ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৫ লাখের উপরে, মৃত ৯০ হাজার

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০
  • / 1210
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় বিশ্ব আজ থমকে গেছে। আক্রান্তের সাথে সাথে থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। গত ডিসেম্বরে চীন থেকে শুরু হওয়া এই মহামারি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দ্বিগুন হারে বাড়ছে এবং গাছের পাতার মতো ঝরছে প্রাণ। গত একদিনে ছয় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় নব্বই হাজার মানুষ।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৫৭০ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ২১ হাজার ২৫২ জন। অপরদিকে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৫ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৬০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭৯৭ জনের।

এদিকে ইউরোপের দেশ ইতালি যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর দিক দিয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইতালি। এখন পর্যন্ত ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ জনের।

আক্রান্তের দিক দিয়ে ইতালিকে কে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে স্পেন। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ২২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭৯২ জনের। আর এসব তথ্য জানিয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।

চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত তিন মাসে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। কিন্তু এই ভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৮৬৫ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩৫ জন।

এদিকে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা ২০ জনে দাড়িয়েছে। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ পড়ার কারণে কিছুদিনের মধ্যেই অনেক দেশেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ঘাটতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৫ লাখের উপরে, মৃত ৯০ হাজার

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় বিশ্ব আজ থমকে গেছে। আক্রান্তের সাথে সাথে থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। গত ডিসেম্বরে চীন থেকে শুরু হওয়া এই মহামারি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দ্বিগুন হারে বাড়ছে এবং গাছের পাতার মতো ঝরছে প্রাণ। গত একদিনে ছয় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় নব্বই হাজার মানুষ।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৫৭০ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ২১ হাজার ২৫২ জন। অপরদিকে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৫ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৬০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭৯৭ জনের।

এদিকে ইউরোপের দেশ ইতালি যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর দিক দিয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইতালি। এখন পর্যন্ত ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ জনের।

আক্রান্তের দিক দিয়ে ইতালিকে কে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে স্পেন। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ২২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭৯২ জনের। আর এসব তথ্য জানিয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।

চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত তিন মাসে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। কিন্তু এই ভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৮৬৫ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩৫ জন।

এদিকে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা ২০ জনে দাড়িয়েছে। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ পড়ার কারণে কিছুদিনের মধ্যেই অনেক দেশেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ঘাটতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।