­
­
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সিলেটে ডা. জোবাইদার ‘বেনামি’ পোস্টার ঘিরে আলোচনার ঝড়  » «   মাত্র ১৪ কর্মদিবসে মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ-হত্যার বিচার, ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড  » «   হামাস নির্মূলে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্রতর, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্পের  » «   সৌদির সমাজে বড় পরিবর্তন, কীভাবে সম্ভব হলো?  » «   আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এখন আমরা কী নির্মাণ করছি?  » «   ডলার খোলাবাজারে : দাম অস্বাভাবিক বাড়লে কী হবে?  » «   নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ কেন?  » «   আওয়ামী লীগ নিয়ে খবর প্রকাশ বা সোশাল মিডিয়ায় লেখাও কি নিষেধ?  » «   জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর  » «   ভুয়া ‘জুলাই যোদ্ধা’র হাতে সরকারি অনুদানের চেক  » «   কে জিতল—ভারত, না পাকিস্তান?  » «   আওয়ামী লীগের ‘কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা’র মানে কী?  » «   বাংলাদেশে মার্কিন পণ্যের আমদানি বাড়বে, কমবে শুল্ক  » «   আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞার ফল কী? জামায়াতের বিচার নিয়ে প্রশ্ন  » «   পা দিয়ে লিখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় মানিক  » «  

বাগেরহাটে ইঊনিয়ন পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ



বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, অসদাচারণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট্ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্থানীয়রা অবহিত করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। যার ফলে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকদের মাঝে এক ধরণের ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এদিকে ট্রেড লাইসেন্স চাওয়ায় অশোভন আচরণ করায় সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুজ্জামান সাইদ। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জনাব দেবাশীষ মল্লিক গোপালপুর ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আমার জরুরীভাবে একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হওয়ায়, তাৎক্ষনিকভাবে খোজ নিয়ে জানতে পারি তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে রয়েছেন। তখন ২৭ আগস্ট সাড়ে ১১টার দিকে আমি ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে যাই। সচিবের কাছে ট্রেড লাইসেন্সের কথা বলি। তখন তিনি আমাকে বলেন এখন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। এসময় কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন। যা আমি তার কাছ থেকে আশা করিনি। তাৎক্ষনিকভাবে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আশপাশের লোকজন এসে জানতে চাইলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন “আমি চেয়ারম্যানের চাকুরী করিনা, আমি ডিসিকে বলছি, তোদের দেখিয়ে দিচ্ছি”। আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি। গত ১২ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের একটি প্রতিবাদে আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও আপত্তিকর কথা লেখা হয়েছে। যা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এছাড়াও সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পদ আত্নসাত, গ্রাম পুলিশদের হাজিরা খাতা আটকিয়ে রাখা, মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যা একাধিক গণ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ শুনেছি। আমরা লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে যথাযথ তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন