বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার লন্ডনে এসে পৌঁছান। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেবার পথে তিনি যাত্রাবিরতি করছেন লন্ডনে। বিরতি শেষে আগামীকাল সকালে তিনি আবার আমেরিকার উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা করবেন। একান্তই পারিবারিক পরিবেশে তাঁর এ যাত্রা বিরতি হলেও তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে অনির্ধারিত বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। লন্ডনের ক্লারিজ হোটেলে অবস্থানকালীন সময়ে হোটেলেই তিনি এ মতবিনিময় করেন। এর আগে গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিমানের একটা বিশেষ ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বিকেল ৪.০৫ মিনিটে তিনি হিথ্র বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বিমান বন্দরের বাইরে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,মহিলা লীগের শত শত নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর করে তোলেন।
নেতা-কর্মীদের সাথে মত বিনিময়ে বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন । নেতা-কর্মীদের সাথে ক্লারিজ হোটেলে এক আলোচনায় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রসংগ তোলে ধরেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগকে কাজ করারও আহবান জানান তিনি।
গোয়েন্দাদের তথ্য নিয়ে সদ্য প্রকাশিত একটা বইয়ের কপি তিনি এসময় নেতা-কর্মীদের হাতে তোলে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্থান গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নতিগুলো নিয়ে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্যা নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ গ্রন্থ প্রকাশের গল্প করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাময়িক সময়ের জন্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারলেও ইতিহাস কখনও চাপা দেয়া যায় না। ইতিহাস সত্য ঘটনাগুলোই তার বুকে আগলে ধরে রাখে, মিথ্যে এখানে ঠিকে থাকতে পারে না।’
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে রাজনীতির প্রাসঙ্গিক আলোচনায় তিনি সিলেটে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমদ বলেছেন-‘ নেত্রীর সাথে তাঁদের এ সাক্ষাৎ এ তারা দেশ-দল-জনগণ সর্বোপরি আগামী নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পেয়েছেন।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমদের নেতৃত্বে হিথ্র বিমানবন্দরের বাইরে বিএনপি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। তারা নানা ধরনের প্লেকার্ড ব্যবহার করে এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।
২৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটা ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের পথে যাত্রা শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা বিমান আমেরিকার স্থানীয় সময় ১টা ৪০ মিনিটে নিউআর্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।