ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইউনূস যদি চান, সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে আনিস আলমগীর সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত চক্র ‘বিজয়ের নতুন ইতিহাস’ রচনার অপচেষ্টায়: তারেক রহমান আটকের ১৯ ঘণ্টা পর সাংবাদিক আনিস আলমগীর গ্রেফতার; ‘বাকস্বাধীনতাটা কোথায় গেল’ প্রশ্ন শাওনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ

বাগেরহাটে ইঊনিয়ন পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 843
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, অসদাচারণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট্ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্থানীয়রা অবহিত করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। যার ফলে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকদের মাঝে এক ধরণের ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এদিকে ট্রেড লাইসেন্স চাওয়ায় অশোভন আচরণ করায় সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুজ্জামান সাইদ। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জনাব দেবাশীষ মল্লিক গোপালপুর ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আমার জরুরীভাবে একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হওয়ায়, তাৎক্ষনিকভাবে খোজ নিয়ে জানতে পারি তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে রয়েছেন। তখন ২৭ আগস্ট সাড়ে ১১টার দিকে আমি ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে যাই। সচিবের কাছে ট্রেড লাইসেন্সের কথা বলি। তখন তিনি আমাকে বলেন এখন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। এসময় কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন। যা আমি তার কাছ থেকে আশা করিনি। তাৎক্ষনিকভাবে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আশপাশের লোকজন এসে জানতে চাইলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন “আমি চেয়ারম্যানের চাকুরী করিনা, আমি ডিসিকে বলছি, তোদের দেখিয়ে দিচ্ছি”। আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি। গত ১২ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের একটি প্রতিবাদে আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও আপত্তিকর কথা লেখা হয়েছে। যা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এছাড়াও সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পদ আত্নসাত, গ্রাম পুলিশদের হাজিরা খাতা আটকিয়ে রাখা, মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যা একাধিক গণ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ শুনেছি। আমরা লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে যথাযথ তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে ইঊনিয়ন পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:০৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, অসদাচারণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট্ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্থানীয়রা অবহিত করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। যার ফলে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকদের মাঝে এক ধরণের ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এদিকে ট্রেড লাইসেন্স চাওয়ায় অশোভন আচরণ করায় সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুজ্জামান সাইদ। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জনাব দেবাশীষ মল্লিক গোপালপুর ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আমার জরুরীভাবে একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হওয়ায়, তাৎক্ষনিকভাবে খোজ নিয়ে জানতে পারি তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে রয়েছেন। তখন ২৭ আগস্ট সাড়ে ১১টার দিকে আমি ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে যাই। সচিবের কাছে ট্রেড লাইসেন্সের কথা বলি। তখন তিনি আমাকে বলেন এখন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। এসময় কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন। যা আমি তার কাছ থেকে আশা করিনি। তাৎক্ষনিকভাবে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আশপাশের লোকজন এসে জানতে চাইলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন “আমি চেয়ারম্যানের চাকুরী করিনা, আমি ডিসিকে বলছি, তোদের দেখিয়ে দিচ্ছি”। আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি। গত ১২ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের একটি প্রতিবাদে আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও আপত্তিকর কথা লেখা হয়েছে। যা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এছাড়াও সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পদ আত্নসাত, গ্রাম পুলিশদের হাজিরা খাতা আটকিয়ে রাখা, মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যা একাধিক গণ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ শুনেছি। আমরা লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে যথাযথ তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।