­
­
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
গাজায় গণহত্যা: ছয় জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ  » «   গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, সংকুচিত হয়ে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা  » «   গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন : প্রতিবাদে সামিল বাংলাদেশ  » «   যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ: বাংলাদেশের জন্য সুযোগও সৃষ্টি হতে পারে  » «   ১০০ ডলারের টি-শার্টের শুল্ক ৪৯ ডলার!  » «   বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর অস্থায়ী ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির  » «   ট্রাম্পের শুল্ক ধাক্কা কীভাবে সামলাবে বাংলাদেশ  » «   ইউনূস-মোদীর প্রথম বৈঠকে হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইল বাংলাদেশ  » «   বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭% শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের, পোশাক শিল্পে বড় ধাক্কা  » «   জাফলং ঘুরতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো কিশোরের  » «   ১৭ বছর পরে জাতীয় ঈদগাহের ঈদ জামাতে সরকারপ্রধান  » «   ঈদ আসে, গাজায় আনন্দ আসে না  » «   এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া  » «   মিয়ানমারে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরও হামলা চালাচ্ছে জান্তা বাহিনী  » «   ঈদযাত্রা: শুক্র ও শনিবার ঢাকা ছেড়েছে ৪১ লাখ সিমধারী  » «  

ব্রিটেনে ঝরা পাতার দিন



 

ঝরা পাতার দিন।সুখ অথবা দূ:খ বিলাসীদের কাছে সময়টি বহন করে ভিন্নমাত্রা।
প্রকৃতির অদল- বদলের খবরাখবর প্রকৃতিবান্ধব মানুষ মাত্রই যেমন রাখেন, তেমনি ১২মাসের দিন ও পালাবদলের পরিবর্তন অনুভব অথবা আলিঙ্গনে সকলকে কম-বেশী ছুয়ে যায়! এবং বলা হয়ে থাকে এটাই প্রকৃতির আসল কৃতিত্ব।
ব্রিটেনের নান্দনিক পরিবেশের সাথে আবহাওয়ার সম্পর্ক আস্টে -পৃষ্টে জড়িয়ে আছে। ব্রিটিশ রীতি অনুযায়ী চার ঋতুগুলো হচ্ছে স্প্রিং,সামার,অটাম এবং উইন্টার।

মেট অফিস এর তথ্যানুযায়ী এবছর ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে অটাম বা হেমন্ত কাল এবং শেষ হবে ২১ ডিসেম্বর ।
ব্রিটেনের অটাম সময় দৃশ্যত উপলব্দিতে আসে অক্টোবর মাসের শেষ রবিবার থেকে।উইন্টার সময় পরিবর্তনের মাধ্যমে। এইদিন,এক লাফে- দিন থেকে কমে গেছে এক ঘন্টা। বেলা প্রায় তিনটায় মেনে এসেছে আঁধার। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ব্রিটেনবাসীর গায়ে উঠেছে ‘ওম কাপড়’।একই সাথে প্রকৃতিতে দেখা দিয়েছে বিরহের অপার সৌন্দর্য। শুরু হয়েছে মনো মুগ্ধকর- ঝরা পাতার দিন।

বলা হয়ে থাকে ,ব্রিটেন জুড়ে আলোকিত সৌন্দর্য ছড়িয়ে থাকার অন্যতম কারণ হলো- এখনও সামগ্রিকভাবে দেশটি প্রকৃতিবান্ধব। হাইস্ট্রিট থেকে শুরু করে ছোট ছোট স্ট্রিট ও আশে পাশে পরিকল্পিতভাবে লাগানো রয়েছে অসংখ্য বৃক্ষ ও ‍ফুলের বাগান।
তাই ব্রিটেনে হেমন্ত আসলে সকলের পরণে দেখা যায়- শীতের কাপড়। পাশাপাশি,বাসা-বাড়ির রাস্তা, ছোট -বড় ষ্ট্রিট এবং হাইওয়েতে চোখে পড়ে হেমন্তের বিরহ দিন। সব মিলিয়ে, ব্রিটেনের প্রচন্ড ব্যস্ত সময়েও সৃজনশীল মানুষদের চোখ আটকে থাকে-‘ঝরা পাতার দিনগুলো’।

অক্টোবরের শুরুতে প্রকৃতিতে অটামের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ে। এসময় প্রথমে টাইমস ও ম্যাপল লিফসহ বিভিন্ন গাছের হলুদ পাতা ঝরতে শুরু করে।এবং হেমন্তে ধীরে ধীরে ব্ল্যাক ফরেস্টের নানা ধরণের ঝাউ গাছগুলো ছাড়া প্রায় সব গাছেরই পাতা অটাম সময়ে ঝরে যায়।

হেমন্তের এই সময়ে প্রকৃতি দূ:খ, বিরহ নিয়েই চলে বলে প্রকৃতিবাদী কবি- সাহিত্যিকরা বলে আসছেন। বাস্তবেও যেন তা পরিস্কার চোখে পড়ে। এসময় মাঝে মাঝে আকাশে আলতো রোদের আভা দেখা গেলেও, বেশীরভাগ সময় থাকে ঘোমট আকাশ। থাকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ।এবং দমকা বাতাসে দিক বিদিক উড়ে টাইমস ও ম্যাপল সহ বিভিন্ন জাতের গাছের হলুদ-লাল পাতা।

মাণ্টিকালচারাল ব্রিটেনের অন্যতম আলোকিত দিক হচ্ছে- দেশটির নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ ও তার ধারাবাহিক চর্চা। দেশটির প্রধানতম ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস কে স্বাগত জানাতে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয় সারা দেশে আনুষ্ঠানিক সাজ সজ্জা। উৎসব -আনন্দের রোমান্টিকতায়, সুখ অথবা দূ:খ বিলাসের নানা উপকরণে যুক্ত হয় হেমন্তের পাতাঝরার মুগ্ধকর মুহুতগুলোও। এ যেন মনভালো করা তুলনাহীন অনুভূতি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন