ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের নিরাপত্তায় বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নিয়োগ  একুশে বইমেলা ২০ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে বিজয় দিবস ও প্রবাসী গৌরব: হাউস অব লর্ডসে ড. ওয়ালি তছর উদ্দিন সম্মানিত তারেক রহমান বললেন ‘আমিও হাফ সিলেটি’, জানালেন বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ‘লং মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ গেলো বাড্ডা পর্যন্ত, হাইকমিশনারকে তলব করে উদ্বেগ জানালো ভারত ট্রাইব্যুনালে নিজের বিচার টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের আবেদন জানালেন ইনু হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের মা–বাবাও গ্রেপ্তার জামায়াত কর্মীকে ‘রাজাকার’ বলায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষ ভোটের ওপর নির্ভর করছে সবার ভবিষ্যৎ: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস যদি চান, সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে আনিস আলমগীর

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: চার আসামির ডিএনএ মিলেছে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
  • / 734
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের আঙ্গিনায় প্রাইভেট কারের ভেতর গৃহবধূকে ধর্ষণের সঙ্গে চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে ডিএনএ টেস্টে। অন্যরা ধর্ষণে সহায়তা করেছেন। আলোচিত এই মামলার আসামিদের ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য মিলেছে। পুলিশ এখন মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।

যে চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে তাঁরা হলেন- সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্তি উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্লাহ বলেন, আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছিল মামলার তদন্তের মূল অগ্রগতি। অভিযোগপত্র দাখিলে ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষা ছিল। সম্প্রতি ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এখন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।

২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ (২১)। ছাত্রাবাসের আঙ্গিনায় স্বামীকে আটকে রেখে প্রাইভেট কারের ভেতর ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদি হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় মামলা করেন।

ধর্ষণের পর ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি।

মামলা দায়েরের পর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তারের পর আটজন আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তাঁরা। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর, তারেক, শাহ মাহবুবুর ও অর্জুন লস্কর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তা করার কথা স্বীকার করেন। সন্দেহভাজন দুই আসামিও আদালতে জবানবন্দি দেন। এর আগে ছয় আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়ে শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, তদন্তের সব কাজ শেষ। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: চার আসামির ডিএনএ মিলেছে

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের আঙ্গিনায় প্রাইভেট কারের ভেতর গৃহবধূকে ধর্ষণের সঙ্গে চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে ডিএনএ টেস্টে। অন্যরা ধর্ষণে সহায়তা করেছেন। আলোচিত এই মামলার আসামিদের ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য মিলেছে। পুলিশ এখন মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।

যে চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে তাঁরা হলেন- সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্তি উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্লাহ বলেন, আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছিল মামলার তদন্তের মূল অগ্রগতি। অভিযোগপত্র দাখিলে ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষা ছিল। সম্প্রতি ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এখন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।

২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ (২১)। ছাত্রাবাসের আঙ্গিনায় স্বামীকে আটকে রেখে প্রাইভেট কারের ভেতর ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদি হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় মামলা করেন।

ধর্ষণের পর ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি।

মামলা দায়েরের পর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তারের পর আটজন আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তাঁরা। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর, তারেক, শাহ মাহবুবুর ও অর্জুন লস্কর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তা করার কথা স্বীকার করেন। সন্দেহভাজন দুই আসামিও আদালতে জবানবন্দি দেন। এর আগে ছয় আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়ে শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, তদন্তের সব কাজ শেষ। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।