ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

আম্পানের তাণ্ডবে কলকাতার দুটি জেলা লন্ডভন্ড
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নয়জনের মৃত্যুর

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০
  • / 1670
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে কলকাতার দুটি জেলা ধ্বংসস্তুপ পরিণত হয়েছে।
গোটা রাজ্যের সর্বনাশ হয়ে গেল!
দুই ২৪ পরগনায় আম্পানের তাণ্ডবলীলা নিয়ে বলতে বসে বার বার এই কথাটাই বেরিয়ে আসছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণে তাণ্ডব চালিয়ে যখন উত্তর ২৪ পরগনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, সেইসময় রাত ৯টা নাগাদ নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

শুরুতেই বলেন, ‘দুই ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে…বাড়িঘর, নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে, ক্ষেত ভেসে গিয়েছে।’ তখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে নবান্নে, জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করার পর আরও কয়েক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে।

সারাদিনই নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে ঝড়ের গতিপ্রকৃতিক খোঁজখবর রাখছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, বাসন্তী, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় থেকে যা খবর এসেছে তা ভয়াবহ। খারাপ খবর উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও। তবে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত সবিস্তার তথ্য পেতে ৩-৪ দিন লেগে যাবে বলে জানান তিনি।

একদিনের মধ্যেও ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছিলেন, তখন ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা ঠেকানো গিয়েছিল বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এলাকার পর এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সাহায্যে ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। ১৭৩৭ এ এমন ভয়ঙ্কর ঝড় হয়েছিল। ওয়ার রুমে বসে আছি আমি। নবান্নে আমার অফিস কাঁপছে। একটা কঠিন পরিস্থিতির যুদ্ধকালীন মোকাবিলা করলাম। মাঝরাত অবধি হয়ত ঝঞ্ঝা চলবে।’

নন্দীগ্রাম ও রামনগর-সহ একাধিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রাম, রামনগর প্রভৃতি এলাকায় বড় ক্ষতি। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে।গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছেন।মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।

এদিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল তথা চট্টগ্রাম,নোয়াখালী,বরিশাল,সাতক্ষীরা,বাগেরহাট,বরগুনা,খুলনা,যশোর সহ আশপাশের জেলা গুলোতেও চলছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডব।এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ঘন্টায় ৮৭ কিঃ মিঃ বেগে বয়ে বেড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়।ঢাকা সহ সারাদেশে প্রবল বাতাস ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

এই রিপোর্ট  লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশে সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যশোরে দুজন, পটুয়াখালীতে দুজন, ভোলায় দুজন, পিরোজপুরে একজন, সন্দ্বীপে একজন ও সাতক্ষীরায় একজন রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আম্পানের তাণ্ডবে কলকাতার দুটি জেলা লন্ডভন্ড
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নয়জনের মৃত্যুর

আপডেট সময় : ০৫:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে কলকাতার দুটি জেলা ধ্বংসস্তুপ পরিণত হয়েছে।
গোটা রাজ্যের সর্বনাশ হয়ে গেল!
দুই ২৪ পরগনায় আম্পানের তাণ্ডবলীলা নিয়ে বলতে বসে বার বার এই কথাটাই বেরিয়ে আসছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণে তাণ্ডব চালিয়ে যখন উত্তর ২৪ পরগনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, সেইসময় রাত ৯টা নাগাদ নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

শুরুতেই বলেন, ‘দুই ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে…বাড়িঘর, নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে, ক্ষেত ভেসে গিয়েছে।’ তখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে নবান্নে, জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করার পর আরও কয়েক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে।

সারাদিনই নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে ঝড়ের গতিপ্রকৃতিক খোঁজখবর রাখছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, বাসন্তী, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় থেকে যা খবর এসেছে তা ভয়াবহ। খারাপ খবর উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও। তবে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত সবিস্তার তথ্য পেতে ৩-৪ দিন লেগে যাবে বলে জানান তিনি।

একদিনের মধ্যেও ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছিলেন, তখন ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা ঠেকানো গিয়েছিল বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এলাকার পর এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সাহায্যে ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। ১৭৩৭ এ এমন ভয়ঙ্কর ঝড় হয়েছিল। ওয়ার রুমে বসে আছি আমি। নবান্নে আমার অফিস কাঁপছে। একটা কঠিন পরিস্থিতির যুদ্ধকালীন মোকাবিলা করলাম। মাঝরাত অবধি হয়ত ঝঞ্ঝা চলবে।’

নন্দীগ্রাম ও রামনগর-সহ একাধিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রাম, রামনগর প্রভৃতি এলাকায় বড় ক্ষতি। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে।গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছেন।মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।

এদিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল তথা চট্টগ্রাম,নোয়াখালী,বরিশাল,সাতক্ষীরা,বাগেরহাট,বরগুনা,খুলনা,যশোর সহ আশপাশের জেলা গুলোতেও চলছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডব।এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ঘন্টায় ৮৭ কিঃ মিঃ বেগে বয়ে বেড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়।ঢাকা সহ সারাদেশে প্রবল বাতাস ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

এই রিপোর্ট  লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশে সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যশোরে দুজন, পটুয়াখালীতে দুজন, ভোলায় দুজন, পিরোজপুরে একজন, সন্দ্বীপে একজন ও সাতক্ষীরায় একজন রয়েছেন।