তবে এইবার সবচাইতে বড় চমক নিয়ে হাজির হয়েছে আমরা বড়লেখাবাসি ।কর্মতৎপর একঝাক তারুণ্য যারা ‘ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি গেট টুগেদার’ নামে আয়োজন করেছে এক বিশাল কর্মযজ্ঞের।
ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি গেট টুগেদার নাম হলেও এখানে হাজির হয়েছিলেন টরেন্টোতে বসবাসরত বাংলা কমিউনিটির সকল শ্রেণী ও পেশার স্বনামধন্যরা ।
ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির বাইন্ডিং ভেদ করে পুরো কমিউনিটিকে নিয়েই আসলে এক জনমেলায় পরিণত হয়ে উঠেছিল এই সামার গেট টুগেদার। কী কী ছিল এই আয়োজনের মধ্যে? তার চেয়ে বরং প্রশ্ন করা যেতে পারে কী কী ছিল না আয়োজনে। শিশু- কিশোরদের জন্য বিভিন্ন ধরণের স্পোর্টস ইভেন্ট ,মহিলাদের জন্য ব্যতিক্রমী কিছু আয়োজন এবং প্রবীণদের আড্ডাকে আরো প্রাণবন্ত করতে ছিলো মুখরোচক সব খাবার- দাবারের মহা আঞ্জাম। সিলেটের ঐতিহ্য চায়ের সাথে পান- সুপারির কম্বিনেশন প্রবীণদেরকে নিয়ে গিয়েছিল এক নস্টালজিক আড্ডায়।
খাবার-দাবারের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বড়লেখা থেকে আগত পুরাতন এবং নতুনদের সমন্বয়ে একদল ভলান্টিয়ার এবং তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘদিন থেকে কানাডাতে বসবাসরত কমিউনিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল সিনিয়র সিটিজেনরা।
পুরো আয়োজনটিতে ছিল একদম সিলেটি আবহ। নতুনদের বলতে শুনেছি ,তারা অনুভব করছেন তারা সিলেটেই আছেন । পাহাড়, ঢিলায় ঘেরা বড়লেখার স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনেছে ৩৯০ মর্নিং সাইটের এই পার্ক। স্থান বদল হয়েছে কিন্তু বদল হয়নি আথিতেয়তা । সেজন্য এই আয়োজনটি ছিল আন্তরিক ,আত্মিক এবং নস্টালজিক।
বড়লেখা থেকে আগত অসংখ্য নতুনদের মধ্যে রয়েছে স্পোটিং কর্ম তৎপরতা আর তারাই যেন খুঁজছিল একটি প্ল্যাটফর্ম। দীর্ঘদিন থেকে কানাডায় বসবাস করা বড়লেখার সংগঠকরাও হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন এই নবাগতদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম খুবই জরুরী। সেজন্যই অনেকের আড্ডাতে উঠে এসেছে বড়লেখার জন্য একটি স্পোর্টস ক্লাবের দরকার ,যেমনটি আছে বিয়ানীবাজার এবং জুড়ি উপজেলায়।
বড়লেখার প্রবীণ মুরুব্বিরা নির্দেশনা দিচ্ছিলেন বড়লেখার জন্য এমন একটি স্পোর্টিং ক্লাব করার জন্য। আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা গেল তারাও সে পথে হাঁটছেন। বড়লেখার জন্য একটি সুখবর নিয়ে আসছেন এবং তারাও পাশ্ববর্তী দুটি উপজেলার মতো গঠন করতে যাচ্ছেন বড়লেখা স্পোর্টস ক্লাব।
ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি গেট টুগেদার আয়োজন করে বড়লেখাবাসী যেভাবে প্রায় হাজারো প্রবাসীর জনমেলা করেছেন তাতে সন্দেহাতীতভাবে প্রত্যাশা করা যায়- টরেন্টোর বাংলা কমিউনিটিতে তারা ভবিষ্যতে বড়লেখা অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবেন আপন যোগ্যতায় স্বগৌরবে। তাদের আন্তরিক আহ্বান এবং আয়োজনে আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করেছেন অতিথিবৃন্দ।
কানাডায় বড়লেখাবাসীর প্রবীণ এবং নবীনদের সমন্বয়ে সুন্দর অগ্রযাত্রা যেন আগামীতে আরও মসৃণ এবং আনন্দময় হয়- আন্তরিক শুভকামনা ও অসংখ্য ধন্যবাদ ।