ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ছাত্রদলের, অস্বীকার উপাচার্যের
ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ছাত্রদলের, অস্বীকার উপাচার্যের
- আপডেট সময় : ০৭:১৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 122
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সংগঠনের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছিরউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের কাছে গিয়ে এ অভিযোগ করে।
অভিযোগ জানানোর সময় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদল প্রশাসনের কাছে তিনটি অভিযোগ তোলে—
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি প্রবেশপথে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি,
২. প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের জামায়াতসংশ্লিষ্টতা,
৩. নির্বাচনে কারচুপি।

এ প্রসঙ্গে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি প্রবেশপথে জামায়াত-শিবিরের বিপুল সমাগম হয়েছে। এই নির্বাচন তো তাদের নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন। অথচ তাদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, নির্বাচনটি যেন জামায়াতের। প্রশাসন এতটা নতজানু যে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা এর নিন্দা জানাই। যেকোনো সময় সংঘর্ষ হতে পারে। এ বিষয়ে প্রশাসনের ব্যাখ্যা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বলছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় পুরোপুরি জামায়াতিকরণ হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে নানা কারচুপি হয়েছে, আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো ফল পাইনি।’
অভিযোগের জবাবে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘বিকেল চারটার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে জনসমাগমের খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তখন থেকেই পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছি, প্রয়োজনে আবারও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।’
প্রশাসনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কখনো যুক্ত ছিলাম না, আগ্রহও নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যেকোনো মতামত আমি সাদরে গ্রহণ করব।’
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘সারা দিন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ছিলেন, তাঁরা বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। কোথাও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোট গণনার প্রক্রিয়াও বাইরে প্রদর্শন করা হবে। তাই নির্বাচনে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।’


















