ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

ভালবাসাই হোক আমাদের সম্প্রীতির উৎস

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০২০
  • / 1401
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হিংস্রতার মাধ্যমে ক্ষণস্থায়ী বিজয় অর্জন হয়তো সম্ভব। কিন্তু হিংস্রতা কখনও সমাজে স্থায়ীভাবে শান্তি আনতে পারে না।

ড. মার্টিন লুথার বলেছিলেন ‘অসহিংসতা হচ্ছে একটি শক্তিশালী অস্ত্র, যা সমাজে শান্তি নিয়ে আসতে পারে। তাই এটাই হচ্ছে একমাত্র শান্তির পথ।’
আমরা যদি একটু চোখ,কান খোলা রেখে- কোন ঘৃণা ছড়িয়ে নয় , আবেগতাড়িত হয়ে নয় , যুক্তি , বুদ্ধি আর শাণিত কথার বাক্যবাণ দিয়ে , গঠনমূলক সমালোচনা করে , সামাজিক সমস্যা আর অসংগতিকে উন্মোচন করতে পারি।  আমরা এই মহামারী করোনা থেকে বিশ্বের সাদা , কালো , শ্রমজীবি , পেশাজিবী , ধর্ম ,বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর অকুন্ঠ ভালবাসা অর্জনের শিক্ষা নেওয়ার।

এই বহুজাতিক , বহুভাষী , বহু ধর্মের সমন্বয়ে গঠিত অসাম্প্রদায়িক সমাজে আমরা , আমাদের সন্তানেরা একসাথে সম্প্রিতীর বন্ধনে আবদ্ধ । এই সময়ে আমাদের কোন চিন্তা , কর্ম বা শব্দ দিয়ে কারও অনুভুতিকে আঘাত করা উচিত না । পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিময় এই প্রগতিশীল সমাজে , কোন বিশেষ ধর্ম , ছোট জাত , বড় জাত বিষয়ে কারণে অকারণে বেশী কথা বলার দরকার নেই ।

এই মহাবিশ্বের মহামারী পরবর্তী অনেক সম্ভাবনার স্বপ্ন আমরা দেখছি । আমরা প্রতিবাদ করব , প্রতিরোধ করব সকল অসংগতি , অনৈতিকতার বিরুদ্ধে , কিন্তু তা হতে পারে, কাউকে বা কোন ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, এলাকা  বা  সম্প্রদায়কে অপমান করে নয়, ভালবাসার মাধ্যমে ।

আমরা বর্তমানে যে শিক্ষা নিলাম,তা যদি একটু মনোযোগ সহকারে বিবেচনা করি তাহলে খুবই সহজে অনুমেয় যে,
বেঁচে থাকার জন্য আসলে তেমন বেশি কিছু দরকার নাই!
*দোকানে আড্ডা না দিয়েও সময় কাটানো যায়!
*নিজের পরিবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ!
*আমাদের বেশিরভাগ পরিশ্রম বিনা কারণে!
*মানুষের সামর্থ খুবই সিমীত!
*প্রকৃতির সামনে মানুষ কিছুই নয়, প্রকৃতি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে মাত্র!
*মরণঘাতী রোগ হলে অনেক সম্পদ আর ক্ষমতা কোন কাজে আসে না!
কিসের এতো বাহাদুরি ??
গানের একটি লাইন দিয়ে শেষ করি ” এক বিন্দু ভালবাসা দাও, এক সিন্দু হ্নদয় দেব”
ঘৃণা দিয়ে নয় ভালবাসা ই হোক আমাদের সম্প্রিতীর উৎস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভালবাসাই হোক আমাদের সম্প্রীতির উৎস

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০২০

 

হিংস্রতার মাধ্যমে ক্ষণস্থায়ী বিজয় অর্জন হয়তো সম্ভব। কিন্তু হিংস্রতা কখনও সমাজে স্থায়ীভাবে শান্তি আনতে পারে না।

ড. মার্টিন লুথার বলেছিলেন ‘অসহিংসতা হচ্ছে একটি শক্তিশালী অস্ত্র, যা সমাজে শান্তি নিয়ে আসতে পারে। তাই এটাই হচ্ছে একমাত্র শান্তির পথ।’
আমরা যদি একটু চোখ,কান খোলা রেখে- কোন ঘৃণা ছড়িয়ে নয় , আবেগতাড়িত হয়ে নয় , যুক্তি , বুদ্ধি আর শাণিত কথার বাক্যবাণ দিয়ে , গঠনমূলক সমালোচনা করে , সামাজিক সমস্যা আর অসংগতিকে উন্মোচন করতে পারি।  আমরা এই মহামারী করোনা থেকে বিশ্বের সাদা , কালো , শ্রমজীবি , পেশাজিবী , ধর্ম ,বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর অকুন্ঠ ভালবাসা অর্জনের শিক্ষা নেওয়ার।

এই বহুজাতিক , বহুভাষী , বহু ধর্মের সমন্বয়ে গঠিত অসাম্প্রদায়িক সমাজে আমরা , আমাদের সন্তানেরা একসাথে সম্প্রিতীর বন্ধনে আবদ্ধ । এই সময়ে আমাদের কোন চিন্তা , কর্ম বা শব্দ দিয়ে কারও অনুভুতিকে আঘাত করা উচিত না । পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিময় এই প্রগতিশীল সমাজে , কোন বিশেষ ধর্ম , ছোট জাত , বড় জাত বিষয়ে কারণে অকারণে বেশী কথা বলার দরকার নেই ।

এই মহাবিশ্বের মহামারী পরবর্তী অনেক সম্ভাবনার স্বপ্ন আমরা দেখছি । আমরা প্রতিবাদ করব , প্রতিরোধ করব সকল অসংগতি , অনৈতিকতার বিরুদ্ধে , কিন্তু তা হতে পারে, কাউকে বা কোন ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, এলাকা  বা  সম্প্রদায়কে অপমান করে নয়, ভালবাসার মাধ্যমে ।

আমরা বর্তমানে যে শিক্ষা নিলাম,তা যদি একটু মনোযোগ সহকারে বিবেচনা করি তাহলে খুবই সহজে অনুমেয় যে,
বেঁচে থাকার জন্য আসলে তেমন বেশি কিছু দরকার নাই!
*দোকানে আড্ডা না দিয়েও সময় কাটানো যায়!
*নিজের পরিবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ!
*আমাদের বেশিরভাগ পরিশ্রম বিনা কারণে!
*মানুষের সামর্থ খুবই সিমীত!
*প্রকৃতির সামনে মানুষ কিছুই নয়, প্রকৃতি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে মাত্র!
*মরণঘাতী রোগ হলে অনেক সম্পদ আর ক্ষমতা কোন কাজে আসে না!
কিসের এতো বাহাদুরি ??
গানের একটি লাইন দিয়ে শেষ করি ” এক বিন্দু ভালবাসা দাও, এক সিন্দু হ্নদয় দেব”
ঘৃণা দিয়ে নয় ভালবাসা ই হোক আমাদের সম্প্রিতীর উৎস।