ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

ইটালীতে তীব্র সংকটে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • / 1428
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনা মহামারীর কারণে ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দায় নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে ইউরোপের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী।সবচেয়ে বেশি সংকটের শিকার হয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ইতালিতে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে লোকসানের মুখে। ফলে অনেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

ইতালিতে মার্চ এর প্রথম দিকে করোনা সংক্রমন তীব্র আকার ধারণ করলে ইতালিতে বসবাস করা প্রায় দুই লক্ষ বাংলাদেশিরাও সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পড়েন। চাকুরীজীবীদের জন্যে সরকারি প্রনোদনার ব্যবস্থা থাকলেও ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারি সহযোগিতা অপ্রতুল থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা সঙ্কটে পড়েন।

প্রায় অর্ধেকের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরণের ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে গুণতে বর্তমানে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতালির রোম, ভ্যানিস, ফ্লোরেন্স শহর বর্তমানে পর্যটনশূণ্য হওয়ার কারণে,পর্যটন নির্ভর বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে ।

কভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকে ৪ মাস একটানা লোকশান গুনে অনেকে মূলধন হারিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী করোনা মহামারীর চরম সংক্রমনকালীন সময়ে ৩ মাস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। মহামারি সঙ্কট প্রাথমিকভাবে কেটে যাবার পরও আগের স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা সম্ভব হয়নি।, বর্তমানে নিজেদের জমানো টাকা খরচ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। বাকী পড়ে যাচ্ছে মোটা অংকের দোকানভাড়াসহ সরকারের ট্যাক্স ও কর্মচারীর বেতন।

বড় ধরণের লোকশান গুণেও বর্তমান সময় পর্যন্ত যারা টিকে আছে, তারা ভবিষ্যত অন্ধকার দেখছে। ইতালিতে ব্যবসার ভরা মৌসুম ধরা হয়- জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসকেই। এই সময়ে ইতালির বিখ্যাত শহরগুলো পর্যটনশূন্য এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাবিহীন।

ইউরোপের বিভিন্ন বড় শহরে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামারীর সংক্রমনের কারণে প্রায় কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই সরকার ঘোষিত লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হয়েছে তাদের। কিন্তু পুনরায় খোলার পরেও অনেক ব্যবসায়ীদের বিক্রি পড়ে গেছে শতকরা ৭০ থেকে ৯০ ভাগ।

বর্তমানের বিক্রি দিয়ে ব্যবসার আনুষাঙ্গিক খরচের এক তৃতীয়াংশও পুরণ হবে না বলে জানিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। তবে লক ডাউনের কারণে অনেক শহরে মানুষ গৃহবন্ধী হয়ে পড়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের দোকান অর্থাৎ আলিমেন্টারি ও ফলের দোকানসহ তৈরি খাবার হোমডেলিভারীর সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে, বর্তমানে সারা ইউরোপ জুড়ে চলা অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়া নিয়ে সঙ্কায় আছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইটালীতে তীব্র সংকটে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

করোনা মহামারীর কারণে ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দায় নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে ইউরোপের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী।সবচেয়ে বেশি সংকটের শিকার হয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ইতালিতে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে লোকসানের মুখে। ফলে অনেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

ইতালিতে মার্চ এর প্রথম দিকে করোনা সংক্রমন তীব্র আকার ধারণ করলে ইতালিতে বসবাস করা প্রায় দুই লক্ষ বাংলাদেশিরাও সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পড়েন। চাকুরীজীবীদের জন্যে সরকারি প্রনোদনার ব্যবস্থা থাকলেও ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারি সহযোগিতা অপ্রতুল থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা সঙ্কটে পড়েন।

প্রায় অর্ধেকের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরণের ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে গুণতে বর্তমানে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতালির রোম, ভ্যানিস, ফ্লোরেন্স শহর বর্তমানে পর্যটনশূণ্য হওয়ার কারণে,পর্যটন নির্ভর বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে ।

কভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকে ৪ মাস একটানা লোকশান গুনে অনেকে মূলধন হারিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী করোনা মহামারীর চরম সংক্রমনকালীন সময়ে ৩ মাস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। মহামারি সঙ্কট প্রাথমিকভাবে কেটে যাবার পরও আগের স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা সম্ভব হয়নি।, বর্তমানে নিজেদের জমানো টাকা খরচ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। বাকী পড়ে যাচ্ছে মোটা অংকের দোকানভাড়াসহ সরকারের ট্যাক্স ও কর্মচারীর বেতন।

বড় ধরণের লোকশান গুণেও বর্তমান সময় পর্যন্ত যারা টিকে আছে, তারা ভবিষ্যত অন্ধকার দেখছে। ইতালিতে ব্যবসার ভরা মৌসুম ধরা হয়- জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসকেই। এই সময়ে ইতালির বিখ্যাত শহরগুলো পর্যটনশূন্য এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাবিহীন।

ইউরোপের বিভিন্ন বড় শহরে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামারীর সংক্রমনের কারণে প্রায় কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই সরকার ঘোষিত লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হয়েছে তাদের। কিন্তু পুনরায় খোলার পরেও অনেক ব্যবসায়ীদের বিক্রি পড়ে গেছে শতকরা ৭০ থেকে ৯০ ভাগ।

বর্তমানের বিক্রি দিয়ে ব্যবসার আনুষাঙ্গিক খরচের এক তৃতীয়াংশও পুরণ হবে না বলে জানিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। তবে লক ডাউনের কারণে অনেক শহরে মানুষ গৃহবন্ধী হয়ে পড়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের দোকান অর্থাৎ আলিমেন্টারি ও ফলের দোকানসহ তৈরি খাবার হোমডেলিভারীর সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে, বর্তমানে সারা ইউরোপ জুড়ে চলা অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়া নিয়ে সঙ্কায় আছেন।