রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
তিন সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট  » «   গোপালগঞ্জে জনমনে আতঙ্ক, কারফিউর সঙ্গে বাড়ছে গ্রেফতার  » «   এখন লড়াই নতুন বাংলাদেশের, বক্তৃতার সময় লুটিয়ে পড়লেন আমির  » «   এবার চকরিয়ায় বিএনপির প্রতিরোধের মুখে এনসিপির পথসভা পণ্ড  » «   গণতন্ত্রবিরোধীরা আবার জোট পাকাচ্ছে বলে মির্জা ফখরুল কাদেরকে ইঙ্গিত করলেন?  » «   চালু হলো স্টারলিংক, বাংলাদেশের মতো এত দ্রুত বিশ্বের আর কোথাও হয়নি  » «   গণ–অভ্যুত্থান যেটা বলা হচ্ছে, সেটা আসলে বিস্ফোরণ  » «   ইসলামপন্থিদের হুমকি সত্ত্বেও জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে  » «   গোপালগঞ্জে যারা মারা গেলেন তারা কোন দলের?  » «   গোপালগঞ্জে সহিংস পরিস্থিতির পেছনে এনসিপি’র দায় কতটা?  » «   গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় বাড়লো, ‘মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না’  » «   গোপালগঞ্জে এনসিপির জনসভায় লোক ছিলেন ২০০ জন : পুলিশ প্রতিবেদনে যা উঠে এলো  » «   আবারও গোপালগঞ্জ যাওয়ার ঘোষণা নাহিদের, সরকার ও এনসিপি’র সমালোচনায় বিএনপি  » «   গোপালগঞ্জে কারফিউ, চলছে ধরপাকড়, সরকারের তদন্ত কমিটি  » «   ‘জুলাই শহীদ দিবসে’ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে একি লেখা!  » «  

পাহাড়ে সেনা অভিযানে বিদ্রোহী কেএনএ কমান্ডার নিহত




বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনা অভিযানে পাহাড়ি সংগঠন কেএনএফ বা বম পার্টির সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কমান্ডারসহ দুইজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এসএমজি, ১টি রাইফেলসহ আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু জানান, ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুমা সেনা জোনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন সেনা কর্মকর্তারা।

রুমা থানা ওসি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, “পলি প্রাংসা এলাকায় সেনাবাহিনীর কয়েকটি দল বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনী এবং কেএনএ’র মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে এলাকায় তল্লাশি করার পর সেখানে দুইজনের লাশ পাওয়া যায়।

“ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের মধ্যে কেএনএ কমান্ডারও রয়েছে। লাশ পড়ে আছে শুনলাম। ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই। খবর পাওয়ার সাথে সেনাবাহিনীর দুইটি দল এবং পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত জানার সুযোগ নাই বলে জানান ওসি সোহরাওয়ার্দী।

পাহাড়িরা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে চেনে ‘বম পার্টি’ নামে। সংগঠনটি ‘কুকি-চিন রাজ্যে’ নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চায়; যেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা থাকবে না; থাকবে বম, খিয়াং, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোরা।

কেএনএফ ও কেএনএ’র বিরুদ্ধে অভিযানের মুখে বিভিন্ন সময় বম সম্প্রদায়ের লোকজন ভয়-আতঙ্কে ভারতের মিজোরাম ও বনজঙ্গলে আশ্রয় নেন। বমদের সামাজিক সংগঠন বম সোশাল কাউন্সিল এবং বান্দরবান সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে সম্প্রতি তারা নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরতে শুরু করেছেন।

বম সোশাল কাউন্সিল বলছে, তিনশ পরিবার এলাকায় ফিরে খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। এ সংকট সমাধানে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন