বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
ধর্মীয় উগ্রবাদ ঠেকাতে না পারলে ফের গণতন্ত্রের কবর হবে: তারেক রহমান  » «   জাতীয় পার্টির ইফতারে হামলা: দেশ ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে, এই সরকার দ্রুত বিদায় নিলেই মঙ্গল: জি এম কাদের  » «   আবার ‘জিয়া উদ্যান’ হলো ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’  » «   বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে বাবার নাম ‘চান না’ সিলেটের আতাউর  » «   মহাসড়কে প্রবাসী গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতি : নজরদারি বাড়ানের দাবি, অতিরিক্ত ৭০০ পুলিশ মোতায়েন  » «   রাজধানীতেই আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়! অনুমোদন পেল ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’  » «   আরসা প্রধান জুনুনিকে গ্রেপ্তারের দাবি র‌্যাবের  » «   হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক: মার্কিন সিনেটরকে প্রধান উপদেষ্টা  » «   দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন  » «   বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: তুলসী গ্যাবার্ড  » «   রেমিটেন্সের নামে এক ব্যক্তি এনেছেন ৭৩০ কোটি টাকা!  » «   সিলেটে ভালোবাসায় সিক্ত হামজা চৌধুরী, বললেন, ‘ইনশাল্লাহ আমরা উইন খরমু’  » «   এমসি কলেজে ধর্ষণের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই  » «   জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরে এক ঢিলে তিন পাখি  » «   অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের আরেকটি দল আসছে, নেতৃত্বে শিবিরের সাবেকরা  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

স্বাধীনতা পুরস্কার তালিকা থেকে ওসমানী বাদ, জিয়ার পুরস্কার পুনর্বহাল



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য চুড়ান্ত মনোনীতদের গ্যাজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর আগে ৬ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের যে আটজনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর (মরণোত্তর) নাম থাকলেও চুড়ান্ত তালিকায় নেই। এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি। এর আগে ১৯৮৫ সালে জেনারেল ওসমানীকে সমাজসেবায় অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আগে এ পুরস্কার দেওয়ার তথ্যটি সরকারের জানা ছিল না। এ কারণে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘জেনারেল ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। চলতি বছরে তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আলোচনা করেছিল। তবে কোনো বাংলাদেশি এর আগে একাধিকবার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার নজির না থাকায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে।”

এবার জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিতে পপসম্রাট আজম খান, স্যার ফজলে হাসান আবেদ, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদসহ সাতজনকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ দিচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেওয়া মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার (১১ মার্চ ২০২৫) এক প্রজ্ঞাপনে এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে। এবারের তালিকার সাতজনের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন। কেবল শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে বদরুদ্দীন উমর জীবদ্দশায় এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তবে তিনি আগেই এক বিবৃতির মাধ্যমে পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন।

অন্যদিকে এবার ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ নামে নতুন একটি ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে।

পুরস্কারের জন্য মনোনীত বাকিরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ, সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান। তারা সবাই মরণোত্তর এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

জিয়ার পুরস্কার পুনর্বহাল

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৩ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে থাকা জিয়ার হাত ধরেই বাংলাদেশ-জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা পায়।

১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সময়ে তার সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে। ২০০৫ সালে হাই কোর্টের এক রায়ে ওই সংশোধনী অবৈধ হয়ে যায়।

এরপর ২০১৬ সালের অগাস্টে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার জিয়ার স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে জাতীয় জাদুঘর থেকে তার পদকটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে দেওয়ার কথা জানিয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার জিয়াউর রহমানের পুরস্কার বাতিল করে, ওই রায়ে পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা না থাকায় মুক্তিযুদ্ধে তার ‘অসাধারণ অবদান বিবেচনায়’ স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকার রহিত করেছে।

সিদ্ধান্তে অটল বদরুদ্দীন উমর

এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় নাম আসার খবরে বদরুদ্দীন উমর ৬ মার্চ জানিয়েছিলেন, এ পুরস্কার নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের পাঠানো এক বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর বলেছিলেন, “১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমি সেগুলির কোনোটি গ্রহণ করিনি। এখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেওয়া এই পুরস্কারও গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আমি এটা জানিয়ে দিচ্ছি।”

মঙ্গলবার পুরস্কারের প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফয়জুল হাকিম জানান, “বদরুদ্দীন উমর আগের সিদ্ধান্তেই বহাল আছেন। তিনি পুরস্কার গ্রহণ করবেন না।”

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন