­
­
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানিতে চমক: চীনের ঘাটতি পূরণ করছে বাংলাদেশ  » «   কানাডায় লিবারেলদের জয়, কী কারণ  » «   রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে?  » «   ইউরোপ ৪ দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন!  » «   ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি  » «   বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার  » «   নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ  » «   ৬০ টন পণ্য নিয়ে সিলেট থেকে উড়ল প্রথম কার্গো ফ্লাইট  » «   রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার  » «   শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি  » «   ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার কবি দাউদ হায়দার আর নেই  » «   গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি আটক  » «   ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কোন দিকে মোড় নিতে পারে?  » «   পাকিস্তানের আছে ১৫০টি পরমাণু বোমা, ভারতের কত?  » «   কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী?  » «  

৫ শতাধিক ফোন পুড়িয়ে দিলেন আইডিয়ালের শিক্ষকরা



রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে মোবাইল ভেঙে পরে তা পুড়িয়ে ফেলা হয় বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।

গত শনিবার (১৩ জুলাই) কলেজের ভেতরে মোবাইল নিয়ে আসার কারণে শিক্ষকরা পাঁচ শতাধিক মোবাইল জব্দ করে ভেঙে ফেলার পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী একা কলেজে আসা-যাওয়া করে। এজন্য তারা সঙ্গে ফোন নিয়ে আসে। ওই দিনও তারা ফোন নিয়ে আসে। কলেজ থেকে বলা হয়, ফোন জব্দ করার পর কলেজ ছুটি হলে সেগুলো ফেরত দেয়া হবে। তবে শিক্ষকরা ফোন জমা নিয়ে আর ফেরত দেননি। পরে সেগুলো ভেঙে ফেলা হয় এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

তবে কলেজে অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন দাবি করেন, কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষেধ- এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও তারা একাধিকবার তা লঙ্ঘন করেছে। গত সপ্তাহেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়। তারপরও তারা ফোন নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, ‘ক্লাস চলাকালীন ফোন বেজে উঠলে শিক্ষকদের অসুবিধা হয়। এ ছাড়া অনেকে ক্লাসে বসেই ফোনে কথা বলে। এতে ক্লাসে শিক্ষকদের পড়াতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কাজ আর কেউ না করে, সেজন্য মোবাইল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।’

তিনি দাবি করেন, ৫০০ ফোন ভেঙে ফেলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। মাত্র কয়েকটি ফোন ভেঙে ফেলে তা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

এটি কি কোনো সমাধান- এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার তার ফোনে রিং দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-আর-রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কলেজে মোবাইল ফোন আনার অপরাধে ফোন ভেঙে ফেলা ও পুড়িয়ে ফেলা যায় না। এটা খুবই দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ধরনের কাজ করা কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনোভাবেই উচিত হয়নি। শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা উচিত ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তবে আমলে নিয়ে তা খতিয়ে দেখা হবে।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফোন পুড়িয়ে ফেলার সময় বাধা দিতে গেলে তাদের প্রহার করা হয়। মিরপুর রূপনগর দুয়ারিপাড়া থেকে কলেজে আসে কমার্স বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. মাসিদ হাসান। সে বলে, ‘আমি অনেক দূর থেকে কলেজে আসা-যাওয়া করি। রাস্তায় কোনো সমস্যা হলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি হয়ে পড়ে। আমি কলেজে ভর্তির পর প্রিন্সিপাল স্যারকে মোবাইল ফোনের কথা বলেছিলাম। স্যার আমাকে বলেছেন, যারা দূর থেকে আসবে, তাদের সমস্যা দেখা হবে। অথচ এত শখের ফোনটি আমার সামনে ভেঙে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন