ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

শেষ ম্যাচে জয় দেখতে চান ভক্তরা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯
  • / 1311
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মঙ্গলবার শেষ সময় পর্যন্তও ব্রিটেনের বাংলাদেশি সমর্থকরা হতাশায় ভেঙে পড়েননি। মাত্র আর কয়েকটা রান, তারপরই এজবাস্টনের আকাশ ‘বাংলাদেশ’ স্লোগানে উচ্চকিত হয়ে উঠবে, এই ছিল তাদের ধারণা। কিন্তু শেষ উইকেটের পতনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন হাজার হাজার সমর্থক। আবেগী মানুষগুলোর কারো কারো চোখের কোনায় জমেছে নোনাজলও। স্বপ্নভঙের বেদনায় বাংলাদেশি সমর্থকরা কাতর হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু টাইগারদের লড়াইকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতেই দেখেছেন ব্রিটেনের বাংলাদেশি সমর্থকরা। তামিম ইকবালের ক্যাচ মিস এবং স্বল্প রানে আউট হওয়া নিয়ে আলোচনার মাঝেই অনেকে বলেছেন সাকিবের আরো বেশি রান নিয়ে খেলায় আরও তেজি হওয়া দরকার ছিল। একাই ভারতের পাঁচটা উইকেট হাতিয়ে নেয়ায় মোস্তাফিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কেউ কেউ। অর্থাৎ টাইগারদের সর্বোচ্চ দেয়ার ব্যাপারে কোনোই সন্দেহ কারো কাছ থেকেই উচ্চারিত হয়নি। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচকে একটা খেলা হিসেবেই নিচ্ছেন সমর্থকরা। যদিও আশাভঙ্গের বেদনায় ভেতরে ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে টাইগার ভক্তদের।

৩৫ হাজার আসনের এজবাস্টন স্টেডিয়ামটিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না সেদিন। অথচ বাংলাদেশি সমর্থকদের সংখ্যা অন্যান্য ম্যাচের মতো ছিল না। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সমর্থক সেদিন উপস্থিত হতে পারেননি। বাংলাদেশের অন্যান্য ম্যাচে দেখা গেছে, বাংলাদেশি সমর্থকদের সংখ্যাই থাকত বেশি। শুধুই লাল-সবুজে সয়লাব থাকত গ্যালারি। কিন্তু কৌশলী ভারতীয়রা কয়েক মাস আগেই এ ম্যাচের স্বল্প মূল্যের (ব্রোঞ্জ) টিকেটগুলো কিনে নিয়েছিল।

ভারতের কাছে পরাজয়ের পর পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচটা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্নটার সমাধি হওয়ার পরই সমর্থকরা যেন হারিয়ে ফেলেছেন এ আগ্রহ। টাইগাররাও এখন খেলবে, হয়তো খেলার জন্যই। কারণ এ ম্যাচ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য আর কোনো ব্যবধান তৈরি করবে না। নতুন কোনো সম্ভাবনা না আনলেও পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারলে তাদের সেমির সাধটা মিশে যাবে। পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে হলে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য পাকিস্তান মরণপণ করেই মাঠে নামবে, তারা শেষটুকু দিয়েই খেলার চেষ্টা করবে।

বাংলাদেশি সমর্থকরাও চাইছেন, শুক্রবারের খেলায়ও টাইগাররা যেন তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েই খেলে। ভারত বধের প্রত্যয়ে টাইগাররা যেমন মাঠে নেমেছিল, ঠিক তেমনি যেন পাকিস্তানকে পরাজিত করার দৃঢ় সংকল্প থাকে অটুট। অন্তত আরেকটা বিজয় নিয়ে দেশমুখী হবে টাইগাররা এই প্রত্যাশা এখন ভক্তদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেষ ম্যাচে জয় দেখতে চান ভক্তরা

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯

মঙ্গলবার শেষ সময় পর্যন্তও ব্রিটেনের বাংলাদেশি সমর্থকরা হতাশায় ভেঙে পড়েননি। মাত্র আর কয়েকটা রান, তারপরই এজবাস্টনের আকাশ ‘বাংলাদেশ’ স্লোগানে উচ্চকিত হয়ে উঠবে, এই ছিল তাদের ধারণা। কিন্তু শেষ উইকেটের পতনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন হাজার হাজার সমর্থক। আবেগী মানুষগুলোর কারো কারো চোখের কোনায় জমেছে নোনাজলও। স্বপ্নভঙের বেদনায় বাংলাদেশি সমর্থকরা কাতর হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু টাইগারদের লড়াইকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতেই দেখেছেন ব্রিটেনের বাংলাদেশি সমর্থকরা। তামিম ইকবালের ক্যাচ মিস এবং স্বল্প রানে আউট হওয়া নিয়ে আলোচনার মাঝেই অনেকে বলেছেন সাকিবের আরো বেশি রান নিয়ে খেলায় আরও তেজি হওয়া দরকার ছিল। একাই ভারতের পাঁচটা উইকেট হাতিয়ে নেয়ায় মোস্তাফিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কেউ কেউ। অর্থাৎ টাইগারদের সর্বোচ্চ দেয়ার ব্যাপারে কোনোই সন্দেহ কারো কাছ থেকেই উচ্চারিত হয়নি। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচকে একটা খেলা হিসেবেই নিচ্ছেন সমর্থকরা। যদিও আশাভঙ্গের বেদনায় ভেতরে ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে টাইগার ভক্তদের।

৩৫ হাজার আসনের এজবাস্টন স্টেডিয়ামটিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না সেদিন। অথচ বাংলাদেশি সমর্থকদের সংখ্যা অন্যান্য ম্যাচের মতো ছিল না। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সমর্থক সেদিন উপস্থিত হতে পারেননি। বাংলাদেশের অন্যান্য ম্যাচে দেখা গেছে, বাংলাদেশি সমর্থকদের সংখ্যাই থাকত বেশি। শুধুই লাল-সবুজে সয়লাব থাকত গ্যালারি। কিন্তু কৌশলী ভারতীয়রা কয়েক মাস আগেই এ ম্যাচের স্বল্প মূল্যের (ব্রোঞ্জ) টিকেটগুলো কিনে নিয়েছিল।

ভারতের কাছে পরাজয়ের পর পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচটা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্নটার সমাধি হওয়ার পরই সমর্থকরা যেন হারিয়ে ফেলেছেন এ আগ্রহ। টাইগাররাও এখন খেলবে, হয়তো খেলার জন্যই। কারণ এ ম্যাচ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য আর কোনো ব্যবধান তৈরি করবে না। নতুন কোনো সম্ভাবনা না আনলেও পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারলে তাদের সেমির সাধটা মিশে যাবে। পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে হলে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য পাকিস্তান মরণপণ করেই মাঠে নামবে, তারা শেষটুকু দিয়েই খেলার চেষ্টা করবে।

বাংলাদেশি সমর্থকরাও চাইছেন, শুক্রবারের খেলায়ও টাইগাররা যেন তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েই খেলে। ভারত বধের প্রত্যয়ে টাইগাররা যেমন মাঠে নেমেছিল, ঠিক তেমনি যেন পাকিস্তানকে পরাজিত করার দৃঢ় সংকল্প থাকে অটুট। অন্তত আরেকটা বিজয় নিয়ে দেশমুখী হবে টাইগাররা এই প্রত্যাশা এখন ভক্তদের।