জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুলতান মনসুরের বাণী
- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০
- / 2205
১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বাণী দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ডাকসুর সাবেক ভিপি, জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় নেতা সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমদ। পাঠকের জন্য তা হুবুহু তুলে ধরা হল।
“বাঙালীর স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা ও দূঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য যিনি বাংলার গোপালগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জ আর টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ছুটে বেড়িয়ে বাঙালির কাছে পৌঁছে দেন পরাধীনতার শিকল ভাঙার মন্ত্র। সে মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে স্বাধীন দেশে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি আজ বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশে।
বাঙালি জাতির সেই অবিসংবাদিত নেতা,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে আজকের এই দিনে দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বপরিবারে হত্যা করে ঘাতকচক্র। ১৫ আগষ্টের সেই কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুননেছা, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কর্ণেল জামিল, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক, প্রায় একই সময়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মণির বাসায় হামলা চালিয়ে শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্ত:সত্তা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াতের বাসায় হামলা করে সেরনিয়াবাত ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় বেন্টু খান। জাতি আজীবন গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে সকল শহীদকে।
পরিবার পরিজন হারিয়ে শোক কে শক্তিতে রুপান্তরিত করে মানুষের মত প্রকাশের অধিকার আর দূঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্য কে জীবনের ব্রত করে নেওয়া বঙ্গবন্ধুর কন্যা সংসদ নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের সংগ্রামে সকলের সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের আহাবান জানাই।যিনি মহান সংসদে দাড়িয়ে জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন। তার অগ্রযাত্রা থাকুক অব্যাহত।
পরিশেষে, ৭৫এর এই নারকীয় হত্যাকান্ড কে মেনে না নিয়ে সেদিন আমরা যারা বাঘা কাদের সিদ্দিকীর নেত্রিত্বে এবং শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতায় প্রতিশোধ আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছিলাম এবং আমাদের যে সকল সহযুদ্ধা রা সেদিন শহীদ হয়েছিলেন এমন কি পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সহ, সকল সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও এই দেশের সার্থে এ পর্যন্ত যেসকল দেশ প্রেমিক ভাই ও বোন জীবন দিয়ে গেছেন তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শান্তি কামনা করছি। আর প্রত্যাশা করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে বাক্তিগত,, রাজনৈতিক সামাজিক , অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক,জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিটি বাঙ্গালী যেন আত্মমর্যাদার সাথে সাফল্য ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে যাওয়ার সুযোগ পায়।
আর এটাই হোক মুজিব বর্ষে জাতীয় শোক দিবসের শপথ।
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।





















