ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

‘পরিবেশ রক্ষা’কে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করতে ফ্রান্সে গণভোটের সিদ্ধান্ত

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 921
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পরিবেশ রক্ষাকে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করতে ফ্রান্সে গণভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর।তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ, পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না ।

প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে মানবসভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে, সহজ হচ্ছে দৈনন্দিক জীবন। কিন্তু একইসঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি আশঙ্কাজনক হারে বাড়িয়ে দিচ্ছে পরিবেশ দূষণ, বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে পৃথিবী। এই সমস্যার সমাধানেও কিন্তু ভূমিকা রাখছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এ বার সেই প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁই পরিবেশ রক্ষাকে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করতে চান। সে জন্য তিনি গণভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।মাক্রোঁ স্বীকার করে নিয়েছেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য ফ্রান্স প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি। সিটিজেনস ক্লাইমেট কাউন্সিলে তিনি বলেছেন, ”আমাদের কি আরো কিছু করতে হবে? উত্তর হলো, হ্যাঁ। আমি চাই জীববৈচিত্র, পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার বিষয়টি সংবিধানের এক নম্বর অনুচ্ছেদে রাখা হোক। সে জন্য প্রাথমিক ভোট ও গণভোট জরুরি।” মাক্রোঁর ঘোষণা, ”আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দ্রুত এ নিয়ে কাজ করতে হবে।”

ফরাসি প্রেসিডেন্টের উপর পরিবেশ রক্ষার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রবল চাপ তৈরি করেছে তাঁর দলের ভেতরেই বাম মনোভাবাপন্ন গোষ্ঠীগুলি। তাঁদের মত হলো, মাক্রোঁ পরিবেশ রক্ষার জন্য ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অবিলম্বে সেটা তাঁর নেয়া দরকার। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে এখন গ্রিন পার্টিও অত্যন্ত সক্রিয়। তারা মাক্রোঁর সমর্থকদের পাশে পেতে চাইছে। এভাবেই তারা নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে চায়। সেটাও মাক্রেঁর চিন্তার কারণ। সে জন্য তিনি পরিবেশ রক্ষা নিয়ে উদ্যোগী হতে চান।গত সপ্তাহেই ইইউ নেতারা ঠিক করেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ অন্তত ৪০ শতাংশ কমানো হবে। ফলে সবদিক থেকেই মাক্রোঁর উপর চাপ তৈরি হয়েছে। তারই ফল হলো, পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকে সংবিধানে রাখতে গণভোটের ঘোষণা। পৃথিবীতে প্রায় শতাব্দী ধরে বহু শহর বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘পরিবেশ রক্ষা’কে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করতে ফ্রান্সে গণভোটের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

পরিবেশ রক্ষাকে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করতে ফ্রান্সে গণভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর।তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ, পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না ।

প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে মানবসভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে, সহজ হচ্ছে দৈনন্দিক জীবন। কিন্তু একইসঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি আশঙ্কাজনক হারে বাড়িয়ে দিচ্ছে পরিবেশ দূষণ, বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে পৃথিবী। এই সমস্যার সমাধানেও কিন্তু ভূমিকা রাখছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এ বার সেই প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁই পরিবেশ রক্ষাকে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করতে চান। সে জন্য তিনি গণভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।মাক্রোঁ স্বীকার করে নিয়েছেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য ফ্রান্স প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি। সিটিজেনস ক্লাইমেট কাউন্সিলে তিনি বলেছেন, ”আমাদের কি আরো কিছু করতে হবে? উত্তর হলো, হ্যাঁ। আমি চাই জীববৈচিত্র, পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার বিষয়টি সংবিধানের এক নম্বর অনুচ্ছেদে রাখা হোক। সে জন্য প্রাথমিক ভোট ও গণভোট জরুরি।” মাক্রোঁর ঘোষণা, ”আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দ্রুত এ নিয়ে কাজ করতে হবে।”

ফরাসি প্রেসিডেন্টের উপর পরিবেশ রক্ষার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রবল চাপ তৈরি করেছে তাঁর দলের ভেতরেই বাম মনোভাবাপন্ন গোষ্ঠীগুলি। তাঁদের মত হলো, মাক্রোঁ পরিবেশ রক্ষার জন্য ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অবিলম্বে সেটা তাঁর নেয়া দরকার। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে এখন গ্রিন পার্টিও অত্যন্ত সক্রিয়। তারা মাক্রোঁর সমর্থকদের পাশে পেতে চাইছে। এভাবেই তারা নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে চায়। সেটাও মাক্রেঁর চিন্তার কারণ। সে জন্য তিনি পরিবেশ রক্ষা নিয়ে উদ্যোগী হতে চান।গত সপ্তাহেই ইইউ নেতারা ঠিক করেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ অন্তত ৪০ শতাংশ কমানো হবে। ফলে সবদিক থেকেই মাক্রোঁর উপর চাপ তৈরি হয়েছে। তারই ফল হলো, পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকে সংবিধানে রাখতে গণভোটের ঘোষণা। পৃথিবীতে প্রায় শতাব্দী ধরে বহু শহর বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।