লন্ডনে চার মাস চিকিৎসার পর দেশে ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া; তার উষ্ণ স্বাগত জানাতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের স্লোগানে উচ্চারিত হচ্ছিল শুধু খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নামই নয়, বরং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের নামও।
আজ সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও শাহজালাল বিমানবন্দরের প্রবেশপথে হাজার হাজার নেতাকর্মী জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে ব্যানার আর প্ল্যাকার্ডে জোবাইদা রহমানের ছবিও উজ্জ্বল করছে—১৭ বছর বিদেশে ‘নির্বাসিত’ জীবন শেষ করে দেশে ফিরেছেন তিনি, সেটাই বরণোৎসবের অন্যতম আকর্ষণ।
ডা. জোবাইদা ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের পথে ঢাকা ছাড়েন এবং তারপর থেকে দেশে ফেরেননি। লন্ডনে থাকাকালে তারেক রহমান ও কন্যা জায়মা রহমানের সঙ্গে অবস্থান করেছিলেন তিনি।
আজ কাতারের আমির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে আসেন খালেদা জিয়া; সঙ্গে ছিলেন জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি। তাদের বহনকারী বিমান স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার পর অবতরণ করে।
খালেদা জিয়া ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন; সেখানে ১৭ দিন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা অব্যাহত রাখেন। আজ চতুর্থ মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন তিনি।
ডা. জোবাইদা রহমান সিলেটের মৃত রিয়র অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান এর কন্যা। তার বাবা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর ভাতিজা, পরবর্তীতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের সময়ে যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এবং জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নৌবাহিনী প্রধান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবি বি এস পাস করা জোবাইদা পরবর্তীতে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি করেন। ১৯৯৫ সালে চিকিৎসক সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন; তবে ২০০৮ সালে ছুটি নিয়ে লন্ডনগামী হয়ে ফের চাকরিতে যোগ না দেয়ায় বরখাস্ত হন।
ডা. জোবাইদা ও তারেক রহমানের বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি।