ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন নির্বাচন বয়কট করছে না আওয়ামী লীগ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলা: নিহত ৬ বাংলাদেশি বিএনপি থেকে তিন দফা বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামানকে দলে নিল জামায়াত তিন দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক: ‘ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশিক্ষিত শুটার নামিয়েছে মাঠে’

দক্ষিনাঞ্চল একটি অপার সম্ভাবনাময় এলাকা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০
  • / 822
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চল ও সুন্দরবন একটি অপার সম্ভাবনাময় এলাকা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। যার ফলে দিন দিন এই অঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। তবে সুন্দরবন ও দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। সুন্দরবন আমাদের রক্ষা কবজ, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটে সুন্দরবনসহ দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম সংক্রান্ত মত বিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রিজাউল করিম, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন, কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা (সিইএ) প্রকল্পের ডেপিুটি টিম লিডার জহির উদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক মোঃ জহির ইকবাল, সিইজিআইএস প্রকল্প লিডার মুশফিক আহমেদ, মোরেলগঞ্জ উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. শাহ-ই আলম বাচ্চু প্রমুখ। সভায় সুন্দরবন ও দক্ষিনাঞ্চলে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগ যৌথভাবে কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হবে। দক্ষিনাঞ্চলের পানিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, পর্যটন, নগরায়ন, শিল্পায়ন, পরিবহন-যোগাযোগ, নৌচলাচল, মৎস্য ও বন সম্পদের বিভিন্ন সম্ভাবনা সম্পর্কিত সমীক্ষা করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। এই সমীক্ষা শেষ হলে সুন্দরবনসহ দক্ষিনাঞ্চলে টেকসই উন্নয়ণ কৌশল প্রনয়ন করা হবে। সুন্দরবনের উপর প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ ও অন্যান্য প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে বিকল্প কৌশল প্রনয়ন সহজ হবে বলে দাবি করেছেন বক্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দক্ষিনাঞ্চল একটি অপার সম্ভাবনাময় এলাকা

আপডেট সময় : ০১:১৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চল ও সুন্দরবন একটি অপার সম্ভাবনাময় এলাকা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। যার ফলে দিন দিন এই অঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। তবে সুন্দরবন ও দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। সুন্দরবন আমাদের রক্ষা কবজ, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটে সুন্দরবনসহ দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম সংক্রান্ত মত বিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রিজাউল করিম, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন, কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা (সিইএ) প্রকল্পের ডেপিুটি টিম লিডার জহির উদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক মোঃ জহির ইকবাল, সিইজিআইএস প্রকল্প লিডার মুশফিক আহমেদ, মোরেলগঞ্জ উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. শাহ-ই আলম বাচ্চু প্রমুখ। সভায় সুন্দরবন ও দক্ষিনাঞ্চলে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগ যৌথভাবে কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হবে। দক্ষিনাঞ্চলের পানিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, পর্যটন, নগরায়ন, শিল্পায়ন, পরিবহন-যোগাযোগ, নৌচলাচল, মৎস্য ও বন সম্পদের বিভিন্ন সম্ভাবনা সম্পর্কিত সমীক্ষা করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। এই সমীক্ষা শেষ হলে সুন্দরবনসহ দক্ষিনাঞ্চলে টেকসই উন্নয়ণ কৌশল প্রনয়ন করা হবে। সুন্দরবনের উপর প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ ও অন্যান্য প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে বিকল্প কৌশল প্রনয়ন সহজ হবে বলে দাবি করেছেন বক্তারা।