যুক্তরাষ্ট্র ফিরিয়ে নিলেও ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সম্প্রতি বলেছেন, তাঁরা ইউক্রেনে শান্তি রক্ষার জন্য সেনা পাঠানো ও উড়োজাহাজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যের এসব পদক্ষেপ ও ঘোষণা রাশিয়াকে ক্ষুব্ধ করেছে।
রাশিয়া এমন এক সময়ে যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করতে যাচ্ছে, যার মাত্র কয়েক দিন আগে রাশিয়ার হয়ে গোয়েন্দাগিরি করার অভিযোগে বুলগেরিয়ার তিন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন লন্ডনের একটি আদালত।
বুলগেরিয়ার এই তিন ব্যক্তি জান মার্সালেক পরিচালিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ওয়্যারকার্ডের সহায়তাপুষ্ট রাশিয়ার একটি গোয়েন্দা ইউনিটে কাজ করতেন। তাঁরা মস্কোর নিশানা করা যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি ও কিছু ব্যক্তির ওপর নজরদারি করতেন। প্রসঙ্গত, ওয়্যারকার্ড বর্তমানে একটি দেউলিয়া প্রতিষ্ঠান। আর অস্ট্রিয়ার নাগরিক জান মার্সালেক পলাতক। ওয়াশিংটন-মস্কোর সম্পর্ক ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করার পর থেকে এবারই প্রথমবারের মতো দুই পশ্চিমা কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিল রাশিয়া।
তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে হাজার হাজার সেনা পাঠানোর পর রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলো দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ বলেছে, ‘এই দুই ব্রিটিশ কূটনীতিক আমাদের দেশে ঢোকার অনুমতি পাওয়ার পর মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছেন। তাঁদের “গুপ্তচরবৃত্তি ও ধ্বংসাত্মক কাজের আলামত” আমাদের হাতে আছে, যা রাশিয়ার নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে।’ মস্কোর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিদ্বেষপ্রসূত ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এটাই প্রথম নয়।’