সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় তরুণীকে ধর্ষণ ও তার বাবাকে মারধরের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি শামীম আহমদের মামা আবদুল খালিছের (৪৮) বিরুদ্ধে তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১২ অক্টোবর) এ ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে আব্দুল খালিছের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী কর্মক্ষম। এজন্য বিয়ের পর থেকে স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি থাকছেন গৃহবধূ। এ সুযোগে গ্রামের প্রভাবশালী আবদুল খালিছ গৃহবধূকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।
এতে রাজি না হওয়ায় ৩ এপ্রিল রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন খালিছ। বিষয়টি লোকলজ্জায় কাউকে জানাননি তিনি। এরই মধ্যে আবদুল খালিছ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
গৃহবধূর ঘর থেকে কৌশলে ভোটার আইডি কার্ড, বিয়ের কাবিননামা ও জমির কাগজপত্র এবং নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যান। পরে এসব জিনিস আটকে রেখে ব্ল্যাকমেইল করে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন খালিছ। ৯ অক্টোবর রাতে স্বামীর গলায় ছুরি ধরে সন্তানদের এক ঘরে আটকে রেখে গৃহবধূকে আবারও ধর্ষণ করেন তিনি।
জগন্নাথপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের আলোকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।