­
­
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিশ্বের কাছে বার্তা দিতে পাল্টাপাল্টি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান  » «   ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোলে আটকা শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, বাংলাদেশ জানেই না স্থগিত সিদ্ধান্তের কথা!  » «   স্থলপথে পণ্য নেবে না ভারত : কেনো এত উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদ ও রপ্তানিকারকরা  » «   চট্টগ্রামের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়া নিয়ে বিতর্ক: কী জানা যাচ্ছে  » «   পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা  » «   সিলেটে ডা. জোবাইদার ‘বেনামি’ পোস্টার ঘিরে আলোচনার ঝড়  » «   মাত্র ১৪ কর্মদিবসে মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ-হত্যার বিচার, ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড  » «   হামাস নির্মূলে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্রতর, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্পের  » «   সৌদির সমাজে বড় পরিবর্তন, কীভাবে সম্ভব হলো?  » «   আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এখন আমরা কী নির্মাণ করছি?  » «   ডলার খোলাবাজারে : দাম অস্বাভাবিক বাড়লে কী হবে?  » «   নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ কেন?  » «   আওয়ামী লীগ নিয়ে খবর প্রকাশ বা সোশাল মিডিয়ায় লেখাও কি নিষেধ?  » «   জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর  » «   ভুয়া ‘জুলাই যোদ্ধা’র হাতে সরকারি অনুদানের চেক  » «  

নতুন বছর ও কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনা



১লা বৈশাখ সারা দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও স্ট্যাটাস পোস্ট করিনি! ইচ্ছে করেই করিনি। বছর শুরুর রাত থেকেই এফবিতে দেখছি, নতুন বছর অর্থাৎ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছার বন্যা! সে-সবের প্রতি যেমন কোনও আসক্তি নেই, তেমনই বিরক্তিও নেই। নৈর্ব্যক্তিক-ই বলা যায়। যাঁরা শুভেচ্ছার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি ভালোবাসার কোনও খামতি নেই। তাই, বিরাগও নেই। কিন্তু নিজেকে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করেছি, নতুন বছর, ইদ, পুজো ইত্যাদি উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানালেই কি মানুষ ঋণমুক্ত হয়ে যায়! খাদ্যে টইটুম্বুর হয়ে পড়ে ভাঁড়ার! ম্লান মুখে হাসি ফোটে! শয্যাশায়ী মানুষগুলোর রোগমুক্তি ঘটে! অনাথ শিশুগুলো নতুন করে মা-বাবার সান্নিধ্য-লাভে সক্ষম হয়! উত্তরে বলতে পারি : কোনওটি-ই না। সম্ভব নয়। এ-আসলে লৌকিকতা!
হ্যাঁ, এই শুভেচ্ছা বিনিময় দরকার বটে। অন্তত, যাঁরা সমস্যায় জর্জরিত নন, তাঁরা ক্ষণিকের জন্য হলেও দুঃখকে কিছুটা দূরে অর্থাৎ অালগোছে রেখে বিনোদনে মত্ত হতে পারেন!

(দুই)

২০২০ কে নিয়ে বালখিল্য আমরা কম করিনি! বিশ্বব্যাপী পর্যটনের ধুম লেগেছিল নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে! ২০১৯-এর অন্তিম সূর্যাস্ত আর ২০২০-এর নতুন সূর্যোদয় দেখার জন্য গাঁটের পয়সা কম খরচ হয়নি আমাদের! এত করে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েও ২০২০ তার খেমা দেখাচ্ছে! আকাশ, বাতাস, জল, সমুদ্র, পৃথিবী সকলের জন্য! শুধু সম্পদশালী আর আধিপত্যবাদীরা-ই এসব একচ্ছত্রভাবে, নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করবে, ভোগ করবে, যথেচ্ছাচার করবে! আর দুস্থ, নিরন্নদের জন্য বরাদ্দ থাকবে ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্ট, বাতাসের কার্বন, সুউচ্চ অট্টালিকার ফাঁক গলে আসা দূষিত বায়ু! তা তো হয় না! সারা জীবন বিশ্ববাসীর যত সম্পদ, কয়েকজন মিলে ভোগ করলাম! নির্মল বাতাস দূষিত করলাম! ধরিত্রীর দোহাই না-মেনে তার উপর স্বেচ্ছাচার করলাম! নদ-নদী, সমুদ্রের জল দূষিত করলাম! দেশ-বিদেশে অবাঞ্ছিত যাতায়াত করে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা মহাকাশকে কলুষিত করলাম! দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর উপর আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ওজন স্তরকে ক্ষতবিক্ষত করলাম! শেষে প্রকৃতি শোধ নিতে গেলে নিরুপায় হয়ে হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকলাম! দুর্বিপাকে পড়ে কয়েকজন দুস্থকে সাহায্য করলাম!

(তিন)

যাঁরা সম্পদের পাহাড় গড়েছে, ব্যক্তি হোক বা রাষ্ট্র, তাঁদের সেই সম্পদের পাহাড় তৈরির নেপথ্যে কত লক্ষ-কোটি শ্রমিকের শ্রম লেগেছে! কত নদ-নদীর জল দূষিত হয়েছে! কত ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলিত হয়েছে! মহাকাশে কত কার্বন জমেছে! ওজন স্তর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে! এসব ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে দেয়া সম্ভব? এই আকাশ-বাতাস-অক্সিজেন-ওজন স্তর-ভূগর্ভস্থ জল, নদ-নদীর প্রবাহ, সব কিছুর সমান দাবিদার বিশ্বের প্রত্যেকজন নাগরিক! সাতশ কোটি জনগণের সমান অধিকার! এর বিনিময়ে আমার জন্য/ আমাদের জন্য/ প্রত্যেক জন নাগরিকের জন্য কেন বরাদ্দ হবে না সরকারি তহবিল থেকে বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসার সুবিধা? করোনা টেস্টসহ অন্যান্য কিট? কথাগুলো বিশেষ কোনও রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য নয় শুধু, বিশ্বের সবগুলো রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন