২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানকে অনতিবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠিয়ে বাংলাদেশের হাহকোর্টের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড কার্যকর করাতে সহযোগীতার আবেদন জানিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ।১৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার ১০ ডাউনিং স্ট্রীটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।বিক্ষোভ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেন।বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সংগঠনের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১০ ডাউনিং স্ট্রীটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।এসময় প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, “২০০৪ সালে তারেক রহমানের নির্দেশে ও তারই তত্ত্বাবধানে একদল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি আওয়ামী লীগের একটি সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে তারা ১২টি আর্জেস গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এর ফলে আইভী রহমানসহ এর ফলে ২৪ জন রাজনৈতিক কর্মী নিহত হন।প্রায় ৫০০ উপস্থিত নেতাকর্মী গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্তহেয়ে আজও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।এদের মধ্যে বেশকিছু লোক এই আঘাতের ফলে মৃত্যুবরণ করেন।২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলা ছাড়াও আরো বহু মামলায় তারেক রহমান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।এর থেকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে তারেক রহমান সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ও সন্ত্রাসীদের সংগঠনের অংশ এবং অসংখ্য বেআইনী হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ী ।”
স্মারকলিপিতে এও উল্লেখ করা হয়, তারেক রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থাকার সমস্ত শর্ত ভঙ্গ করেছেন ব্রিটিশ আইনে। তারেক রহমান দন্ডিত আসামী, তাকে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার সকল আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামসুদ্দিন আহমদ মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমদ, মানবাধিকার সম্পাদক সারব আলী, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক আসম মিসবাহ,মেহের নিগার চৌধুরী, এস এম সুজন মিয়া, কাওসার চৌধুরী, আলতাফুর রহমান মোজাহিদ প্রমুখ।