মেয়ে তোর— ছোট্ট শরীর
যেনো এক— ফুলের কলি,
ফুল হয়ে— ফুটবি কবে?
দেবো তোকে— কী অঞ্জলি?
ছোট্ট— করপুটে তোর
গোলাপের— সুবাস মাখা,
তুই কি— প্রজাপতির
বর্ণিল— নরম পাখা?
মেয়ে তুই— ছোট্ট পরী
মেয়ে তুই— মিষ্টি পাখি,
স্বর্গের— সব সৌরভ
মেয়ে তোর— অঙ্গে মাখি।
বাবা তোর— প্রথম পুরুষ
যেথা তোর— হুটোপুটি,
জগতের— শ্রেষ্ঠ পরশ
বাবা আর— মেয়ের জুটি।
মেয়ে তোর— ভাইয়ের দু’হাত
নিরাপদ— রাখবে তোকে,
বাকিসব— পুরুষ মানেই
জানোয়ার— মর্ত্যলোকে!
সে পুরুষ— জন্তু পুরুষ
যদিও— মানুষরূপী,
যে তোকে— ছিঁড়ে খাবে
জনপদে— চুপিচুপি!
নিরাপদ— নোস মেয়ে তুই
কোথাও— বাইরে-ঘরে,
হায়েনা— হিংস্র পুরুষ
তোকে— রক্তাক্ত করে!
পুরুষের— লোলুপ থেকে
মেয়ে তুই— পার পাবি না,
মেয়ে তোর— দোহাই লাগে
মেয়ে তুই— জন্মাবি না…
তুই তোর— আল্লাহকে বল
ধর্ষণে— ব্যথা লাগে!!
ধর্ষিতা— হবার চেয়ে
কেয়ামত— আসুক আগে…
আমি এক— মেয়ের বাবা
দুমড়ে—মুচড়ে থাকা,
সারারাত— কেঁদেছি তাই
দু’চোখে অশ্রু ঢাকা…
মেয়ে তুই— তীব্র ব্যথায়
কী রকম— ছটফটালি!
মেয়ে তুই— ক্ষমা করিস
কবিতায়— শোকের ডালি…
অটোয়া ০৮ মার্চ ২০২৫