ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

ব্রিটেনসহ ইউরোপজুড়ে ‘করোনা-বিরোধী’ বিক্ষোভ, বার্লিনে গ্রেফতার ৩০০

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০
  • / 2555
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনাভাইরাস মহামারি এখনও শেষ না হলেও এর জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে স্বাস্থ্যবিধি-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ব্রিটেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। শনিবার জার্মান রাজধানী বার্লিনে এধরনের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন অন্তত ৩৮ হাজার মানুষ। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় শহরটিতে অন্তত ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্লিন পুলিশ এক টুইটে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি না মানায় তাদের গ্রেফতার করা ছাড়া পুলিশের সামনে আর কোনও পথ ছিল না।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বার্লিন প্রশাসন প্রথমে এ বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি। পরে সেখানকার একটি আঞ্চলিক আদালত ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে বিক্ষোভের অনুমতি দেন।

বার্লিনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেস জিসেল জানিয়েছেন, শহরের ব্রান্ডেনবার্গ গেটের কাছে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী সমবেত হয়েছিলেন। সেখান থেকে পুলিশের দিকে বোতল ও পাথর নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। এসময় অন্তত সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এদিকে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শনিবার স্বাস্থ্যসুরক্ষা নির্দেশনার বিরোধিতায় সমাবেশ হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ জন মাস্ক-বিরোধী বিক্ষোভকারী অংশ নেন। এসময় তারা ‘স্বাস্থ্যের একনায়কতন্ত্রকে না’, ‘আমাদের শিশুদের শ্বাস নিতে দিন’ এ ধরনের স্লোগান দেন।

যুক্তরাজ্যে করোনায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হলেও এ মহামারিকে গুজব মন্তব্য করে স্বাস্থ্য বিষয়ক সবধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিন লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে এ দাবিতে সমবেত হয়েছিলেন কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী।

একই দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা এবং সুইজারল্যান্ডের জুরিখেও।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ব্রিটেনসহ ইউরোপজুড়ে ‘করোনা-বিরোধী’ বিক্ষোভ, বার্লিনে গ্রেফতার ৩০০

আপডেট সময় : ০৬:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারি এখনও শেষ না হলেও এর জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে স্বাস্থ্যবিধি-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ব্রিটেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। শনিবার জার্মান রাজধানী বার্লিনে এধরনের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন অন্তত ৩৮ হাজার মানুষ। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় শহরটিতে অন্তত ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্লিন পুলিশ এক টুইটে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি না মানায় তাদের গ্রেফতার করা ছাড়া পুলিশের সামনে আর কোনও পথ ছিল না।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বার্লিন প্রশাসন প্রথমে এ বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি। পরে সেখানকার একটি আঞ্চলিক আদালত ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে বিক্ষোভের অনুমতি দেন।

বার্লিনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেস জিসেল জানিয়েছেন, শহরের ব্রান্ডেনবার্গ গেটের কাছে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী সমবেত হয়েছিলেন। সেখান থেকে পুলিশের দিকে বোতল ও পাথর নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। এসময় অন্তত সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এদিকে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শনিবার স্বাস্থ্যসুরক্ষা নির্দেশনার বিরোধিতায় সমাবেশ হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ জন মাস্ক-বিরোধী বিক্ষোভকারী অংশ নেন। এসময় তারা ‘স্বাস্থ্যের একনায়কতন্ত্রকে না’, ‘আমাদের শিশুদের শ্বাস নিতে দিন’ এ ধরনের স্লোগান দেন।

যুক্তরাজ্যে করোনায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হলেও এ মহামারিকে গুজব মন্তব্য করে স্বাস্থ্য বিষয়ক সবধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিন লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে এ দাবিতে সমবেত হয়েছিলেন কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী।

একই দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা এবং সুইজারল্যান্ডের জুরিখেও।