ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা: ৯ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন ২৫

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৯
  • / 2177
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই ঘটনায় ২৫ জনের যাবজ্জীবন ও ১৩ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১২টায় এ রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুস্তম আলী।

এ মামলার ৫২ আসামির মধ্যে জীবিত আছেন ৪৭ আসামি। যাদের মধ্যে কারাগারে থাকা ৩২ জনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরের এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ মামলাটি দায়ের করে।

উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনটি প্রবেশের আগে রেলগেট এলাকায় অতর্কিত ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়।

এই ঘটনায় করা মামলায় প্রথমে বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ ৭ জন আসামি থাকলেও পরবর্তীতে সিআইডি অধিকতর তদন্ত শেষে মোট ৫২ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়। এদের মধ্যে গত ২৫ বছরে ৫ জন মারা গেছেন। ৩২ জন কারাগারে ও বাকি ১৫ জন এখনও পলাতক।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুনভাবে ঈশ্বরদীর শীর্ষ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়। মামলাটি দায়েরের পর এই মামলায় পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে।

কিন্তু আদালত সে রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

প্রথম চার্জশিটের ৭ আসামির বাইরেও এই মামলায় যাদের নতুনভাবে যুক্ত করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কে এম আক্তারুজ্জামান আক্তার, পাকশীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাহাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহীন, সেলিম আহমেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপি নেতা ইসলাম হোসেন জুয়েল, শহীদুল ইসলাম অটল ও আব্দুল জব্বারসহ প্রমুখ। এরা সবাই বিএনপি নেতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা: ৯ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন ২৫

আপডেট সময় : ০৪:৩১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৯

১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই ঘটনায় ২৫ জনের যাবজ্জীবন ও ১৩ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১২টায় এ রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুস্তম আলী।

এ মামলার ৫২ আসামির মধ্যে জীবিত আছেন ৪৭ আসামি। যাদের মধ্যে কারাগারে থাকা ৩২ জনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরের এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ মামলাটি দায়ের করে।

উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনটি প্রবেশের আগে রেলগেট এলাকায় অতর্কিত ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়।

এই ঘটনায় করা মামলায় প্রথমে বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ ৭ জন আসামি থাকলেও পরবর্তীতে সিআইডি অধিকতর তদন্ত শেষে মোট ৫২ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়। এদের মধ্যে গত ২৫ বছরে ৫ জন মারা গেছেন। ৩২ জন কারাগারে ও বাকি ১৫ জন এখনও পলাতক।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুনভাবে ঈশ্বরদীর শীর্ষ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়। মামলাটি দায়েরের পর এই মামলায় পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে।

কিন্তু আদালত সে রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

প্রথম চার্জশিটের ৭ আসামির বাইরেও এই মামলায় যাদের নতুনভাবে যুক্ত করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কে এম আক্তারুজ্জামান আক্তার, পাকশীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাহাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহীন, সেলিম আহমেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপি নেতা ইসলাম হোসেন জুয়েল, শহীদুল ইসলাম অটল ও আব্দুল জব্বারসহ প্রমুখ। এরা সবাই বিএনপি নেতা।