­
­
বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সুইডেনে অতর্কিত বন্দুক হামলায় নিহত ৩  » «   ইতালিতে বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের  » «   ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানিতে চমক: চীনের ঘাটতি পূরণ করছে বাংলাদেশ  » «   কানাডায় লিবারেলদের জয়, কী কারণ  » «   রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে?  » «   ইউরোপ ৪ দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন!  » «   ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি  » «   বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার  » «   নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ  » «   ৬০ টন পণ্য নিয়ে সিলেট থেকে উড়ল প্রথম কার্গো ফ্লাইট  » «   রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার  » «   শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি  » «   ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার কবি দাউদ হায়দার আর নেই  » «   গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি আটক  » «   ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কোন দিকে মোড় নিতে পারে?  » «  

বিয়ানীবাজারের পূর্ব মুড়িয়ার নওয়াগ্ৰামে হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাট



সিলেট বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুড়িয়ার নওয়াগ্রামে সীমান্ত হাটের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

২৫ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়ন’র অধিনায়ক ফয়েজ আহমদকে সাথে সীমান্ত হাটের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনকালে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুস শুকুর, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জেসমিন আক্তার, বিজিবি সীমান্তবর্তী নওয়াগ্রাম ফাঁড়ির ইনচার্জ লায়েক সুবেদার জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম উদ্দিন আহমদ, উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক আহমদ রেজা চৌধুরী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশ ও ভারত, দুদেশের পারস্পরিক সমঝোতায় সীমান্ত এলাকার মানুষের জন্য কয়েকটি সীমান্ত হাট চালু করা হয়। ২০১১ সাল থেকে এপর্যন্ত মোট চারটি সীমান্ত হাট চালু হয়েছে। যেখানে দুদেশের সীমান্ত এলাকার মানুষজন প্রতি সপ্তাহে অন্যদেশের পণ্য কেনার সুযোগ পান।

বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মেঘালয়ের কালীচরণ ও বালাটে দুই সীমানা হাট অবস্থিত এবং ত্রিপুরার দুটি শ্রীনগর ও কমলসাগরে অবস্থিত।

ভারত সরকার এবং  বাংলাদেশ সরকার  ইতিমধ্যে ৬টি সীমান্তের হাট অনুমোদন করেছে; পাল্বস্তি ও কামালপুরে ত্রিপুরাতে দুটি এবং ভোলগঞ্জ, নলিকাটা, শিবাবাড়ী ও রায়ঙ্গ্কুতে মেঘালয়ে চারটি।

সীমান্ত হাটগুলোতে উভয় দেশের অভ্যন্তরে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী অধিবাসীরা পণ্য বিক্রি করতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন এই হাট বসে। তবে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে সপ্তাহে একাধিক দিনেও হাট বসতে পারে। উভয় দেশের ৫০ জন বিক্রেতা এই হাটে ব্যবসা পরিচালনা করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদিত বিক্রেতাদের তালিকা সংরক্ষণ করেন।

হাটে উভয় দেশের দু‘পাশে দুটি প্রবেশ পথ থাকে। এছাড়া হাটের সীমানা কাটাতারের প্রাচীর দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়। হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের ছবি সম্বলিত পরিচয়পত্র বহন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অনুমোদিত ফরম্যাটে পরিচয়পত্র ইস্যু করেন। সীমান্ত হাটে স্থানীয় মুদ্রায় অথবা বার্টার পদ্ধতিতে পণ্য বিনিময় করা হয়। সীমান্ত হাটে প্রত্যেক ক্রেতা প্রতি হাটে ২০০ ডলারের সমমূল্যের পণ্য স্থানীয় মুদ্রায় ক্রয় করতে পারেন।

স্থানীয় বাজারের মাধ্যমে স্থানীয় উৎপাদনের বিপণন প্রচলন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করে দুই দেশের সীমান্তবর্তী দূরবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত লোকেদের সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সীমান্ত হাট  চলে আসছে।

 

 

 

 

 

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন