বিশিষ্ট পাকা বাড়ির চাবি হস্তাস্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান। উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি। তিনি ঢাকাস্থ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বড়লেখার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত লায়লা নীরা।

 

অনুষ্ঠানে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এপিপি গোপল দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন এলাকায় ৫০টি ঘর নির্মাণে সরকারে ব্যয় হয়েছে ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘরে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এছাড়া পরিবার প্রতি ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে কবুলিয়ত সম্পন্ন করে দেওয়া হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে খাবিটা কর্মসূচির আওতায় বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন কাজ বাস্তাবায়ন করেছে।

ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কথা হয় বড়লেখা সদর ইউনিয়নের সিংহেরমহাল এলাকার বাসিন্দা ননী গোপাল দেবের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের কোনো জায়গা ছিল না। অন্যের জায়গায় ভাঙা একটা ঘরে থাকতাম এখন মাথা টাই করার জায়গা পেলাম। জীবনে ঘর তৈরি করে বসবাস করতে পারব তা কখনো ভাবিনি। সরকারের কারণে আজ ‘‘আশ্রয় পেয়েছি, দালান পেয়েছি’’। ২ শতক জমির মালিক হয়েছি যাহা আমার জীবনে স্বপ্নের ন্যায়।’

আরেক উপকারভোগী দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশেমনগর গ্রামের বাসিন্দা রুনু বেগম বলেন, ‘ঘর না থাকায় অসহায় ছিলাম। ঘর তৈরি করার ক্ষমতা আমার ছিল না। শেখ হাসিনার দেওয়া ঘর পেয়ে ঘর পেয়ে আমি খুশি। হাসিনার জন্য দোয়া করমু যতদিন বাঁচমু।’

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘যারা ঘর পেয়েছেন, তারা খুব গরিব। নিজেদের জায়গা ছিল না। কেউ অন্যের বাড়িতে আশ্রয়ে, কেউ বা খাস ভূমিতে একটি জরাজীর্ণ ঘর তৈরি করে থাকতেন। সেখানে একটি ভালো ঘর তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। মুজিববর্ষে দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে বড়লেখায় স্থানীয় সাংসদ ও পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং পরামর্শে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে আমরা ঘর দিয়েছি। পাকা ঘর তৈরি ও পরিবার প্রতি ২ শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে কবুলিয়ত সম্পন্ন করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পিআইওসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। পরিবারগুলো পাকা ঘর পেয়ে খুব খুশি। তাদের মুখের হাসি দেখে আমাদের ভালো লাগছে।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন